মাধবী ঘোষ:চিন্তন নিউজ:২৯শে জুলাই:–গণপিটুনির উৎপীড়ন ,কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে নোটিশ সুপ্রিমকোর্টের। দেশের মধ্যে একের পর এক গণপিটুনির ঘটনা বেড়েই চলেছে। পিছিয়ে পিটিয়ে হত্যা বন্ধ করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে আগেই চিঠি দিয়েছে বুদ্ধিজীবী থেকে নায়ক নায়িকা ও লেখক লেখিকারা। এবার গণপিটুনির উৎপাদন বন্ধ করতে কেন্দ্রকে নোটিশ জারি করল দেশের সর্বোচ্চ আদালত ।সুপ্রিমকোর্ট নোটিশ এ জানতে চেয়েছে,
গণপিটুনি বন্ধ করতে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক কি করছে?
মুসলিম মহিলাদের অধিকারের কথা বলে মোদি সরকার তিন তালাকে শাস্তির বিল আনছেন। কিন্তু মোদী রাজত্বে ক্রমবর্ধমান গণপিটুনি ,বিশেষ করে ভিড় জমিয়ে মুসলিমদের মারধোর ঠেকাতে সুপ্রিম কোর্টের সুপারিশ সত্বেও আইন আনছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
তিন তালাক বিলের বিতর্কে বিরোধী দলের সাংসদরা মোদি সরকার কে এ নিয়ে প্রশ্নও করেছিলেন।
আজ একই প্রশ্নের জবাব চেয়ে সুপ্রিম কোর্ট অমিত শাহের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক কে নোটিশ জারি করেছে। একবছর আগে সুপ্রিমকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের সুপারিশ করেছিল, দেশে গণপিটুনি বন্ধ করতে কেন্দ্রীয় সরকার নতুন আইন আনুক। গণপিটুনি রুখতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির জন্য নির্দেশিকা ও তৈরি করে দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশিকা নির্দেশের কতটা পালন হয়েছে তা জানতে চেয়ে আজ পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাত, অসম, বিহার, ঝাড়খন্ড, উত্তর প্রদেশ, দিল্লী, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও জম্বু কাশ্মীর সরকারকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
শীর্ষ আদালতের সুপারিশ ছিল সংসদে গণপিটুনি রুখতে আইন তৈরি হোক। কড়া শাস্তির ব্যবস্থা হোক। বিশেষ আইন হলে মানুষের মনে এই হিংসার জড়িয়ে পড়ার আগে ভয় তৈরি হবে। ২০১৮সালের ১৭ ই জুলাই এই রায় হলেও গত এক বছরে মোদি সরকার এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেননি। গণপিটুনি ও বন্ধ হয়নি। উল্টে জয় শ্রীরাম বলার জন্য চাপ দিয়ে মুসলিমদের মারধরের ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পালন হচ্ছে না এ অভিযোগ তুলে একটি সংগঠন এই নিয়ে জনস্বার্থ মামলা করে। আজ প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চ তার ভিত্তিতে কেন্দ্র ও ১০টি রাজ্যের কাছে জবাব চেয়েছে।
