দেশ

জ্বালাও আলোকবর্তিকা––


কাকলি চ্যাটার্জি:চিন্তন নিউজ:৫ই এপ্রিল:-আজ রাত ঠিক নটায় মোমবাতি জ্বালিয়ে মহাশক্তির আরাধনা করে দেশকে করোনামুক্ত করার যে হাস্যকর, অবৈজ্ঞানিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, তার থেকে শতহস্ত দূরে থাকার কথা ভাবছেন, বিজ্ঞান মঞ্চ সহ অনেক মানুষ। কিন্তু ভেবে দেখলে তিনি বোধহয় দেশের দুর্দশা সঠিকভাবে তুলে ধরার জন্যই এই প্রতীকী কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন।

ঐ যে প্রচলিত একটা কথা আছে, ‘ দিলো তো হাতে হ‍্যারিকেন ধরিয়ে’? হ্যারিকেন যেহেতু সহজলভ্য নয় তাই মোমবাতির অবতারণা। আর মোমবাতি বললে বেশ নিজেকে একটু আঁতেল প্রতিপন্ন করা যায়! কিন্তু এই দু’দিন মানুষ এই মোমবাতি জ্বালানো নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত আছেন, ভুলে যাচ্ছেন যে পরিযায়ী শ্রমিকরা ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে আটকে আছেন সড়কের ওপর তাদের খাওয়দাওয়ার কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন? চিকিৎসা করাতে গিয়ে আরও বেশী অসুস্থ হয়ে যাওয়া অসহায় মানুষের কথা।

মনে পড়ছে না এই বিশ্বব্যাপী সংকটের কারণে আর্থিক দুরবস্থা কোথায় গিয়ে পৌঁছতে পারে? নোটবন্দি, জি এস টি কে পিছনে ফেলে কর্মচ্যুত হতে পারেন ১৩কোটি মানুষ। প্রশ্ন করছি না লকডাউন আরও বাড়ানো হলে গরীব দুঃখী মানুষগুলোর জন্য কী পরিকল্পনা নিচ্ছেন ছাপ্পান্ন ইঞ্চির সরকার। সাহস করে বলতে পারছি না কেন খোদ দিল্লির বুকে নিজামুদ্দিনে ধর্মীয় সভা অথবা মধ্যপ্রদেশে সরকার গঠন কিংবা রামনবমী পালনের অনুমতি দিয়েছিল প্রশাসন? গুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে করোনায় আক্রান্ত মৃত্যুর সংখ্যা কত? অপ্রতুল রেশনব্যবস্থা, রেশনের সামগ্ৰীর কালোবাজারি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে মানুষ ভুলে গেছেন। তাই শুধুমাত্র নিজের বাড়ির আলো জ্বালিয়ে নয় আগামী দিনে সবার জীবনে আলো জ্বালানোর শপথ গ্ৰহণ করার দিন আজ।।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।