জেলা

জলপাইগুড়ি জেলা র খবর


সমস্ত অংশের মহিলাদের ঐক্যবদ্ধ করে মহিলাদের প্রাপ্য অধিকার ছিনিয়ে নিতে গ্রামে গ্রামে মানুষের পঞ্চায়েত গড়ার ডাক মহিলা সম্মেলনে।।

দীপশুভ্র সান্যাল, জলপাইগুড়ি,চিন্তন নিউজ:০৬/১১/২০২২:-
দুদিনের প্রতিনিধি সম্মেলন শেষে রবিবার কমরেড লাবণ্য প্রভা দাস নগর, কমরেড আশলতা গোস্বামী,কমরেড রাধা ছাত্রী মঞ্চ বেলাকোপা, হরি মন্দির সভাগৃহে শেষ হল সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির ১৮ তম জলপাইগুড়ি জেলা সন্মেলন।‌ দুই শতাধিক প্রতিনিধির উপস্থিতিতে প্রতিবেদনের ওপর ১৩ জন প্রতিনিধি আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত আদিবাসী, নেপালি, রাজবংশী জনজাতির মহিলারা তাদের নিজস্ব সংস্কৃতির সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন সম্মেলন মঞ্চে। প্রতিনিধিদের আলোচনার শেষে রবিবার রাজ্য কমিটির পক্ষে রাজ্য সভানেত্রী অঞ্জু কর অবসারভেশন রিপোর্ট পেশ করেন। দু বছরে বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও যেভাবে জলপাইগুড়ি জেলায় মহিলা আন্দোলনের নেতৃত্ব ও কর্মী বাহিনী তাদের সংগঠনিক কাজকর্ম পরিচালনা করেছেন
আগামী দিনে তা আরো এগিয়ে নিয়ে গিয়ে মহিলাদের সামাজিক বাধা বিপত্তি কাটিয়ে উঠে জেলা জুড়ে শক্তিশালী আরো সংঘবদ্ধ মহিলা সংগঠন গড়ে তুলে সকলকে সংঘবদ্ধ হয়ে লড়াই সংগ্রামের অবতীর্ণ হওয়া আহ্বান রাখেন তিনি। তিনি বলেন শতকেও ভারতবর্ষের
সমাজে কন্যা সন্তান জন্মালে পরিবারের সকলের কপালে চিন্তার খোঁজ দেখা যায়। ১৯৯৬ সালে কন্যা ভ্রূন হত্যা নিষিদ্ধ হলে আজও দেশের বিভিন্ন অংশ কন্যা ভুল হত্যার খবর নিয়মিত আসছে। পুরুষদের পাশাপাশি মেয়েরাও সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমান কৃতিত্বের তে সাথে এগিয়ে গেলেও এখনো মেয়েদের কর্মস্থলে নিগ্রহের শিকার হতে হয়। নারীরা অর্ধেক আকাশ আমরা মুখে এ কথা বললেও সমাজের সব স্তরে কি সত্যটা মন থেকে মেনে নিতে এখনো অনেকে দ্বিধা বোধ করেন। কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি আরএসএস নির্দেশিত পথে মনুসংহিতার তত্ত্বে মেয়েদের শুধুমাত্র সন্তানের জন্মদাতৃরূপে ঘরে আটকে রাখতে আগ্রহী। দাঁতের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী মহিলা হলে ও সমগ্র রাজ্যে যেভাবে নারীদের লাঞ্ছিত ধর্ষিত হতে হচ্ছে ভাগ্যটা দেশের কাছে আমাদের লজ্জা। এই সময়কালে নারী ধর্ষণে রাজ্য প্রথম সারিতে উঠে এসেছে
প্রাক প্রতিদিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নারীদের অপমানিত হওয়ার খবর প্রকাশিত হচ্ছে।
গত ১২ বছরে নতুন করে চাকরি-বাকরি হয়নি যাও দু চারটা নিয়োগ হয়েছে তাতে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকার টাকা পাহাড় এখন ধরা পড়ছে তাদের বান্ধবীদের বাড়ি থেকে। বিগত নির্বাচন গুলিতে আমরা মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম যে তৃণমূলের বিকল্প কখনোই বিজেপি হতে পারেনা কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন কায়দায় বিভাজনের রাজনীতির মধ্য দিয়ে ধর্মের সুড়সুড়ি দিয়ে অত্যাচারের বিরুদ্ধে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে বিশেষত উত্তরবঙ্গে বিজেপি মানুষের রায়কে নিজেদের পক্ষে নিয়ে গিয়েছে। মানুষ ভেবেছিল তৃণমূলকে শিক্ষা দিতে বিজেপির হাত ধরলে হয়তো তৃণমূলকে কিছুটা টাইট দেওয়া যাবে। বিগত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে বদলেছে আমাদের আরও মানুষের বিশ্বাস অর্জনের জায়গায় পৌঁছতে হবে। একটা সময় ছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাস্তাঘাটে চায়ের দোকানে কথা বলা যেত না এখন মানুষ বলতে শুরু করেছেন না তৃণমূল বিজেপি না বামপন্থীদের সময় আমরা শান্তিতে ছিলাম। রাজ্যের সর্বত্র তৃণমূল দল তোলা আদায়ের পার্টিতে পরিণত হয়েছে। ওরা মনে করে মহিলারা বোকা তাই তাদের কখনো লক্ষ্মীর ভান্ডারের নামে কখনো কন্যাশ্রীর নামে সামান্য টাকা দিয়ে ভুলিয়ে রাখা যাবে। আপনার ঘরের ছেলে মেয়েটা যদি চাকরি পায় তাহলে ওই লক্ষীর ভান্ডার আর কন্যাশ্রীর পাওয়া অর্থের থেকে ঢের বেশি লাভবান হবে আপনার পরিবার। গত পঞ্চায়েত ভোটের ওরা মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি।আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মহিলাদের পাশাপাশি সমস্ত অংশের খেটে খাওয়া মানুষকে সংগঠিত করে ওই লুটে খাওয়া শাসক দল তৃণমূল বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করে গ্রামের গরীব মেহনতি মানুষের ঐক্য গড়ে গ্রামে গ্রামে মানুষের পঞ্চায়েত গঠন করতে হবে। দুদিন ব্যাপী চলা সম্মেলনের শেষে মমতা রায় কে সভাপতি রীনা সরকারকে সম্পাদিকা ও পিয়ালী গুহ রায় কে কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত করে ৩১ জনের জেলা কমিটি ও ১৭ জনের জেলা সম্পাদক মন্ডলী নির্বাচিত হয়, এছাড়াও চারজন অভিজ্ঞ নেতৃত্বকে আমন্ত্রিত সদস্য হিসাবে সম্পাদক মন্ডলীতে যুক্ত করা হয়।

জলপাইগুড়ি জেলা জুড়ে অনুষ্ঠিত হলো বিজ্ঞান অভীক্ষা।।

নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ৬ই নভেম্বর:-
রবিবার পশ্চিমবঙ্গ বিঞ্জান মঞ্চ জলপাইগুড়ি জেলার ব্যবস্থাপনায় সমগ্র জেলার অন্তর্গত বিভিন্ন আঞ্চলিক কেন্দ্রে বিঞ্জান অভীক্ষা সম্পন্ন হয়। পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত সমস্ত ছাত্র ছাত্রীরা যোগ দেয় এই বিজ্ঞান অভিক্ষায়। জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে ২টি হাপের অভিক্ষায় প্রায় ১৫০০ ছাত্র ছাত্রীরা অংশ নেয়। এছাড়াও ময়নাগুড়ি ধূপগুড়ি রাজগঞ্জ বিভিন্ন কেন্দ্রেও একই দিনে অভিক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। জলপাইগুড়ির জেলা বিজ্ঞান মঞ্চের পক্ষে শিক্ষিকা রীতা সেনগুপ্ত জানান কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বিজ্ঞানমনস্কতা তৈরির উদ্দেশ্যে তাদের এই প্রয়াশ। সমগ্র জলপাইগুড়ি জেলায়
৫০০০ ছাত্রছাত্রী এই অভিক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে বলে জানান তিনি।।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।