বিদেশ রাজনৈতিক

সরকারের পেনশন সংষ্কার নীতির প্রতিবাদে স্তব্ধ ফ্রান্স।।


চৈতালি নন্দী: চিন্তন নিউজ : ১৯/০৩/২০২৩:- ছবির শহর বলে পরিচিত, ছবির মতো সাজানো অত‍্যাধুনিক শহর ফ্রান্স পরিণত  হয়েছে আবর্জনার স্তুপে । প্রতিবাদে প্রতিরোধে স্তব্দ হতে বসেছে সেখানকার অর্থনীতি। দেশ জুড়ে  শুরু হয়েছে ধর্মঘট। সরকারের পেনশন সংষ্কার নীতির প্রতিবাদেই চলছে এই সর্বব‍্যাপী আন্দোলন।
 
এই ঘটনার সূত্রপাত চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি। ইম‍্যানুয়েল ম‍্যাঁক্রো সরকারের পেনশন সংষ্কারের নামে অবসরের বয়স ৬২ থেকে ৬৪ করার সিদ্ধান্ত। কমপক্ষে চাকরি করতে হবে ৪৩বছর। মানুষ মনে করছে সংষ্কারের নামে  সর্বজনীন পেনশন ব‍্যাবস্থা  তুলে দিয়ে সুষ্ঠু পেনশন ব‍্যাবস্থার মূলে আঘাত করতে চাইছে সরকার। বামপন্থী নেতা জাঁ লুক মেলেশ  মনে করেন এই নীতি কোনভাবেই কার্যকর করতে দেওয়া যাবেনা । কারণ সরকারের এই পদক্ষেপে অনিশ্চিত হয়ে যাবে পেনশন ব‍্যাবস্থা যা আঘাত হানবে মানুষের স্বার্থে।


         
  মার্চের শেষদিকে এই নীতি গৃহীত হবার আশঙ্কায় শুরু হয়েছে টানা ধর্মঘট। এই সর্বাত্মক ধর্মঘটের জেরে স্তব্ধ হয়েছে পরিবহন ব‍্যাবস্থা সহ, তৈল শোধনাগার, স্কুল, কলেজ এবং সরব হয়েছে বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়নসমূহ। ট্রাকচালক ও সাফাইকর্মীরাও এই আন্দোলনে যোগ দেওয়ার ফলে বন্ধ হয়ে গেছে সাফাইকার্য। ফলে শহর পরিণত হয়েছে জঞ্জালের স্তুপে। এতে যোগ দিয়েছে বিভিন্ন মহিলা সংগঠন গুলিও, কারণ পুরো পেনশন পাওয়ার জন‍্যে পুরুষ দের থেকে মহিলা দের বেশি সময় ধরে কাজ করতে হবে। প্রতিদিন আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অত‍্যাবশ‍্যক সেক্টরে। গণ ইস্তফা দিয়েছেন ৬০৯ র বেশি চিকিৎসক।

ছাত্র শিক্ষক সহ দেশের শ্রমজীবী মানুষের যোগদানে আন্দোলনের তীব্রতায় গভীর সংকটে সরকার।আন্দোলন কারীরা মনে করছেন এই আন্দোলন চলবে।কারণ এই জটিল সমস‍্যার সমাধান করতে গেলে সরকারের যে বিচক্ষণতা ও দক্ষতা প্রয়োজন তা আছে বলে আন্দোলনকারীরা মনে করেন না। এই পুঁজিবাদী ব‍্যাবস্থায় শাসকের চরিত্র কমবেশি একই। তাই নিজেদের প্রাপ‍্য দাবি আদায়ে আন্দোলন ই একমাত্র পথ।



মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।