জেলা রাজ্য

নিজাম প্যালেসে মুখ্যমন্ত্রী। সিবিআই -এর হাতে গ্রেফতার চার


সৌমেন বাগ: চিন্তন নিউজ:১৭ই মে:– “পারলে আমাকেও এরেস্ট করুক”….নিজাম প্যালেসে মুখ্যমন্ত্রী, এই ধরণের ক্যাপশন চলছে বৈদ্যুতিন মিডিয়ায়। মুকুল-শুভেন্দু কেন বাদ যাবে,সে নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। সংবাদ চ্যানেলগুলো করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা থেকে এখন নতুন ইস্যু পেলো। পেলো লক-ডাউনে কোথায় কোথায় আইন-অমান্য হচ্ছে সেই ফুটেজ দেখানো থেকে ক’দিনের মুক্তি। রাজ্যের শাসক-বিরোধী দল ব্যস্ত কে কতটা কম চোর —- সেটা প্রমাণে। আর চায়ের দোকানের মোড়ে কিছু “আম-আদমি’ ব্যস্ত নিজেদের ভোট দেওয়া দলগুলোর নেতা-নেত্রীদের চুরিগুলো ঢাকতে…..যদিও ভিতরে ভিতরে ভয় পাচ্ছে,শঙ্কিত হচ্ছে “কি হয়,কি হয়??”কখনও কখনও চুপিসারে বলেও ফেলছে,”আরে,বামেদের আমলে এসব কোনোদিন দেখিনি।”

সে যাই-ই হোক! বাজারী মিডিয়ার প্রচেষ্টা…..মূল জায়গা থেকে মানুষের ফোকাস এখন অন্যদিকে রাখবেই। তারা বলবে না,দুয়ারে রেশন কোথায়? তারা বলবে না—একসময় লক-ডাউনের বিরোধিতা করা মুখ্যমন্ত্রী আজ লক-ডাউনের পক্ষে। স্বাস্থ্য পরিষেবা বেহাল —রাজ্যসহ গোটা দেশে। আর্থিক মন্দা-অথচ, মুষ্টিমেয়র হাতে গোটা পৃথিবী কেনার “হুন্ডি”।এসব দেখাবে না। মৃত্যু-মিছিল দেখে আপনি আতঙ্কিত হবেন। কিন্তু, সচেতন হবেন না–প্রশাসনের সেই উদ্যোগও নেই আপনাকে সচেতন করার। বুক ঢিপঢিপ অথবা জ্বর এলেই করোনার চিন্তায় হসপিটাল…. কিন্তু, বেড-অক্সিজেনের ঘাটতি। ঘটি-বাটি বিক্রি করে নার্সিংহোম….সেখানে আপনি “বলি” হলেন।আসলে, যদিও আপনার কাছে ওই টিভিতে দেখানো নাটকীয় গ্রেফতার এবং তার প্রতিবাদ কোনোটাই মূল্য রাখে না। তবুও,আপনাকে গেলাবে ওইসব ছাই-পাঁশ।
যে জন-প্রতিনিধিদের নির্বাচন করেছিলেন আপনি/আপনারা…..ভোট দিয়েছিলেন সপরিবারে।সে/তারা আছে কি এখন রাস্তায়? না কি ভয়ার্ত!না কি,”দরজা-জানালা এঁটে ঘুম দিয়েছি আপন মনে।”

যাক, এবারে এঁদের দেখুন ক্ষুদ্র সামর্থ্যে বৃহত্তর প্রচেষ্টা।
না,কোনো লভ্যাংশ নেই, নেই কাটমানি।
যখন যে যা পারছে তাঁদের হাতে তুলে দিচ্ছে….এটাই তাঁদের পাথেয়। আজ বাউড়িয়ার রেড-ভলেনটিয়ার্স রাস্তায়। নর্থমিল বাজার ও ১নং ওয়ার্ডের কিয়দংশ স্যানিটাইজ-এর উদ্যোগে। এছাড়া,অক্সিজেন সিলিন্ডার কাঁধে নিয়ে ছুটছে এদিক-ওদিক। দেখুন এগুলোও…….বাজারী মিডিয়া আপনাকে দেখাবে না এগুলো।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।