আবীর মুখার্জিঃ-গতকাল কোচবিহারের সিতাইয়ে ডিওয়াইএফআই কর্মীদের উপর তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডাবাহিনীর আক্রমনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানিয়ে এসএফআই – ডিওয়াইএফআই হুগলী জেলা কমিটির যৌথ আহ্বানে উত্তরপাড়া জিটি রোডে প্রতিবাদ মিছিল করা হলো ও মিছিল শেষে জিটি রোড অবরোধ করা হলো।
অর্পিতা ব্যানার্জীঃ-ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) কোতরং- হিন্দমোটর এরিয়া কমিটির উদ্যোগে ৩০ অক্টোবর,২০২৩ সন্ধ্যায় কোতরং বটতলা বাজারে ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিবাদে এবং রাষ্ট্রসংঘের জেনারেল কাউন্সিলে ইসরায়েল-প্যালেস্টাইন যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট না দিয়ে পরোক্ষে মার্কিন মদতপুষ্ঠ ইসরায়লকে সমর্থন করার নীতিকে ধিক্কার জানিয়ে, ভারতের ঘোষিত বৈদেশিক নীতি থেকে সরে আসার প্রতিবাদে, প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এখানে বক্তব্য রাখেন সিপিআই (এম) নেতা জ্যোতিকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায়, জয়দেব চ্যাটার্জী ও মনীন্দ্র চক্রবর্তী,সভার কাজ পরিচালনা করেন তনয় দাশগুপ্ত,সভায় উপস্থিত ছিলেন সিপিআই(এম) হুগলি জেলা কমিটির সদস্য
কোতরং- হিন্দমোটর এরিয়া কমিটির সম্পাদক রজত ব্যানার্জি।সভায় কোতরং- হিন্দমোটরের সিপিআই(এম) কর্মী ও সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।
![](https://chintannews.com/wp-content/uploads/2023/10/IMG-20231031-WA0022-1024x1024.jpg)
অজিত কর্মকার -আজ আরামবাগ- ১ এরিয়া কমিটির উদ্দোগে প্যালেস্টাইন জনগণের উপর ইসরায়েলের আক্রমণের প্রতিবাদে ও নির্বিচারে আকাশপথে বোমা হামলা করে নিরিহ নারী ও শিশু হত্যার প্রতিবাদে মিছিল ও পথসভা করা হয়েছে। আরামবাগ পার্টি অফিস থেকে মিছিল শুরু করে পুরাতন বাজার হয়ে গৌরহাটী মোড়ে এসে মিছিল শেষ হয় এবং ওখানেই পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। পথ সভায় বক্তব্য রাখেন পূর্ণেন্দু চ্যাটার্জী।
![](https://chintannews.com/wp-content/uploads/2023/10/IMG-20231031-WA0023-1024x1024.jpg)
জয়দেব ঘোষ এর খবরের ভিত্তিতে জানা গেছে যে “কুড়মি না মাহাত, বাঙালী না বিহারী হিন্দু না মুসলিম না ইস্রায়েল প্যালেস্তাইন মানুষকে ছোট ছোট স্তরে ভাঙা হচ্ছে। তাই এই নকল লড়াই ছেড়ে আসল লড়াইয়ে আসুন। মানুষের রুটিরুজির লড়াইটাই আসল লড়াই”
আগামী ৭ ই জানুয়ারী ব্রিগেড সমাবেশ সর্বাত্মক সফল করা সহ ১২ ডিসেম্বর ইনসাফ যাত্রা সফল করার দাবীতে যুব-ছাত্রদের সাধারণ সভায় এমনটাই বললেন যুব রাজ্য সাধারণ সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি।
তিনি আরও বলেন যদি কারখানা টা হত হুগলী হাওড়ার ছেলে মেয়েদের আজ সামান্য মজুরিতে দিনকাটাতে হতনা। আজকে হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াতে হতনা। আমরা সিঙ্গুরে আমাদের নেতৃত্ব সুজন চক্রবর্তীকে সঙ্গে নিয়ে শিল্যান্যাস করেছিলাম। যাতে বেকার যুবকদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত হয়। কারণ তৃণমূল বেকার যুবক-যুবতীদের স্বপ্ন ধ্বংস করে দিয়েছে। আজ সুপ্রীম কোর্টের রায়ে আবার প্রমাণ করে দিলো তৃণমূল স্বপ্ন ধ্বংসের কারিগর। এরা একটা জাল বিছিয়ে রেখেছে ২ কোটি ভুয়ো রেশন কার্ড দেখিয়ে রেশন তুলে নিচ্ছে তৃণমূল। আর সব দেখে চোখ বুজে আছে বিজেপি। নারদাতে ঘুষ খেয়েছিলো ববি হাকিম আর শুভেন্দু সারদা নারদাতে এরাই ছিলো এদের বিরুদ্ধে কোন তদন্ত হবেনা কারণ দুজনেই টাকা ঝেড়েছে। বকলমে তাই তো বলতে চাইলো।
পার্থ চ্যাটার্জী অর্পিতাকে নিয়ে জেলে বসে আছে অথচ কাজ করতে হচ্ছেনা মাসে মাসে বেতন বেড়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে ১০০ দিনের বেতন বাড়ছে না। কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের কাজের টাকা কমিয়ে দিচ্ছে। কারা কিনেছিলো জোর করে চাল গম কাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকলো টাকা? বুঝতে অসুবিধে হয়? পশ্চিমবঙ্গে এখন তিনটি ব্যাবসা চলছে প্রথমটা হচ্ছে মদ দ্বিতীয় হচ্ছে তৃণমূলের দূর্নীতি। লেখাপড়া, জুটমিল, সরকারী চাকরির ক্ষেত্র সব ক্ষেত্র বন্ধ করে দিয়ছে।
যোগ্যতমের উদ্বর্তন বেঁচে থাকার টিকে থাকার লড়াই মুক্ত চিন্তা যুক্তিবাদী হবার দর্শন বিবর্তন বাদ সেটাকেই মুছে দিতে চাইছে বিজেপি আরএসএস।
এই নকল লড়াইয়ের মোহজাল ছেড়ে আসল লড়াই মানুষের টিকে থাকার লড়াই খেটে খাওয়ার লড়াইয়ের জন্য আমর সাত তারিখ ব্রিগেড কানায় কানায় ভরিয়ে তুলবো। ইনসাফ যাত্রায় মানুষের ওপর বর্বরোচিত শোষনের প্রতিবাদ করবে ইনসাফ যাত্রা।
সত্য সত্য হিসেবে ততক্ষণ প্রতিষ্ঠা হয়না সত্যের জন্য সাহস নিয়ে লড়ে সত্যকে প্রতিষ্ঠা করতে হয়। পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ছে এই রাজ্যে ২০১৪ সাল থেকে ডিওয়াইএফআই আরটিআই করছে কিন্তু তার উত্তর দিতে চাইছে না। কেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার দেশের সরকার কোন উত্তর দিতে পারছে না? কেন? কে প্রশ্ন করবে? মিডিয়া? এত হিম্মত নেই। এসব প্রশ্ন করলে এক অংশের মিডিয়ার বেতন বন্ধ হয়ে যাবে।
এসএফআই ডিওয়াইএফআই জেলা কমিটির উদ্যোগে মঙ্গলবার উত্তরপাড়া গণভবনে এই সাধারণ সভা হয়।
জেলা সম্পাদক শুভঙ্কর দাস বলেন আপনারা জানেন বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে রাজ্যের শাসক ও দেশের শাসক আমাদের দেশ ও রাজ্যকে পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আজ দেশের প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি আরএসএসের শতবর্ষ সামনে এসে গেছে। তাকে সামনে রেখে দেশজুড়ে হিন্দুত্ব ফ্যাসিবাদী প্রচার তুঙ্গে উঠেছে। এই যুগসন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আমাদের একটাই লক্ষ্য হবে মানুষের অধিকারের সংগ্রাম গড়ে তোলা। সমস্ত শোষণ নিপীড়নের বিরুদ্ধে বৃহত্তর সংগ্রাম গড়ে তোলা।
যুব জেলা সভাপতি সুমন মাল বলেন যত বেশি সম্ভব যুব ছাত্র সমাজের কথা মানুষের যন্ত্রণার কথা সমস্যা তৃণমূল ও বিজেপি শাসনের অবিচারের বিরুদ্ধে বেশি সংখ্যক মানুষকে একত্র হতে হবে।
ছাত্র জেলা সভাপতি বাদশা দাস বলেন কর্পোরেটের স্বার্থ রক্ষার জন্য আমাদের দেশের বিজেপি সরকার নীরব থাকছে তা আগে দেখা যায়নি। বেকার দের যন্ত্রণা সম্পর্কে সরকার যেভাবে নীরব থাকছে তা আগে দেখা যায়নি। আপনারা দেখছেন কিভাবে সরকার সিঙ্গু্রে একটা তৈরি কারখানা ধ্বংস করে দিয়েছে তৃণমূল। আজ আবার সেই কালো অতীত শীরোনামে উঠে এসেছে। ৭ ই ব্রিগেড তাই আমাদের কাছে একটা লক্ষ্যের ব্রিগেড। বেকারদের কাজ চাই মানুষের ওপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে ইনসাফ আমরা চাই।
৭ জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশ ও ১২ ডিসেম্বর ইনসাফ যাত্রা সফল করার দাবীতে ডিওয়াইএফআই র জেলা কমিটির তহবিলে অর্থসাহায্য করলেন ৯ জন। যথাক্রমে সিপিআই(এম) পঞ্চায়েত সদস্য পৌলমী রায়, পার্টি সমর্থক গণেশ চন্দ্র, প্রাক্তন যুবনেতা পুলক চক্রবর্তী, অমিত রায়, বর্ণালী দাস, শান্তি দেবনাথ, মিঠু দাস, শিখা বিশ্বাস, চন্দন মাল প্রমুখরা অর্থসাহায্য করেন। মোট ১৯৫০০ অর্থ জমা পড়েছে তহবিলে।
উপস্থিত ছিলেন ডিওয়াইএফআই জেলা সম্পাদক শুভঙ্কর দাস, জেলা সভাপতি সুমন মাল, এসএফআই জেলা সম্পাদক নবনীতা চক্রবর্তী, জেলা সভাপতি বাদশা দাস প্রমুখরা। হুগলী জেলার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এই সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন।
সভাপতিত্ব করেন সুমন মাল।
পরে উত্তরপাড়া গণভবন থেকে উত্তরপাড়া ষ্টেশন মিছিল হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন যুব রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষ্মী মুখার্জি, জেলা সম্পাদক শুভঙ্কর দাস, সভাপতি সুমন মাল, এসএফআই জেলা সম্পাদক নবনীতা চক্রবর্তী, সভাপতি বাদশা দাস প্রমুখরা। মিছিল গণভবন, জয়কৃষ্ণ লাইব্রেরি পেরিয়ে জিটিরোড হয়ে ক্রাউনগেট এসে পৌঁছালে, কুচবিহারে ডিওয়াইএফআই কর্মীদের ওপর বর্বরোচিত আক্রমণের তীব্র বিরোধীতা করে বেশ কিছুক্ষণের পথ অবরোধ হয়। অবরোধে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষ্মী মুখার্জি বলেন আক্রমণ করে যুব ফেডারেশনের কর্মীদের ভয় দেখানো যাবেনা।
অজিত কর্মকারঃ-সিপিআই( এম) ব্যান্ডেল কোদালিয়া এরিয়া কমিটির উদ্যোগে আজ ব্যান্ডেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়, সাম্রাজ্যবাদীদের অর্থ ও অস্ত্রে মদত পুষ্ঠ, গোটা বিশ্বের শান্তি কামি ও গণতন্ত্র প্রিয় মানুষের কাছে সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র হিসেবে পরিগণিত ইসরাইল, হামাস নিধনের নামে প্যালেস্টাইনের ওপর যে আগ্রাসন ও নৃশংস হত্যা লীলা সংঘটিত করছে, সেই বর্বরচিত আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সান্ধ্যকালীন এই প্রতিবাদ সভায় সাধারণ মানুষ ও কমরেডদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। উপস্থিত ছিলেন জেলা ও এরিয়া কমিটির নেতৃবৃন্দ। সভায় বক্তব্য রাখেন কমরেড অজিত কর্মকার, কমরেড মলয় সরকার, কমরেড ঐকতান দাশগুপ্ত।
![](https://chintannews.com/wp-content/uploads/2023/10/IMG-20231031-WA0021-1024x1024.jpg)