রাজনৈতিক রাজ্য

সন্দেশখালির আগুন ছড়িয়ে পড়ুক জেলায় জেলায়।


সলিল ঘোষাল, নিজস্ব প্রতিবেদন : চিন্তন নিউজ: ১২/০২/২০২৪:- পৃথিবীর ইতিহাস থেকে আমরা এই অভিজ্ঞতাই পেয়েছি যে অত্যাচারী শাসকদের অত্যাচারের মাত্রা যখন ই সীমা অতিক্রম করে, ঠিক তখনই জনরোষ ক্রমশ দানা বাঁধতে থাকে এবং একটা সময়ে মানুষ অস্ত্র হাতে তুলে নিতে বাধ্য হয়–অত্যাচারীরা পিছু হটে। সন্দেশখালির ঘটনা ঠিক তার ই নামান্তর।

রাজ্যের শাসক দলের পোষা দুষ্কৃতীদের দুর্নীতি ও লাগাতার পাশবিক নির্যাতন এখন এমন একটা জায়গায় পৌঁছেছে, যখন মানুষের সহ্যের সীমা অতিক্রান্ত–তবেই না তারা অস্ত্র হাতে রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছে। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিষয় হ’ল এটাই যে-রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন এতটাই মমতা ব্যানার্জি র দলদাসে পরিনত হয়েছে যে তারাও মমতা র পোষা গুন্ডাবাহিনী র কু-কর্মের দোসর হিসেবে ওদের সাথে যৌথভাবে সাধারণ মানুষের উপর দীর্ঘ দিন ধরে অমানবিক অত্যাচার চালিয়ে আসছে। ওই জায়গায় ফ্যাসিবাদী প্রকোপ এতটাই শক্তিশালী যে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদের ভাষাটাই এতদিন হারিয়ে ফেলেছিল। তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনীর হাত থেকে বাড়ীর নব-বিবাহিত বধূও রেহাই পায়নি!! এ যেন সেই মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায় !! যে মমতা ব্যানার্জি র অঙ্গুলি হেলন ছাড়া তৃণমূলের অন্দরের একটা গাছের পাতা পর্যন্ত নড়ে না, সেই মমতা ব্যানার্জি তাঁর দলের ঘাতক বাহিনীর ওই এলাকায় দীর্ঘদিনের দুর্নীতি -অত্যাচারের খবর জানতেন না–এটাকে কি বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হয়??!! উনি ওনার দলের সুবোধ (??) বালকদের কূকীর্তি র প্রতিবাদ তো দুরের কথা, উল্টে উনি ওখানকার অত্যাচারী দলের মূল নায়ক সেখ শাহাজাহানের পক্ষে দেদার সার্টিফিকেট দিয়ে চলেছেন !!

মমতা ব্যানার্জি জানেন না যে অত্যাচার কখনো শেষ কথা বলতে পারে না–এটাই ওনার বোধগম্যতার খামতি !! পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মেজাজ কে মাপতে না পারার অক্ষমতাটাও উনি অবচেতন ভাবে প্রকাশ করে ফেলেছেন !! এখনকার সন্দেশখালির জনগনের অবস্থান নিঃসন্দেহে ওনার হাতের বাইরে !! এই ঘটনাকে মোকাবিলা করার জন্য সেই চিরাচরিত অভ্যাস–দেদার টাকা বিলানোর খেলায় যে উনি নামবেন–এ কথা বলাই বাহুল্য। আমি মনে করি সন্দেশখালির মা–বোনেরা আমাদের চোখ খুলে দিয়েছেন। এখন বামপন্থীদের আরো অনেক দায়িত্ব।

প্রথমতঃ সঙ্গবদ্ধ শক্তি নিয়ে সন্দেশখালির জনগনের পাশে দাঁড়ানো।

দ্বিতীয়তঃ তৃণমূলীদের ধারাবাহিক অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সন্দেশখালির জনগন যে প্রতিবাদের ভাষা আমাদের শিখিয়ে দিয়েছেন সেই ভাষা কে দাবানলের মতো রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ছড়িয়ে দেওয়া–এটাই হয়ে উঠুক রাজ্যব্যাপি তৃণমূলী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে উপযুক্ত জবাব।
.


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।