জেলা

দুটি পাতা একটি কুঁড়ির দেশে শোষণ বঞ্চনা চলছেই


সঞ্জিত দে: ধূপগুড়ি: চিন্তন নিউজ:- ১৯ মেঃ–চা বাগান শ্রমিকদের শোষণ, বঞ্চনা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। -দুটি পাতা একটি কুঁড়ির দেশে শোষণ বঞ্চনা যেন নিত্য দিনের সঙ্গী। শ্রমিকদের ন্যুনতম মুজুরি দিতে মালিকদের হরেক টালবাহানা। শ্রমিকদের আবাসনের জমির নেই পাট্টা, অবসরের পর নেই পেনশন।এসবের বাইরে প্রতিদিনের জীবনযন্ত্রণা অভাব অভিযোগ সে সব তো আছেই। চা শ্রমিক সংগঠন সমূহের যৌথ সংগঠন জয়েন্ট ফোরামের ডাকে সাত দফা দাবি সম্বলিত স্মারক লিপি মুখ্যমন্ত্রী কে দেবার জন্য বৃহস্পতিবার ডুয়ার্সের বানারহাটে দুই স্থানে হলো অবস্থান বিক্ষোভ ডেপুটেশন কর্মসূচী। নবগঠিত বানারহাট বিডিও অফিসের সামনে এবং ভারত ভুটান সীমান্তের চামুর্চি পুলিশ ফাঁড়ির সামনে। সকাল দশটা থেকে বেলা বারটা পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলে।বানারহাট বিডিও অফিসের সামনে দাবি সনদ নিয়ে বিস্তারিত বক্তব্য রাখেন জয়েন্ট ফোরামের আহ্বায়ক জিয়া উল আলম, মনি কুমার ডার্নাল, গোপাল প্রধান অজয় মাহালি প্রমুখ শ্রমিক নেতা।

অন্যদিকে চামুর্চিতে বক্তব্য রাখেন তিলক ছেত্রী, রামলাল ওরাও, সার্বিক লোহার প্রমুখ।বানারহাট বিডিও অফিসের সামনে জমায়েত হয়েছিল বানার হাট বিন্নাগুড়ি হলদি বাড়ি পাড়া মোগল কাটা কলাবাড়ি তোতা পাড়া চা বাগানের সহস্রাধিক চা শ্রমিক। চামুর্চিতে উপস্থিত ছিল চামুর্চি নিউ ডুয়ার্স আমবাড়ি চুনা ভাটি রিয়াবাড়ি বাগানের শ্রমিকরা।বানারহাটের বিডিও এবং চামুর্চি পুলিশ ফাঁড়ির আধিকারিক চা শ্রমিকদের স্মারক লিপি গ্রহন করে জানান তারা এই দাবি পত্র মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ে পাঠিয়ে দেবার উদ্যোগ নেবেন। চা শ্রমিক নেতৃত্ব অভিযোগ করে বলেন গত সাত বছরের বেশি সময় ধরে নুন্যতম মুজুরি ৬৬০ টাকা করার দাবি মালিক পক্ষ নানা অজুহাতে ঝুলিয়ে রেখেছে রাজ্য সরকার উদাসীন থাকছে।বেশ কয়েকটি সরকারি সভা হলেও ইতিবাচক ফল আসেনি। জমির পাট্টা দেওয়া অবসরের বয়স ৫৮ থেকে ৬০ করা অবসরকালীন পেনশন ছয় হাজার টাকা এবং চুক্তির নির্ধারিত সময়ের পরে চা পাতা তোলার মুজুরি দ্বিগুন করার দাবি উল্লেখ করা হয়েছে দাবি পত্রে। জয়েন্ট ফোরামের নেতৃত্ব বলেন এর পরেও সরকার সাড়া না দিলে বড় এবং ব্যাপক আন্দোলন করা হবে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।