জেলা

হুগলি জেলার বইমেলা অন্যান্য খবরঃ-


চিন্তন নিউজঃ ৬ই ডিসেম্বর:– শান্তনু বোসঃ-বইমেলার কড়চা–জোর কদমে চলছে হুগলী চুঁচুড়া বইমেলার প্রস্তুতি। একদিকে যেমন চুঁচুড়ার মাঠে চলছে স্টল এবং অডিটোরিয়াম তৈরির জন্য প্যান্ডেল বাঁধার কাজ, সেই সাথে চলছে বইমেলাকে আকর্ষণীয় করতে তুলতে প্রত্যেক দিনের অনুষ্ঠান সূচী নিপুণ ভাবে বাঁধার কাজ। উদ্বোধন থেকে শুরু করে সমাপ্তি অনুষ্ঠান, সব জায়গায় চমক। এই চমক নেহাতই লোকরঞ্জনের চমক নয়। বইমেলার নিজস্ব কালচার এবং ঐতিহ্যকে অক্ষুন্ন রেখেই নতুন ভাবনা এবং বিশিষ্টজনদের সমাগম ঘটিয়ে বইমেলাকে সমৃদ্ধ করা। এই সমৃদ্ধি প্রয়াসেই বইমেলার সমাপ্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট লেখক এবং শিল্পীরা। উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট লেখক ও আইনজীবী শ্রী জয়ন্ত নারায়ন চট্টোপাধ্যায়, শ্রী আরণ্যক বসু এবং প্রখ্যাত অভিনেতা শ্রী অভ্রজিত চক্রবর্তী।

দেবারতি বাসুলীঃ-আজ ডিওয়াইএফ‌আই পশ্চিম শ্রীরামপুর আঞ্চলিক কমিটির অন্তর্গত প্রভাসনগর ইউনিটে দ্বিতীয় সম্মেলন সফল হলো।এই সম্মেলনে নব নির্বাচিত সভাপতি মনোজ রাম। নব নির্বাচিত সম্পাদক নীলাঞ্জন অধিকারী। কোষাধক্ষ্য সোমনাথ বসু,যুবশক্তি ইনচার্জ সুকান্ত মালাকার।

সারা ভারত কৃষক সভার জাঙ্গীপাড়া শাখা কমিটির উদ্যোগে অতি বর্ষণে ধান ও আলু চাষের ক্ষতি হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণের আবেদন নিয়ে ডেপুটেশনে দেয়া হলো জাঙ্গীপাড়া কৃষি উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে।উপস্থিত ছিলেন কৃষক সভার জাঙ্গীপাড়া শাখার নেতৃত্ববৃন্দ। রাসায়নিক সারের কালোবাজারি এবং অতিবর্ষণে ফসলের ক্ষতিপূরণের দাবিতে সিঙ্গুর এডিএ (ADA) অফিসে ডেপুটেশন।

জয়দেব ঘোষঃ-আজ দুপুরে প্রয়াত হলেন ইটাচূনা শ্রীনারায়ন ইন্সটিটিউশনের শিক্ষাকর্মী,বামপন্থী আন্দোলনের সক্রীয় কর্মী কমরেড অশোক সিং। দৃর্ঘটনায় তার এই অকাল প্রয়ানে আমরা শোকাহত। কমরেড অশোক সিং লাল সেলাম।কমরেড অশোক অমর রহে। তার পরিবার ও গুনমুগ্ধদের প্রতি সমবেদনা জানাই।

সোমনাথ ঘোষঃ- মনে হচ্ছে বর্ষাকাল।
ধান ও আলুসহ সব্জি চাষের চরম ক্ষতি।
চাষী চরম সংকটে ।মুখে কৃষককের ২ গুন কিংবা ৩ গুন আয় বাড়িয়ে দেওয়া সরকার দুটি এই ক্ষতিতে উদাসীন।মিডিয়া দেখাচ্ছে নবান্নের কন্ট্রোল রুমে নাকি বিপর্যয় মোকাবিলার নামে তৈরি সরকার? “দুয়ারে” কিংবা মাঠে কোন সরকারই নেই। চোখ বুজে লুট আর ভাগাভগিতে ব্যস্ত থাকবে।একের পর এক চাষে ক্ষতি সামলেও চাষীকে বাঁচতে হবে। তারা দেশবাসীর মুখে অন্ন তুলে দিলেও তাদের বিপদে কেউ নেই।

সুদীপ্ত সরকারঃ- বঙ্গোপসাগরে তৈরি “জওয়াদ” নামক ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গভীর নিম্নচাপের কারণে গত ৪ ঠা ডিসেম্বর থেকে অকাল বর্ষনে, খামারে ওঠার অপেক্ষায় মাঠের সোনার ধান, জমিতে সবেমাত্র পাতা আলু, সবধরনের সব্জী ও বাগিচা ফসলের প্রভূত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ডিসেম্বর মাসের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে এমন ক্ষয়ক্ষতি স্মরণাতীত কালে দেখা যায়নি।
বিপর্যয়ে কৃষিজ ফসলের ক্ষতিপূরণের দাবিতে জাঙ্গীপাড়া থানা কৃষক সমিতির পক্ষ থেকে এ.ই.ও. র নিকট ডেপুটেশন দেওয়া হলো। দাবিগুলি হল –
ক্ষতিগ্রস্ত ধান ও পাতা আলুর জন্য ১০০শতাংশ বীমা / বিঘাপ্রতি ১৫০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ সকল চাষিকে দিতে হবে। সরকারকে পরবর্তী চাষের জন্য কৃষি উপকরণ ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের দিতে হবে। চাষির দুঃসময়ে সরকারকে সব ধরনের সরকারি সহায়তা নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াতে হবে।
সারের কালোবাজারী বন্ধ করতে হবে।
উপরিউক্ত দাবীগুলি নিয়ে কমরেড হরপ্রসাদ সিংহরায়, সুদীপ্ত সরকার, পবিত্র সিংহরায়, তপন রায়, গণেশ পাল, গোবিন্দ মাঝি ব্লক কৃষি অধিকর্ত্তার সাথে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।