জেলা

হুগলি বার্তাঃ –


চিন্তন নিউজ:- দেবারতি বাসুলীঃ-নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ৮৯-তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হলো পাণ্ডুয়া চক্রের পক্ষ থেকে,পাণ্ডুয়া এরিয়া কমিটির অফিসে। পতাকা উত্তোলন ও শহীদ বেদীতে মাল্যদানের মাধম্যে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন সমিতির পাণ্ডুয়া চক্রের কার্যকরী সভাপতি আব্দুর রহিম মহাশয়। উপস্থিত ছিলেন সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও হুগলী জেলা কমিটির সহ সম্পাদক জয়দেব ঘোষ, পাণ্ডুয়া জোনাল সহ সভাপতি আমজাদ হোসেন,চক্র সম্পাদক শান্তনু ব্যানার্জী এছাড়া অন্যান্য চক্র পরিষদ সদস্য এবং জোনাল ও জেলা নেতৃত্ববৃন্দ।

সংগঠনের পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে 89 তম প্রতিষ্ঠা দিবস জেলা অফিস ( অমিয় মৈত্র স্মৃতিভবন ,টালিখোলা ,চুঁচুড়া, হুগলি)-এ পালন করা হলো । পতাকা উত্তোলন করেন সংগঠনের প্রাক্তন জেলা সম্পাদক বর্ষিয়ান কমরেড নরেন দে ।

সুদীপ্ত সরকারঃ-জাঙ্গীপাড়া এরিয়া কমিটির অন্তর্গত রাজবলহাট-২ পূর্ব শাখার সদস্য কমরেড মধুসূদন দাস গতকাল সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ রহিমপুরে নিজ বাস ভবনে প্রয়াত হয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে লিভারের অসুখে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
প্রয়াত কমরেড মধুসূদন দাস ১৯৬৯ সালে পার্টি সদস্যপদ লাভ করেন। ১৯৮৫ সালে পার্টির জাঙ্গীপাড়া লোকাল কমিটি থেকে ৩টি প্রস্তুতি কমিটি গঠিত হলে তিনি পশ্চিম লোকাল কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্ত্তী কালে পূর্বতন জাঙ্গীপাড়া জোনাল কমিটির দীর্ঘদিন সদস্য ছিলেন। কৃষক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পার্টিতে এলেও শিক্ষকতা জীবন শুরুর পর শিক্ষক আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্ব হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি দীর্ঘদিন নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতির জাঙ্গীপাড়া থানার সম্পাদক ও হুগলী জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন।
জাঙ্গীপাড়া থানার সাহিত্য, সংস্কৃতি, স্বাক্ষরতা ও বিজ্ঞান সচেতনতার প্রসারে সচেষ্ট ছিলেন। কমরেড মধুসূদন দাসের মৃত্যুতে জাঙ্গীপাড়া থানার শিক্ষা, সংস্কৃতি ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অপূরনীয় ক্ষতি হল।
মরণোত্তর চক্ষু দান সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে তিনি উল্লেখ যোগ্য ভূমিকা পালন করেছেন।গতকাল সন্ধ্যার পর তাঁর পরিবারের লোকজন চোখ দুটি রাজবলহাট কালচারাল সার্কেলের মাধ্যমে কোলকাতার মেডিক্যাল কলেজের চক্ষু বিভাগে দান করেন। আজ সকাল ৮টা ৩০মিনিটে রহিমপুর বাস ভবন থেকে মরদেহ প্রথমে সেবায়ন, রাজবলহাট কালচারাল সার্কুলার দপ্তর ঘুরে নবগ্রাম পীরতলা পার্টি অফিসে এসে পৌঁছালে প্রয়াত কমরেডের মরদেহে লাল পতাকা দিয়ে ঢেকে দেন রাজবলহাট-২ পূর্ব শাখার সম্পাদক গোবিন্দ মালিক। জাঙ্গীপাড়া থানার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রবীণ নেতৃত্ব মনীন্দ্র নাথ জানা,সুদীপ্ত সরকার,শ্যামল পালধি, রামচন্দ্র মণ্ডল, নারায়ণ কোলে সহ অন্যান্য নেতৃত্বগণ। অনুষ্ঠানের শেষে প্রয়াত কমরেডের মরদেহ নিয়ে মিছিল করে জাঙ্গীপাড়ার এরিয়া কমিটির কার্য্যালয় অমল সিংহরায় ভবনে পৌঁছলে প্রয়াত কমরেডের বুকে পার্টির রক্ত পতাকা, মালা দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান জেলা কমিটির সম্পাদক ও রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দেবব্রত ঘোষ এবং মনীন্দ্র নাথ জানা। প্রয়াত কমরেডকে শেষ শ্রদ্ধা জানান এরিয়া কমিটির সম্পাদক ও জেলা কমিটির সদস্য সুদীপ্ত সরকার। এরিয়া কমিটির সদস্য বিরাজ সিংহরায়,হরপ্রসাদ সিংহরায়, মমতা বসুমল্লিক, তপন রায়, সুদীপ্ত ঘোষ, গণেশ পাল, রাজকুমার ঘোষ, রওসন মল্লিক, অমিতাভ ব্যানার্জী, ডাঃ পল্লব দে সহ সকল শাখা সম্পাদক ও অঞ্চলের নেতৃত্বগণ। রেড ভলান্টিয়ার্সের পক্ষ থেকে মাল্যদান করেন অতনু কুণ্ড। পরিবারের পক্ষে দুই পুত্র অভিজিৎ দাস, সুরজিৎ দাস কন্যা অর্পিতা দাস, পুত্রবধূ মৌটুসি রায়, পৌত্র অস্মিত দাস ও অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
অমল সিংহরায় ভবন থেকে মিছিল করে একদা তাঁর কর্মস্থল জাঙ্গীপাড়া ডি এন হাইস্কুল ঘুরে রহিমপুর নবগ্রাম হাইস্কুল হয়ে প্রয়াত কমরেডের মরদেহ নিয়ে শেষকৃত্যের জন্য স্থানীয় শ্মশানে রওনা দেন।

চলে গেলেন কমরেড মধুসূদন দাস। আমৃত্যু ৫৪বছর তিনি কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ ধরে রেখেছিলেন। কখনও পার্টি আদর্শচ্যুত হননি। তাঁর অসমাপ্ত কাজ শেষ করার শপথ নিয়ে চোখের জলে বিদায় জানালেন পার্টির নেতৃত্ববৃন্দ অগনিত কর্মী ও সমর্থকবৃন্দ।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।