দীপশুভ্র সান্যাল—এনএএসি(NAAC) এর অনুমোদনক্রমে পাঁচ বছরের জন্য স্বশাসনের স্বীকৃতি পেল জলপাইগুড়ি সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। এর ফলে উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে পুরনো এই কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি পাঠক্রম তৈরি প্রশ্নপত্র তৈরি পরিকাঠামোগত উন্নয়ন বিশ্বমানের গ্রন্থাগার পরিচালনাসহ বেশ কয়েকটি বিষয় নিজস্ব মৌলিকত্ব রক্ষা করতে পারবে কলেজ।
বর্তমানে জলপাইগুড়ি সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ মৌলানা আবুল কালাম আজাদ কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ। ভারত সরকারের উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের যুগ্মসচিব ডক্টর সুরেন্দ্র সিং সম্প্রতি মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটির রেজিস্টারকে জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্বশাসনের স্বীকৃতি পাওয়ার বিষয়টি এক লিখিত বিবৃতির মধ্য দিয়ে জানিয়েছেন। জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পাশাপাশি বেলেঘাটার সামরিক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্বশাসনের অধিকার পেয়েছে।
জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের বহু প্রাক্তনী দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বড় বড় পদে আসীন সকলেরই আবেগ জড়িয়ে আছে এই কলেজের প্রতি। স্বশাসনের স্বীকৃতির খবরে খুশির হাওয়া কলেজের অধ্যাপক ও শিক্ষকদের মধ্যে। বর্তমানে জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে মাদার স্ট্রিম সিভিল ইলেকট্রিকাল মেকানিকাল এর পাশাপাশি কম্পিউটার সায়েন্স, ইনফরমেশন টেকনোলজি, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি পাঠক্রম চালু রয়েছে। এর আগে এই কলেজের পরিকাঠামোগত উন্নয়নে বিশ্ব ব্যাংক আর্থিক সহযোগিতা করেছে। কারিগরি শিক্ষার প্রয়োজন আন্তর্জাতিক স্তরের বহু ম্যাগাজিন কলেজের গ্রন্থাগারে আনা হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে এই কলেজ কয়েক কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য পেয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের এই স্বশাসনের স্বীকৃতিতে খুশি জলপাইগুড়ির শিক্ষানুরাগীরা। সামাজিক দায়বদ্ধতার অঙ্গ স্বরূপ জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্ররা সংলগ্ন এলাকার দুস্থ ছাত্র-ছাত্রীদের বিনামূল্যে কোচিং দিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।
জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ অমিতাভ রায় বলেন কলেজের অধ্যাপক মন্ডলীর নিরলস পরিশ্রম শিক্ষার্থীদের পাঠ গ্রহণের অদম্য আগ্রহ এই স্বীকৃতি এনে দিয়েছে। সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় এই কলেজকে বিশ্বমানের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের মর্যাদায় উন্নীত করতে পারবো বলে আমরা আশা রাখি। কলেজের আরেক প্রাক্তনী এবং বর্তমান কলেজের অধ্যাপক ডক্টর সৌপায়ন মিত্র জানালেন ইতিপূর্বে জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কলেজের মানোন্নয়নের জন্য এনএএসি (NAAC) স্বীকৃতি পেয়েছে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের শিক্ষার্থীরা ভালো ফল করবার ক্ষেত্রে সর্বদা সচেষ্ট থাকে। ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কলেজে গবেষণা করার সুযোগ রয়েছে বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণার কাজও চলছে। আগামীতে এই স্বশাসনের ফলে গবেষণার ক্ষেত্রে বিশেষ বিশেষ সুযোগ তৈরি হবে বলে আশাবাদী জলপাইগুড়ির শিক্ষানুরাগীরা।