কিংশুক ভট্টাচার্য: চিন্তন নিউজ:২৬শে জুলাই:- দীর্ঘ নয় বছর পর বাঁকুড়া জেলার তালডাংড়া ব্লকের অন্তর্গত রতনপুর এলাকায় রবিবার সকালে ভারতের ছাত্র ফেডারেশন ও ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করা হয়েছে।
এই বিক্ষোভ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় কোভিড ১৯ সংক্রমণোত্তর দেশের পরিস্থিতি ও কর্পোরেট তোষক সরকারের এবং একই সাথে রাজ্যের দিশাহীন জনবিরোধী সরকারের ভূমিকা তুলে ধরে ছাত্র যুব নেতারা জ্বালাময়ী বক্তব্য পেশ করেন। এই সভায় যুব সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মতো ডাঃকাফিল খানের মুক্তির দাবী পেশ করা হয়েছে।এই সভায় একই সাথে এই অতিমারি সম্পর্কিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রচারিত সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতন করা হয়।রতনপুরে এই কর্মসূচী চলাকালীন পথচলতি মানুষ ও এলাকাবাসীর মধ্যে মাস্ক বিতরন করা হয়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য রবিবার বাঁকুড়া সদর শহরের চা্র্চ মোড়ে যুব সংগঠনের উদ্যোগে সংগঠনের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভয় মুখার্জির উপস্থিতে ডাঃকাফিল খানের মুক্তির দাবীতে বিক্ষোড কর্মসূচী সংগঠিত করে।এই বিক্ষোভ সভায় অভয় মুখার্জি বলেন উত্তর প্রদেশ সরকার যদি অবিলম্বে ডাঃকাফিলকে মুক্তি না দেয় তাহলে যুব ফেডারেশন আরো তীব্র আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।
দুইহাজার এগারো সালের পর রতনপুর এলাকায় এই প্রথম ছাত্র যুবদের ঊদ্যোগে কোন প্রকাশ্য কর্মসূচী পালন করা হলো। খবরে প্রকাশ দু’হাজার এগারো সালে বামেদের পরাজিত করে বর্তমান শাসকদল ক্ষমতায় আসার পর থেকে তীব্র সন্ত্রাস নামিয়ে বামেদের সবধরনের কর্মসূচী বন্ধ রাখতে বাধ্য করে শাসকদলের কর্মী ও তাদের আশ্রিত সমাজবিরোধীরা।

এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর উচ্ছাস ছিল নজিরবিহীন। বিরোধী দলের সমর্থক অনেক ছাত্র, যুব তথা সাধারন এলাকাবাসী দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থেকে এই সভার বক্তব্য শোনেন।এলাকায় কথা বলতে গিয়ে জানা গেলো যে বামপন্থীরা যেভাবে আন্দোলনের তীব্রতা বৃদ্ধি করে চলেছে তার ফলে এই সরকার দুটির ভূমিকায় ক্ষুব্ধ মানুষ জন ক্রমশ চোয়াল দৃঢ় করে এদের হাত থেকে মুক্তি পেতে লালঝান্ডার উপর আস্থা রাখছেন।বামেদের আন্দোলনের তীব্রতায় সারা রাজ্যে দুই ফুলের অস্তিত্ব ক্রমশ বিপন্ন হয়ে উঠছে। এলাকার মানুষ বলছেন তাঁরা চান দুহাজার এগারর ভুলের পুনরাবৃত্তি যেন না হয়। আর তাই বামপন্থীদের শক্ত হাতে সংগঠনের রাশ ধরে আন্দোলন কর্মসূচী আরও তীক্ষ্ণ, আরও তীব্র করতে হবে।

