রাহুল চ্যাটার্জি: চিন্তন নিউজ:৩১শে মার্চ:–১৩০ টি দু:স্থ পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিলো ডি ওয়াই এফ আই। লক ডাউন চলছে। গরিব দু:স্থ মানুষের হাতে কাজ নেই। অর্থের উপার্জন করার সুযোগও নেই। দিন আনা, দিন খাওয়া মানুষ গুলোর আজ অসহায়। এদের পাশে আছে ডি ওয়াই এফ আই। আজ রামপুরহাট শহরের ১৭, ১৪ নং ওয়ার্ডের ৫০ টি ও ৩০ টি ও রামপুরহাট ২ নং ব্লকের মাজিরা গ্রামের ৫০ টি দুঃস্থ পরিবারের হাতে চাল, ডাল, তেল, আলু ও অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী পোঁছে দেয় ডি ওয়াই এফ আই কর্মীরা।
এদিন মাজিরা গ্রামের বাসিন্দা দৃষ্টিহীন আব্দুল মজিদের হাতেও খাদ্য সামগ্রী তুলে দেয় ডি ওয়াই এফ আইয়ের কর্মীরা। এদিন ১৭ ও ১৪ নং ওয়ার্ডে সামগ্রী বিলির সময় উপস্থিত ছিলেন ডি ওয়াই এফ আই বীরভূম জেলা সভাপতি অমিতাভ সিং, তার সাথে সহযোগী ভূমিকায় ছিলেন আফতাব আলম, সুলতান খান, প্রমুখরা।।অন্যদিকে আকবর আলী ও অন্যান্যরা মাজিরা গ্রামে দরিদ্র মানুষের হাতে সামগ্রী তুলে দেন। লক ডাউন চলছে। সারা দেশ গৃহবন্দি। তারমধ্যেই সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে মানুষের পাশে আছে ডি ওয়াই এফ আই।
গত এক সপ্তাহ ধরে রামপুরহাটের যুবরা উল্লেখযোগ্য ভাবে মানুষের পাশে দাড়াঁতে পেরেছেন। সে সম্পর্কিত আরো কিছু তথ্য দেওয়া হলো:-
১) আজকের আগে পর্যন্ত ডিওয়াইএফআই রামপুরহাট ১ পূর্ব লোকাল কমিটির পক্ষ থেকে ৬০ জন দু:স্থ পরিবারের হাতে চাল, ডাল, তেল, সাবান তুলে দেওয়া হয়েছে রামপুরহাট শহরের ১ ও ১৪ নং ওয়ার্ডে।
২)মাস্ক, সাবান বিতরণ হয়েছে ৫০ টি পরিবারে রামপুরহাটের ১৩ নং ওয়ার্ডে।
৩) তিন জন পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারের খাদ্যের দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে যতদিন লক ডাউন পিরিয়ড চলবে ততদিন পর্যন্ত।
৩) রামপুরহাটের ১৮ টি ওয়ার্ডের ফুটপাতে বসবাসকারী রেশন কার্ডহীন পরিবারগুলির জন্য খাদ্যের দাবি জানানো হয় মহকুমা শাসককে।
৪) রেল স্টেশনের ভবঘুরেদের জন্য খাবারের ব্যবস্থার প্রথম দাবি মহকুমা শাসকের কাছে রেখে ছিলো ডিওয়াইএফআই এবং পরে সেই দাবি মেনেই মহকুমা শাসক সাংবাদিক ও ব্যবসায়ী সমিতির সাথে সভা করেন। যার ফল রেল স্টেশনের ভবঘুরেরা দুবেলা খাবার পাচ্ছে।
৫) পরিযায়ী শ্রমিকদের হেল্প লাইনের মাধ্যমে সাহায্য।
৬) রাত্রি ১ টা হলেও যুব কর্মীরা পৌঁছে যাচ্ছেন সময়ে বৃদ্ধ অসহায় পরিবারের কাছে ঔষধ পোঁছে দিতে।।
এদিনের এই তিন কর্মসূচির পর গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন এর বীরভূম জেলা সভাপতি অমিতাভ সিং বলেন “মানুষকে আরো বেশি বেশি করে সাহায্য করতে হবে, মানুষের পাশে থাকতে হবে। করোনার থাবা যেন কারোর পেটে না পরে”।