রাহুল চ্যাটার্জি:চিন্তন নিউজ:১৯শে এপ্রিল:- পশ্চিম মেদিনীপুরের অনুপ কুমার মাইতি,নতুন সমাজ গড়ার কথা ভালো লাগতো, খুব মিশুক ও হাসিখুশি ছেলে ছিল সে৷
সাধারণ নিম্নবিত্ত পরিবারের আর পাঁচজনের মতো ওরও স্বপ্ন ছিল একটা সরকারি চাকরি ৷ ২০১৫ তে প্রাথমিক টেট পাস করলেও চাকরি পাননি। বাধ্য হয়ে গৃহশিক্ষকতার পেশাকে বেছে নেন।
আর্থিক অনটনের মাঝেই কোন রকমে দিন গুজরান করছিলেন তিনি। মার্চ মাস থেকে লকডাউন শুরু হওয়ায় টিউশনের বেতনও বন্ধ হয়ে যায়। বৃদ্ধ বাবা-মা কে নিয়ে কিভাবে সংসার চালাবেন এই চিন্তায় মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে বাধ্য হয়ে আত্মহত্যা করেন। এলাকার এরকম এক তাজা প্রাণ ঝরে যাওয়ায় ও এমন একজন বন্ধুকে হারিয়ে আজ প্রত্যেকেই মর্মাহত। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পশ্চিমবঙ্গ গৃহ শিক্ষক কল্যাণ সমিতির রামপুরহাট ইউনিট রামপুরহাট পাঁচমাথা মোড়ে তার প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে।
জেলা সভাপতি অলিকেন্দু চক্রবর্তী বলেন- “সরকার আর কত অবহেলা করবেন গৃহশিক্ষকদের প্রতি ?
এভাবে আর কতদিন? প্রশ্নটা রাখছি শিক্ষিত সমাজের কাছে”।
এই কর্মসূচী পালনের কিছুক্ষনের পরেই আবারও আসে আরেক অত্যন্ত দুঃখের খবর। এবার জেলা বীরভূম। পশ্চিমবঙ্গ গৃহশিক্ষক কল্যাণ সমিতির নলহাটী ইউনিটের আরেক সদস্য সৌমিত্র দত্ত (গোপাল স্যার) ইংরেজী পড়াতেন। বাড়িতে বৃদ্ধা মা ও সাত (৭) বছরের এক মেয়ে আছে। মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। আর্থিক সংকটের মুখোমুখি পড়েছিলেন,কাউকে কিছু বলতে পারছিলেন না। আজ সন্ধ্যায় বাড়ির ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে তিনিও আত্মহত্যা করেন।