জেলা

করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন সদালাপী, সহজ, সরল তাপস চক্রবর্তী, হাওড়ার মানুষের প্রিয় বাবনদা


সুশান্ত দাস:চিন্তন নিউজ:২২শে সেপ্টেম্বর:- হাওড়া জেলার সবার অত্যন্ত পছন্দের, অতি প্রিয় তাপস(বাবনদা) চক্রবর্তী করোনা আক্রান্ত হয়ে আজ চলে গেলেন না ফেরার দেশে। সঞ্জীবনী হাসপাতালে আজ সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। সারাজীবন নিপীড়িত মানুষের মুক্তির স্বপ্ন দেখতেন এবং তাদেঁর মুক্তির জন্য আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন। সদালাপী এবং সহজ সরল জীবন যাপন করতে অভ্যস্ত ছিলেন বাবন দা। ডাক্তার বন্ধুদের নিয়ে তৈরি কররেছিলেন “সঞ্জীবনী “হাসপাতাল। অত্যন্ত দায়বদ্ধতা নিয়ে চিকিৎসা হচ্ছে এই হাসপাতালে। কমরেড তাপস চক্রবর্তী চিরজাগরুক থাকবেন হাওড়াবাসীর অন্তরে। বাবনদাদের বাড়িতে লেখাপড়ার জন্য ছিল কত ছাত্রদের আনাগোনা! তাপস দার বাবা -মা অসাধারণ মানুষ ছিলেন। বাবন দা কলকাতা মাঠে খেলতেন বিখ্যাত সব খেলোয়াড়দের সঙ্গে।ভারতের ফুটবল দলের অধিনায়ক সুদীপ চ্যাটার্জিরা ছিলেন তাপসদার সহখেলোয়াড়! বাবন দা বি ই কলেজে সহযাত্রী ক্লাবে নিয়মিত ফুটবল খেলতেন। সুদীপ চ্যাটার্জি এবং কলকাতা মাঠের অনেক বিখ্যাত ফুটবলার তখন সহযাত্রী ক্লাবে খেলতেন।

প্রধানতঃ পারিবারিক আর্থিক সংকট মেটাতে খেলাছেড়ে তাপসদা চাকরী করতে যান। বাবা উমা প্রসন্ন চক্রবর্তী (সবার উমা দা)ছিলেন বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী ।বিপ্লবী গনেশ ঘোষদের সঙ্গে জেল খেটেছিলেন। সারা জীবন গরীব ছাত্র-ছাত্রীদের খাওয়ার এবং লেখাপড়ার ব্যবস্থা নিজের বাড়িতেই করতেন। শিবপুর দীনবন্ধু কলেজের প্রধান করণিক ছিলেন । কিন্তু ছেলেমেয়েদের কাছে ‘উমাদাই’ ছিলেন কলেজের প্রাণ পুরুষ।ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়া ও খাওয়াতে গিয়ে পরিবারের সদস্যরাও অনেক কষ্টের মধ্যে দিন যাপন করেছেন । কিন্তু আনন্দের সঙ্গে নতুন সমাজের স্বপ্নে বিভোর ছিলেন সবাই। তাপস দার মা শ্রদ্ধেয়া বাদলরাণী চক্রবর্তী অসামান্য ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর অন্যান্য ভাইবোনদের ভূমিকাও অসাধারণ !


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।