কৌশিক পাল: চিন্তন নিউজ:২১শে এপ্রিল:–
হাওড়া পৌরসভায় গত দেড় বছর ধরে কোনো পৌরপিতা নেই। নির্বাচন না হওয়ার কারণে। এই পরিস্থিতি শুধু হাওড়া নয়, রাজ্যের অধিকাংশ পৌরসভার পরিস্থিতি।প্রশ্ন হচ্ছে যে,হাওড়া পৌরসভার ৪৪নং ওয়ার্ড এর প্রাক্তন কাউন্সিলর শ্যামল রায় যে দেড় বছর ধরে পৌর পিতা হিসাবে আর নিযুক্ত নেই,শুধু উনি নন কোনো পৌর পিতাই আর হাওড়া পৌরসভায় নেই নির্বাচন না হওয়ার জন্য।
তবুও তিনি ১৮/০৪/২০২০সালে একটি স্লিপ এলাকায় বন্টন করেছেন যাতে তিনি বর্তমান পৌর পিতা হিসাবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন।
সাধারণ নাগরিক হিসাবে কয়েকটি প্রশ্ন রাজ্য প্রশাসনের কাছে
1- যদি তিনি বর্তমান পৌরপিতা হন তাহলে এলাকার মানুষ তার পরিষেবা থেকে কেন বঞ্চিত হবে?
2- যদি তিনি এখনো পৌর পিতা বলে নিজেকে দাবি করেন তাহলে কোনো রকম তথাকথিত উন্নয়ন মূলক কাজ করছেন না কেন?
3- এলাকা উন্নয়নের যে টাকা আসছে তার হিসাব কোথায়?
4- যদি আপনি পৌরপিতা থেকেই থাকেন তাহলে কেন কোনোরকম শংসা পত্র নিতে বিধায়কের কাছে এলাকার মানুষকে ছুটতে হছে?
5- যদি এর উত্তর আপনার কাছে না থাকে তাহলে এই সমস্ত উত্তর জানার জন্য আমরা কার কাছে যাবো।
এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর আমরা আপনার কাছে চাইছি।
এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর আমরা না পেলে এলাকার সাধারণ মানুষ মিলে আমরা যতদূর যেতে হয় যাবো।
পুনশ্চ:
এই সমস্ত স্লিপ আশা কর্মীদের দিয়ে বাড়ি বাড়ি পৌঁছানো হয়েছে, যেখানে এই সময়ে আশা কর্মীদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সাথে যুক্ত থাকার কথা,এর উত্তর কে দেবে পৌরপিতা মশাই,জবাব তো তাঁকেই দিতেই হবে।
অপরদিকে হাওড়ার ৩৯নং ওয়ার্ড, কোলে মার্কেট এলাকায় গতকাল সকাল থেকে কর্পোরেশনের তরফে বারবার ঘোষণা করা হয়, তাড়াতাড়ি বাজার সেরে বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য, কারণ বাজার এলাকা স্যানিটাইজ করা হবে।। গাড়ি আসছে। সবাই ঘোষণা শুনে যে যার বাড়ি ফিরে যান, ফাঁকা বাজারে শাসকদলের পতাকা নিয়ে বেশকিছু যুব- যুবতিদের নির্দ্বিধায় ঘুরতে দেখা যায়, এবং দেখা যায় না কোনো গাড়ি, বদলে কাঁধে মশার স্প্রে মেশিন নিয়ে স্প্রে করতে দেখা যায় বাজার এলাকায়। এই সমস্ত ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ। হাওড়া কে হটস্পট ঘোষণা করা হয়েছে, তা সত্ত্বেও প্রচার ছাড়া প্রশাসনিক কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। মানুষ সুরক্ষা চায়।