চৈতালী নন্দী:চিন্তন নিউজ:১৯শে মার্চ:–সমাজতান্ত্রিক দেশ কিউবার তৈরী প্রতিষেধক ইন্টারফেরণ আলফা টু’বি দিয়েই করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে বাজিমাত করতে চলেছে চীন।’ওয়ার্ল্ড হেল্থ আর্গানাইজেসন’ করোনা ভাইরাসকে
‘প্যানডেমিক’ ঘোষণা করার পরেও তাকে রুখতে মানুষের হাতে রয়েছে একটাই দাওয়াই, তা হোল ‘ইন্টারফেরন আলফা টুবি’। কিউবা আবিষ্কৃত এই প্রতিষেধকটি ব্যাবহার করেই করোনার আক্রমণ থামিয়ে দিতে চলেছে চীন।এখনও পর্যন্ত প্রাণ বাঁচিয়েছে কয়েক হাজার মানুষের।
কি এই ইন্টারফেরন আলফা টুবি! এই প্রতিষেধকটিই করোনা মুক্তি তে ব্যাপক ভাবে কাজ করে চলেছে। চীনের চিকিৎসক রা এই প্রতিষেধক টিই সবচেয়ে বেশী ব্যাবহার করছেন।করোনার প্রতিষেধক হিসেবে ‘হু’ যে ৩০ টি প্রতিষেধক কে বেছে নিয়েছে তার মধ্যে এটি অন্যতম।
১৯৮৬ সালে কিউবার সেন্টার ফর জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি’ এই প্রতিষেধক টি আবিষ্কার করে।এটি ব্যাবহারের পর কিউবার হাজার হাজার রোগী সুস্থ হয়েছে।এটি শুধু করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক ই নয়,এটির প্রয়োগ কাজ করবে, এইডস, ম্যানেনজাইটিস, ক্যানসার, ডেঙ্গি সহ আরও অনেকগুলি কঠিন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে।
এটির আবিষ্কার কিউবাতে হলেও এটি উৎপাদনে চীনের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। দুটি সমাজতান্ত্রিক দেশের যৌথ প্রচেষ্টায় মানবকল্যাণে কাজ করছে এই প্রতিষেধক, যা বাড়িয়ে দিচ্ছে মানবদেহের ইন্টারফেরন- এর প্রাকৃতিক উৎপাদন ও রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা।
এই প্রতিষেধকটির কার্যকারিতা জানার পর সারা বিশ্ব থেকে অর্ডার পেতে থাকে কিউবা। এই করোনা ভাইরাস সবচেয়ে বেশী আঘাত হেনেছে চীনে, তারপর ইটালি তে। ইতিমধ্যেই প্রচুর ওষুধ এবং একদল চিকিৎসক নিয়ে ইটালি তে হাজির কিউবা। এরা সারা বিশ্বকে আশ্বস্ত করেছে, যথেষ্ট পরিমাণে মজুদ রয়েছে এই প্রতিষেধক ।
চে গেভারা, ফিদেল কাস্ত্রোর এই সমাজতান্ত্রিক ছোট্ট দেশটা এর আগেও চিকিৎসা বিজ্ঞানে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছিল কয়েকটি দুরারোগ্য রোগের প্রতিষেধক আবিষ্কার করে। ৬০ বছর ধরে মার্কিন প্রতিরোধ সহ্য করে, তার মধ্যেও শিরদাঁড়া সোজা রেখে যে দেশটা আজ সারা বিশ্বকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিয়ে চলেছে তার নাম কিউবা।