জেলা

পূর্ব বর্ধমান জেলার খবর


চিন্তন নিউজ, কল্পনা গুপ্ত, ৬ নভেম্বর, ২০২২ – আজ কাটোয়া নজরুল মঞ্চে সারা ভারত আইনজীবী সমিতির পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত প্রকাশ্য সমাবেশে বক্তব্য রাখছিলেন সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি ও সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ৷
তিনি বলেন, শ্রমিক-কৃষকদের অনেক আত্মত্যাগের মধ্যে দিয়ে দেশে স্বাধীনতা এসেছিল ৷ ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগ হলেও, ভারতের সংবিধান প্রণেতারা গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের কথা ঘোষণা করেছিলেন ৷ সংবিধানে ধর্ম ব্যক্তিগত অধিকার, রাষ্ট্রের সাথে তার কোনো সম্পর্কের কথা বলা নেই ৷ দেশে জনগণ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে যাদের নির্বাচিত করবেন, তারা দেশে সামাজিক ও অর্থনৈতিক ন্যায় প্রতিষ্ঠা করবে ৷
পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট আমলে সবার জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল ৷ রাজ্যে শিক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠা পেয়েছিলো
তৃণমূল সরকারের শুরু থেকেই শিক্ষক নিয়োগে বিপুল দুর্নীতির কথা সকলেরই জানা ৷ যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা দুর্নীতির অভিযোগ জানালে, সরকার শোনেনি ৷ তাদের পুলিশ দিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছে ৷ তখন আদালতে যাওয়া হলো।এখন আদালতের নজরদারিতে তদন্ত চলছে৷ তদন্তে কি বেরিয়ে আসছে তা সকলের জানা ৷ সরকার নিয়োগ করতে পারছে না, দুর্নীতি আর শূন্য ভাঁড়ারের কারণে ৷
আদালত স্বচ্ছ নিয়োগে কোনোরকম নিষেধাজ্ঞা দেয়নি ৷ চারিদিকে চূড়ান্ত অরাজক পরিস্থিতি চলছে ৷ আদালতে আইনজীবীদের ভয় দেখাচ্ছে তৃণমূল ৷ তারা ক্ষমতার জোরে বিচার ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে ৷ মানুষের চেতনাকে ধবংস করতে চাইছে ৷ তিনি আরো বলেন নিজেদের অভিজ্ঞতার উপর ভর করে স্বাধীন চিন্তার পথ অবলম্বন করুন ৷ অন্যায়ের প্রতিবাদ করুন ৷ নিজেদের অধিকার রক্ষার সংগ্রামে পথে নামুন।
সভায় সভাপতিত্ত্ব করেন সংগঠনের পূর্ব বর্ধমান জেলার নবনির্বাচিত সম্পাদক প্রদীপ আইচ ৷

৬ নভেম্বর — রায়না এক এরিয়া কমিটি অন্তর্গত সেহারা অঞ্চলে মিরেপোতা থেকে বেঁন্দুয়া পর্যন্ত পদযাত্রা সংগঠিত করা হলো।
১০০ দিনের কাজ অবিলম্বে চালু করতে হবে ও বকেয়া টাকা পরিশোধ করতে হবে।
শ্রমিকদের মাসিক ১৮ হাজার টাকা বেতন দিতে হবে।
কৃষিজ ফসলের ন্যায্য মূল্য দিতে হবে।

আজ জামালপুরের কোলসরা গ্রাম থেকে পদযাত্রা শুরু হয় । সেখান থেকে রানাপাড়া – রেওরা – খামারপাড়া – গোপালপুর হয়ে রানাপাড়া মোড়ে মিছিল শেষ হয়।
পদযাত্রা থেকে দাবি ওঠে –
*কাজ চাই, শিক্ষা চাই, ফসলের দাম চাই।
*বাঁচার মতো মজুরি চাই।
*দুর্নীতি মুক্ত বাংলা চাই।
*সারের দাম বৃদ্ধি ও ফাটকা বাজি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
*১০০ দিনের কাজ চালু ও বকেয়া অবিলম্বে পরিশোধ করতে হবে।

লুটেরাদের উচ্ছেদ করো-মানুষের পঞ্চায়েত তৈরী করো। কেতুগ্রাম ২ ব্লকের বিল্লেশ্বর অঞ্চলের কুড়িটি গ্রাম এবং ১৯ টি বুথে মানুষের বিভিন্ন দাবী দাওয়া, গ্রাম জাগাও চোর তাড়াও বাংলা বাঁচাও, কর্মসংস্থান, স্বচ্ছ নিয়োগ, সারের ফটকা বাজি রুখতে, কৃষকের ঋণ মুকুব, মূল্যবৃদ্ধি, পঞ্চায়েতে কত পেলে কত খেলে হিসাব চাই হিসাব দাও, সহ গ্রামের অভ্যন্তরীণ সামাজিক দাবি নিয়ে গ্রামীণ জাঠা সংগঠিত হয়। জাঠার উদ্বোধন করেন ক্ষেতমজুর আন্দোলনের রাজ্য কমিটির সদস্য কম: তারক মাঝি, বক্তব্য রাখেন কৃষকসভার জেলা নেতৃত্ব কমরেড প্রবীর গাঙ্গুলি। পদযাত্রায় প্রায় ২০০ জন স্থায়ী পদযাত্রী হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। বিভিন্ন মোড়ে স্থায়ী পদযাত্রীদের বিভিন্ন গ্রাম থেকে বিভিন্নভাবে অভ্যর্থনা জানানো হয়। কোথাও জল দিয়ে, কোথাও ফুল দিয়ে, আবার কোথাও কপালে চন্দন টিপ দিয়ে। সমগ্র পদযাত্রার রাস্তা গুলিতে ট্যাবলো করে দাবি-দাওয়া গুলি নিয়ে বক্তৃতার মাধ্যমে মানুষের সামনে তুলে ধরা হয়। পদযাত্রা শুরু হয় সকাল ৯-টায় এবং শেষ হয় বিকাল ৫:৩০ মিনিটে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।