জেলা

দেশদ্রোহী তকমায় এখনও কারাগারে অসমের দেবেংগনা


সীমা বিশ্বাস, আসাম: চিন্তন নিউজ:২৯শে মে:– আসামের ডিব্রুগড়ের ডঃ হেম কলিতার (cardiologist) কন্যা দেবেংগনা কলিতা দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ছাত্রী। বিগত এক বছর ধরে তিহার জেলে বন্দী হয়ে আছেন। সংবিধান বিরোধী সিএএ(citizenship amendment act)র বিরুদ্ধে “পিঞ্জরা তৌড় দে” সংগঠনের নেত্রী দেবেংগনা কলিতা দিল্লী র রাজপথ কাঁপিয়ে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে সরকার চারটি মামলা রুজু করে। তিনটিতে তিনি জামিন পেয়েছেন কিন্তু চতুর্থ মামলাটি ছিল বেআইনি কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত। দিল্লী হাইকোর্ট কোভিড পরিস্থিতির জন্য এই মামলার শুনানি স্থগিত রাখে।

ইতিমধ্যে বিভিন্ন সংগঠন থেকে ছাত্র যুব মহিলা, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক মানুষ সরকারের এই ফ্যাসিবাদী ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করে এবং তাদের বক্তব্য– “কোন আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা একজন ব্যক্তিকে দেশদ্রোহী আখ্যা দিতে পারে না। এটি গণতন্ত্রের একটি অংশ। প্রতিবাদী কন্ঠ ভারতে এখন অপরাধ কি !!! যারা তাকে দেশদ্রোহী বলেছেন তাদের প্রথমে নিজেকে দেশপ্রেমিক হিসাবে প্রমাণ করা উচিত।”

অনেকেই দেবেংগনাকে নিয়ে বিরুদ্ধ মন্তব্য করছেন। টুকরে টুকরে গেঙদের এভাবেই জেলে পুরে রাখতে হয় ইত্যাদি। কিন্তু দেবেংগনা ব্যাতিক্রমী। জেলে কয়েদীদের সবার জন্য ভ্যাকসিন দেওয়ার আবেদন করেছেন। এখন কয়েদীদের মধ্যে ভ্যাকসিন প্রক্রিয়া আরম্ভ হয়েছে। অন্যদিকে কোভিডের সময়ে কারাবন্দীরা যাতে বেশি সময় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন তার ব্যবস্থা করেছেন।

নিখিল ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি রাজনৈতিক কারাবন্দী দের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।