দেশ বিদেশ

সংবিধানকে আক্রমণ করছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী!


সূপর্ণা রায়:চিন্তন নিউজ:২৬শে জুলাই:–সংবিধান কে আক্রমন মোদী সরকারের———- দ্বিতীয় বার সরকার এ এসে মোদী সরকার যেভাবে সংবিধান ও সাংবিধাংগুলির উপর আক্রমন নামিয়ে আনছে তার বিরুদ্ধ -এ ঐঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার প্রয়োজন বলে মনে করছেন সিপিআই- এম এর সাধারন সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।। তিনি এক সাংবিধানিক বৈঠকে বলেছেন দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসে দক্ষিনপন্থাকে সংহত করেছে বিজেপি—আর এস এস।। এর বিরুদ্ধ এ রাজনৈতিক ভাবে বামপন্থা কে সংহত করতে হবে।। সংবিধান ——-নাগরিক অধিকার ও মানুষের জীবনজীবিকার ওপরে আক্রমনের প্রতিরোধ এ ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম করতে হবে এবং সেই সংগ্রামে আসতে আগ্রহী সকল কে নিয়েই প্রতিরোধ আন্দলোন গড়ে তুলতে হবে।। সাংবিধানিক বৈঠকে কমঃ ইয়েচুরি বলেন দেশের পক্ষে সব বিপজ্জনক ঘটনা ঘটছে।। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পাকিস্থানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীর অনুরোধে কাশ্মীর নিয়ে তিনি মধ্যস্থতা করতে চান।। ট্রাম্প ও ইমরান খানের কথোপকথন এর ভিডিও প্রকাশ হয়ে গেছে।। এই ব্যাপারটা খুবই উদ্বেগ জনক।। ভারতের অবস্থান ছিল কাশ্মীর নিয়ে তৃতীয়পক্ষের অবস্থানের কোন জায়গাই ছিল না।। কাশ্মীর নিয়ে সমাধানের জন্য “”সিমলা চুক্তি “‘ আছে। ভারত ও পাকিস্তান কে দ্বিপাক্ষিক ভাবেই তা মেটাতে হবে।। কমঃ ইয়েচুরির প্রশ্ন —-তবে কি ভারত তার অবস্থান বদলাল?? আবার ভারতের বিদেশমন্ত্রী সংসদে মোদীর এই অনুরোধ এর কথা অস্বীকার করেছেন।।। এবার প্রশ্ন তাহলে কোনটা সত্যি??? ট্রাম্প অথবা ভারত সরকার কেউ একজন মিথ্যা বলছেই।। দুটো কথা কিছুতেই সত্যি হতে পারে না।। কে সত্যি বলেছে সেটাই জানতে চাওয়া হচ্ছে।। দ্বিতীয় বার মোদী সরকার এ আসার পর থেকে সারা দেশ এ সাম্প্রদায়িক হিংসা বেড়েছে——–আর তা নিয়ে ইয়েচুরি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।। পশ্চিম বংগ এই বিপদ থেকে মুক্তি পাচ্ছে না।। বাংলা তে “”শ্রী রাম”” না বললেই মারধোর এর ঘটনা ঘটছে।। ভাটপাড়া —–কাকিনাড়া —-বসিরহাট—-ধুলাগড় প্রভৃতি জায়গায় সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটছে।। কাকিনাড়ার পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক হয়নি।।। স্কুল—-চটকল বন্ধ ——শ্রমিকরা কাজে যেতে পারছে না।। মিডিয়া সারাক্ষণ হিংসার খবর দিয়ে যাচ্ছে।। কিন্তু সরকার হিংসা বন্ধের কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।। ইয়েচুরি আরও বলেন রাজ্যসরকার শান্তি বজায় রাখতে ব্যার্থ হচ্ছে কেন??? তৃনমূল সংগে মিলে আর এস এস তাদের শাখা সংস্থা বাড়িয়ে চলেছে।। নির্বাচনে ইভিএম এর ব্যাবহার নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ইয়েচুরি।। তিনি বলেছেন ইভিএম ওভিভিপ্যাট এর মধ্যে ভোটের পার্থক্যের তথ্য কমিশন দিতে পারছে না। এজন্য ইভিএম এর প্রযুক্তি খতিয়ে দেখার একটা টেকনিকাল টিম তৈরী করা হয়েছে বলে জানান ইয়েচুরি।। তিনি আরও বলেন অধিবেশন শেষ হলে সব বিরোধী দলের সংগে ইভিএম নিয়ে কথা বলবেন বলে জানান।। আর তারপর সবাইমিলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।। মমতা ব্যানার্জীর ইভিএম বিরোধিতা নিয়ে ইয়েচুরি বলেন যে সারা দেশ দেখেছে কিভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে।। তখন ইভিএম ছিল না ব্যালটেই ভোট হয়েছে? সেই ভোটে দিনের আলোয় গনতন্ত্র হত্যা করেছিলেন মমতা সরকার।। ব্যালট হলে মমতার সুবিধা আর ইভিএম হলে বিজেপির সুবিধা এই মনোভাবে মানুষের কোন সুবিধা হবে না।। মানুষের সুবিধা হবে সুষ্টু ও অবাধ নির্বাচন হ’লে।। মোদী সরকার কোন পরীক্ষা নিরিক্ষা না করেই সাংবিধানিক শৃংখলা ভেঙে তড়িঘড়ি বিল পাশ করাচ্ছে।। বিল গুলি পাশ করান হচ্ছে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে।। রাজ্যপাল পদ টিকে রাজনৈতিক রঙ এর বাইরে রাখা উচিৎ।। কিন্তু এবার যাদের রাজ্যপাল করা হচ্ছে তারা প্রত্যেকেই আর- এস -এস এর লোক।। ইয়েচুরি বলেন যারা বামপন্থি ছিলেন তারা এবার অনেকেই বামপন্থি দের ভোট দেননি।। তারা কেন ভোট দিলেন না তার জন্য তাদের কাছে যেতে হবে এবং তাদের বুঝিয়ে ফিরিয়ে আনতে হবে।। জ্যোতি বাবু যেমন মানুষের কাছে গিয়ে কি করতে হবে শিখে আসার কথা বলতেন—–তেমন ভাবেই কাজ করতে হবে।। পার্টির রাজ্য কমিটির বৈঠকে সাংবিধানিক পর্যালোচনা ও আগামী আন্দোলন সংগ্রাম এর কর্মসুচি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।