জেলা রাজ্য

নির্বিকার প্রশাসন, হলদিবাড়ি পৌরসভা ছড়াচ্ছে দূষণ


জয়ন্ত সাহা,হলদিবাড়িচিন্তন নিউজ:– ,১৭ ই মে: হলদিবাড়ি শহরের বাজার এলাকা সময়মতো পরিস্কার করা হয়না। সব্জির মরশুমে প্রায়শই দিনভর পড়ে থাকে আবর্জনা। ফলে নোংরা আবর্জনার মধ্যেই বাজার করতে হয় বাসিন্দাদের। ছড়াচ্ছে দূষন।অভিযোগের তির পুরসভার দিকে।
পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা। যদিও পুরসভা জানিয়েছে, বাজার এলাকা নিয়মিত সাফাই হয়। তবে সাফাই কর্মীর সমস্যা থাকায় কোন কোন দিন দেরিতে সাফাইয়ের কাজ হয়। একই সঙ্গে বাজার সংলগ্ন জয়ী সেতুর এপ্রোচ রোর্ডের ধারের মিস্টির দোকানদাররা রাস্তার উপর আবর্জনা ফেলে রাখায় তা মাড়িয়ে চলতে হয় এলাকার বাসিন্দাদের। বাসিন্দারা জানান, রাস্তার আবর্জনা সাফাই না করায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। এব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত পুরসভার। পুরসভা অভিযোগ শুনেও চুপ।

এব্যাপারে হলদিবাড়ি পুরসভার বাসিন্দা তথা সিপিএম নেতা তপন রায় বলেন, হলদিবাড়ি বাজার এলাকা নিয়মিত সাফাই করেনা পুরসভা। ফলে বাজারে প্রচুর নোংরা জমে থাকে। দুর্গন্ধে অতিষ্ট হয়ে পড়ছেন ব্যাবসায়ী ও বাজার করতে আসা মানুষজন। এনিয়ে পুরসভার কোন হেলদোল নেই। আমরা শুনেছি সাফাই কর্মী কম রয়েছে। নতুন করে সাফাই কর্মী নিয়োগ করার প্রয়োজন থাকলেও তা করছে না পুরসভা। পুরসভার এধরনের ভুমিকায় ক্ষুদ্ধ শহরের বাসিন্দা ও ব্যাবসায়ীরা।
ব্যবসায়ী সুরেশ দাস বলেন, বাজার এলাকার সাফাই নিয়মিতভাবে দিনে দুবার করা প্রয়োজন। সেই কাজটি ঠিকমতো হচ্ছে না। বাজার লাগোয়া সব্জি বাজারে প্রচুর নোংরা আবর্জনা পড়ে থাকছে। রাস্তার উপর মিস্টির দোকানের বর্জ্য পড়ে থাকছে। সেদিকে পুরসভার কোনো নজর নেই।
হলদিবাড়ি বাজার ব্যাবসায়ি সমিতির সদস্য মনোরঞ্জন সরকার বলেন, বাজারে সাফাই নিয়ে সমস্যা রয়েছে। রাতে দোকান বন্ধ করে চলে যাওয়ার পর পরদিন দুপুর হলেও সাফাই কর্মীদের দেখা মেলে না। ফলে রাতের বর্জ্য থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। অনেক সময়ে নোংরা মাড়িয়ে বাজার করেন বাসিন্দারা। আমরাও চরম অস্বস্তিতে থাকি।
তৃনমুল পরিচালিত হলদিবাড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান শঙ্কর কুমার দাস বাজার এলাকা নিয়মিত সাফাই না করার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বাজার এলাকা নিয়মিত সাফাই করা হয়। তবে সাফাই কর্মীর সংখ্যা কম থাকায় দিনের বেলায় একটু দেরিতে কাজ শুরু করেন সাফাই কর্মীরা। বর্তমানে সব্জির মরশুম চলায় বাজার এলাকায় কিছু নোংরা পড়ে থাকছে। স্থায়ী সাফাই কর্মীদের কয়েকজন অবসর নেওয়ায় এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি সাফাই কর্মীর সমস্যা মেটানোর। একই সঙ্গে রাস্তার পাশের মিস্টির দোকান গুলোতে ডাস্টবিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার পরও যদি কোনো দোকানদার রাস্তার উপর বর্জ্য ফেলে তার জরিমানা করা হবে। শহরকে স্বচ্ছ রাখতে বেশকিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই তা কার্যকর করা হবে।

প্রসঙ্গত, জয়ী সেতুর এপ্রোচ রোর্ড লাগায়ো এলাকায় রয়েছে হলদিবাড়ি মূল বাজার চত্বর। তার পাশেই রয়েছে পাইকারি সব্জি বাজার। এই মরশুমে পাইকারি সব্জি বাজারে ব্যাপক মানুষের ভিড় হয়। ফলে বাজার এলাকা সকাল থেকে সারাদিন জমজমাট থাকে। অভিযোগ বাজার এলাকা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে তৎপরতা নেই পুরসভার। এনিয়ে ক্ষুদ্ধ এলাকার বাসিন্দারা। বাসিন্দা ও ব্যাবসায়ীরা চাইছেন বাজার এলাকা পরিস্কার রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিক পুরসভা।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।