দেশ

কেরালার টিচার আম্মা


দেবু রায়: চিন্তন নিউজ:২১শে এপ্রিল’:-আজকে কেরালা যে পথে গিয়ে করোনাকে আটকালো সেটা এক কথায় অবিশ্বাস্য ! পিনারাই বিজয়ন নেতৃত্বে যে সাফল্য পেয়েছে সেটা পৃথিবীর অনেক রাষ্ট্র নায়েকের কাছে ঈর্ষনীয় ! এলডিএফ সরকারের এই সাফল্যর জন্য না আছে কোটি – কোটি টাকার বিজ্ঞাপন , না আছে গালভরা আশ্বাস . আছে শুধু একটা ছোট রাজ্যের হাতে যে টুকু টেকনোলজি আছে তাই দিয়ে উনি বাস্তবে করে দেখালেন !

না এর পিছনে বাজার গরম করা যুক্তি অথবা কথার মারপ্যাঁচ ( যা আমরা আমাদের রাজ্যে অথবা দেশের নেতাদের মুখে সব সময়ে শুনতে অভ্যস্ত ) শুধু বিজ্ঞান কে সঠিক ভাবে প্রয়োগ করা। এই সাফল্যর পিছনে আর একজনের অবদান আছে তিনি হলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী কে কে শৈলজা যাকে এখন সারা কেরল বাসি টিচার আম্মা বলে জানে , এবার স্বাস্থ্য মন্ত্রীর সাথে অন্যান্য রাজ্যের অথবা দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রীদের সাথে তফাত টা হলো কে কে শৈলজা নিজেও একজন কেমিস্ট্রিতে মাস্টার ডিগ্রি ধারী এবং যেহেতু কেমিস্ট্রির লোক তাই উনি মলিকিউলস্ এবং বায়ো কেমিস্ট্রি (ঔষধ এর কেমিক্যাল কম্পোজিশন ) টা ভালো করেই জানা যেটা এই সময়ে ভীষন কাজে দিয়েছে ! এই দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রীর কোয়ালিফিকেশন, বা রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রীর! সঠিক জানা নাই দেশের মানুষের। তাই দেশের বাকি অংশের মানুষ কে আজও গোমূত্রের কথা শুনতে হয়। এটা কি ভারতের মতো গরিব সাধারন মানুষের দুর্ভাগ্য নয় ? .

আবার লক্ষ্য করে দেখা যায়, ভারতে প্রথম করোনা আকক্রান্ত হয়েছিলো কেরলে অথচ অন্যরা যখন কোরোনার ভয়ে লক ডাউন নিয়ে নাকানি চোবানি খাচ্ছে তখন কেরল প্রথম রাজ্য হিসাবে হয়তো খুব শীঘ্রই করোনা মুক্ত রাজ্যর স্বীকৃতি পেতে চলেছে !
কেরল সারাদেশে আজ এক মডেল রাজ্য। ভারতের প্রতি রাজ্যে যদি পিনারাই বিজয়নের মতো মুখ্যমন্ত্রী আর কে কে শৈলজার মত স্বাস্থ্যমন্ত্রী থাকতেন, তাহলে এই মহামারীকে দমন করা সম্ভব হ’ত।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।