জেলা রাজনৈতিক

অশীতিপর বৃদ্ধ হলেও চির যৌবন – সংগ্রামী মানুষদের পথপ্রদর্শক সুনীতিকুমার বিশ্বাস- চিরকুমার।


মিতা দত্ত: চিন্তন নিউজ: ৮ই আগস্ট:- জনবিজ্ঞান আন্দোলনে ওনার সহযোগী তপন সামন্ত বলেন,সুনীতিবাবু তখন জি,টি,আই এর শিক্ষক, বিজ্ঞান মঞ্চের একটি প্রোগ্রাম নিয়ে ছাত্রদের মধ্যে প্রচারে গেছিলেন। তখন থেকেই তিনি বিজ্ঞান আন্দোলন সম্পর্কে উৎসাহী হয়ে পড়েন। সেই যে পথ চলা শুরু আজও তা অব্যাহত। গাদিয়ারায় সূর্যগ্রহণে মুর্শিদাবাদ থেকে অনেকের সাথে তিনিও গেছিলেন, সবাই যখন মহাজাগতিক ঘটনার স্বাদ নিচ্ছেন, তিনি তখন সবাইকে খাওয়ানোর জন্য রান্নাতে ব্যস্ত। এইভাবেই দায়িত্ব নিয়েই কাজ করে যাচ্ছেন। সবদিকেই তাঁর নজর। অসুস্থতার কারণে সব জায়গায় উপস্থিত হ’তে না পারলেও সব নখদর্পণে থাকে।

অল্পবয়সে পিতৃবিয়োগ হওয়ায় লড়াই তাঁর জীবনে অঙ্গীভূত হয়ে গিয়েছিল। নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে দিয়ে বেড়ে ওঠা মানুষটি শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন শুধু শিক্ষকতা নয়, তার সাথে সমাজ পরিবর্তনের লড়াই এ যুক্ত হ’তে হবে। স্বাধীন ভারতেও এই কাজটি খুব সহজ ছিলো না। তাই পুরষ্কার হিসেবে জুটেছিল কারাবাস। তাই বলে লড়াই এর ময়দান থেকে পিছোপা হননি। তাই আজও তিনি প্রথমসারির যোদ্ধা।

ওনার আরেকটি গুণ পড়াশোনা ও লেখালেখি করা। জীবদ্দশায় উত্তর প্রজন্মের জন্য লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস লিপিবদ্ধ করেছেন তাঁর আত্মজীবনীতে ।এছাড়া নানা পত্রপত্রিকায় বিচিত্র বিষয়ে তিনি কলম ধরেন যা কমরেডদের কাছে শিক্ষণীয়।

তিনি নিজে যেমন যোদ্ধা ,তেমনি আরও যোদ্ধা তৈরীর লক্ষ্যে মুর্শিদাবাদ জেলা সি,পি, আই, এম পার্টিকে দশহাজার টাকা দিলেন গণশক্তি তহবিলের জন্য। ওনার এই দান অন্যদেরও পথ দেখাবে ।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।