আশীষ পান্ডে চিন্তন নিউজ:৫ই এপ্রিল:-গতকাল রাত্রি সাড়ে ১০ টায় প্রয়াত হলেন শ্রমজীবী মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু বামপন্থী নেতৃত্ব একসময় উত্তর বাঁকুড়ার প্রায় প্রতিটি মানুষের চেনা উশনা রাজগুরু। শিলিগুড়িতে তাঁর ছেলের বাড়িতে তাঁর প্রয়াণ ঘটে।
ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন। ডুয়ার্সের আলিপুরদুয়ারে (কলেজ) ছাত্র রাজনীতিতে হাতেখড়ি। কঠিন পরিস্থিতির উপর দাঁড়িয়ে সংগঠন গড়ে তোলার মতো সাংগঠনিক দক্ষতা ছিল অসাধারণ৷
জনপ্রিয় শিক্ষক ছিলেন তিনি৷ বাঁকুড়ার সংগ্রামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন।বাঁকুড়ার জননেতা অশ্বিনী রাজের খুব কাছের মানুষ ছিলেন। তিনিই তাঁকে শ্রমিক, কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষের লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে উৎসাহিত করেন। তাঁর সঙ্গে কাজের মাধ্যমে ১৯৬৩ সালে অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ নেন।
পরে ১৯৬৪ সালে সিপি আইএম গঠিত হলে তিনি সেই পার্টিতে যোগদান করেন। জরুরি অবস্থার দিনগুলিতে একদিকে বুভুক্ষু মানুষের সংগ্রাম অপর দিকে পুলিশকে লুকিয়ে কমিউনিস্ট পার্টি গড়ে তোলার কাজ চালিয়ে যান।তখন সেই সময়কার কমিউনিস্ট পার্টি সরাসরি জেলা থেকেই পরিচালিত হত। পরে বড়জোড়া, সোনামুখী, গঙ্গাজলঘাঁটি,মেজিয়া, শালতোড়া থানা নিয়ে ১৯৬৬ – ৬৭ সালে প্রথম লোকাল কমিটি গঠিত হয়। তাতে তিনি যুক্ত থাকেন।
বামপন্থী দলের ব্যাপ্তিতে বেলিয়াতোড় এবং জামবেদীয়া আঞ্চলিক কমিটি গঠন হলে তার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। আজীবন সেই পার্টির সদস্য ছিলেন।