রাজ্য

আমফানের জেরে এখন‌ও বিপাকে হুগলি-চ়ুঁচুড়ার মানুষ


সূপর্ণা রায়:চিন্তন নিউজ’: ২৮শে মে:- চুঁচুড়ার মানুষের দূর্ভোগ যেন কাটতেই চাইছে না। মানুষের চরম ক্ষতি করে বিদায় নিয়েছে উম্ফান ঘূর্ণিঝড় ।। চাষবাস সহ সবকিছুর চরম সর্বনাশ করেছে।। বিদ্যুৎ বিহীন অবস্থায় কাটাতে হয়েছে কমবেশি ছয় দিন কাজেই পানীয় জল সহ নিত্যদিনের কাজের চরম অসুবিধা হয়েছে।। আজ আটদিন হলো উম্ফান বিদায় নিয়েছে কিন্তু এখন ব্যবস্থা ঠিক হয়নি।। কোন কোন অঞ্চলের মানুষের ভোগান্তি চরমে।।। কেননা একবার লোডশেডিং হ’লে আর পাঁচ ছয় ঘন্টার আগে দেখা মিলছে না।।ইন্টারনেট ব্যবস্থা অস্বাভাবিক রকমের খারাপ।। এর ফলে মানুষের দূর্ভোগ আরও বেড়েছে।। মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছেন ব্যাঙ্কে গিয়ে।। নেট কানেকশন ঠিকমতো নেই তাই টাকা তোলার ক্ষেত্রে চুড়ান্ত অসুবিধার সম্মুখীন মানুষ।। অধিকাংশ এটিএম বুথ গুলোতে টাকা নেই।। মাসের শেষ,।মানুষের টাকার প্রয়োজন। ব্যাঙ্কে নিজেদের টাকা জমা পড়তে শুরু করেছে অথচ খালি হাতে অসহায়ের মতো বাড়ি ফিরতে হচ্ছে টাকা না নিয়ে।।

উত্তর পাড়ার এক আবাসনের বাসিন্দার খুব প্রয়োজন টাকার অথচ দু’দিন হন্যে হয়ে ঘুরেও টাকা তুলতে পারেন নি।। ডানকুনির রঘুনাথপুর বাজার এলাকার এক তরুণ আট কিলোমিটার উজিয়ে উত্তর পাড়ার স্টেশন লাগোয়া একটি এটিএম বুথে টাকা না পেয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। রাজ্যে প্রথম করোনা সংক্রমণ আর তারপর এই ঘূর্ণিঝড় আর পিছন পিছন এই লোডশেডিংয়ের তান্ডব সাথে জল থেকে নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র উধাও হয়ে যাওয়া, মানুষের প্রশ্ন এখন কি তবে নিজের টাকাও উধাও হয়ে যাবে ?

চন্দননগরের অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী সমরেশ দাস জানালেন যে তিনি টাকা তুলতে না পেরে চরম বিপাকে পড়েছেন।। জানালেন চন্দননগরের এটিএম এ টাকা না পেয়ে একটা টোটো ভাড়া করে চুঁচুড়ার একটি এটিএম বুথে আসেন, তারপর সেখানে টাকা না পেয়ে খাদিনামোড় পর্যন্ত যতগুলো বুথ আছে সবকটা যে ঘুরেও হন্যে হয়ে শেষ পর্যন্ত টাকা না পেয়ে বাড়ী ফেরেন।।

এ তো চুঁচুড়া চন্দননগরের মতো শহরাঞ্চলের অবস্থা।। আরও খারাপ অবস্থা প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দা দের।। চন্ডীতলার মশাট অঞ্চলে মাত্র তিনটি এটিএম বুথ তার মধ্যে একটিতে টাকা পাওয়া যাচ্ছে।। কিন্তু তা তুলতে যা লাইন পড়ছে তাতে করে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।। আর এক অদ্ভুত অবস্থার সম্মুখীন মানুষ।। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে হাতে হাতে টাকা পাওয়ার পথ ও বন্ধ কারন ব্যাঙ্কে “লিঙ্ক” নেই।। নেট কানেক্ট হচ্ছে না।। এদিকে করোনা সংক্রমণ এর আশঙ্কা। সরকারি বিধি মেনে চলতে গিয়ে বিশাল বিশাল লাইন পড়ছে।। সাপের মত এঁকে বেঁকে মানুষ নিজের হকের টাকা তোলার জন্য লাইন দিচ্ছেন।। চড়া রোদের মধ্যে এই অসহ্য গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন গ্রাহকরা।

উত্তর পাড়ার এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের নিরাপত্তা রক্ষী জানালেন যে তাঁরা অসহায় এর মতো মানুষের কষ্ট দেখছেন।। জানালেন এটিএম এ টাকা নেই মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠছেন তাঁদের উপর।। অত্যন্ত আশঙ্কা জনক অবস্থায় রয়েছেন মার খাওয়ার ভয়ে। এই সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন চুঁচুড়ার একটি রাষ্ট্রয়াত্ত ব্যাঙ্ক এর ম্যানেজার।। তিনি বলেন এটিএম এ টাকা ভরা হয় এজেন্সি মারফত।। সেই টাকা ভরার ক্ষেত্রে সমস্যা আছে ।। এদিকে লোডশেডিংয়ের পাশাপাশি রয়েছে লিঙ্ক এর সমস্যা।। গ্রাহকদের চুড়ান্ত অসুবিধার কথা তিনি মেনে নিয়েছেন।।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।