জেলা

অসহায় ২ শিশুসহ ৬ পরিযায়ী শ্রমিকের পাশে দাঁড়ালো সংবাদকর্মী থেকে সমাজসেবী


সঞ্জিত দে : চিন্তন নিউজ:- ধূপগুড়ি ২৯ জানুয়ারি:- ভিন রাজ্য থেকে এ রাজ্যে কাজে এসে বিপাকে পরিযায়ী শ্রমিকের দল। অসহায় ২ শিশুসহ ৬ পরিযায়ী শ্রমিকের পাশে দাঁড়ালো সংবাদকর্মী থেকে সমাজসেবী। তাদের বাড়ি ফেরার এবং রাতের খাবারের ব্যবস্থা করা হলো।

জানা গেছে, দু’দিন আগে মহারাষ্ট্রের নাগপুর থেকে কোচবিহারে কাজের উদ্দেশ্যে এসেছিলেন দুই শিশু সহ চারজন পরিযায়ী শ্রমিক। তবে কোচবিহারে যে ঠিকাদারের অধীনে তাদের কাজ করার কথা ছিল সে দাঁঁড়াতে বলে আর ফিরে আসেনি বলে অভিযোগ। এরপর অসহায় অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে কোচবিহারে স্টেশনে অপেক্ষা করতে থাকেন তারা, কিন্তু ঠিকাদারের খোঁজখবর তারা পাননি। এরপর দু’দিন বিভিন্ন স্টেশন চত্বরে কাটিয়ে ঠিকাদারের খোঁজ চালান সেই পরিযায়ী শ্রমিক এর দল। তবে তাদের কোন খোঁজ খবর না পেয়ে শেষমেষ মহারাষ্ট্র ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তারা। তবে বাধ সাধে আর্থিক সংকট। কেন না কাজে যোগ দিতে এসে এমনিতেই খরচা হয়ে গিয়েছে পকেটে থাকা শেষ সম্বল টুকু। তাই দুদিন থেকে না খেয়েই দিন কাটছিলো তাদের। নানা ভাবে ঘুরতে ঘুরতে শুক্রবার তারা এসে পৌছায় ধূপগুড়িতে।

এরপর সাহায্যের জন্য ধূপগুড়ির বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল সেই পরিযায়ী শ্রমিকের দল। শুক্রবার রাতে কন কনে ঠান্ডায় তারা ইতস্তত ঘুরতে থাকে।বিষয়টি নজরে আসে ধূপগুড়ি প্রেস ক্লাবের সদস্যদের। প্রেস ক্লাবের সদস্যদের সামনে তারা তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এর পরেই প্রেস ক্লাবের সাংবাদিক সদস্যরা টাকার ব্যাবস্থা ও খাবারের ব্যাবস্থা করেন। এরপর স্থানীয় এক সমাজসেবী অসীম পালের সহযোগিতায় সেই অসহায় পরিযায়ী শ্রমিকদের হাতে রাতের খাবার তুলে দেওয়া হয়। মহারাষ্ট্রের নাগপুরে ফিরে যাওয়ার ট্রেনের টিকিটের খরচা তুলে দেওয়ায় খুশি পরিযায়ী শ্রমিকরা।

প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে খুশি হয়েছেন সেই পরিযায়ী শ্রমিকরা। প্রেস ক্লাবের তরফ থেকে জানানো হয়েছে কিছু মানুষ অসহায় অবস্থায় রাস্তায় পাশে বসে ছিলেন সঙ্গে দুই শিশু সন্তান ছিলো।

এবিষয়ে ধূপগুড়ি প্রেস ক্লাবের সম্পাদক সপ্তর্ষি সরকার বলেন,” এই শীতের মধ্যে রাস্তার পাশে কিছু মানুষকে দেখে মনে হয় যে তারা সমস্যায় রয়েছেন। এরপর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের সমস্যার বিষয়ে জানতে পারি। স্বাভাবিকভাবেই মানবিক দিক থেকে বিচার করে আমরা সাধ্যমত তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। ক্যটারিং ব্যবসায়ী সমাজসেবী অসীম পালকে জানাই। এরপর সবাই মিলে তাদের খাওয়ার ও যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।”

প্রেস ক্লাবের অন্যতম সংগঠক রনি চৌধুরী বলেন তবে শুধু খবর করাটাই আমাদের উদ্দেশ্য নয় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোটা একটা সামাজিক দায়িত্ব এটা আরো একবার প্রমান করে দিল প্রেসক্লাব।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।