দেশ

চন্ডীগড় মেয়র পদ অনৈতিক ভাবে দখল করল বিজেপি :


প্রতিবেদক : রত্না সর : চিন্তন নিউজ:০৩/০২/২০২৪:- যে কোনও মূল্যে রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল করতেই হবে।আর তা করতে গিয়ে একটা দল কতটা অসৎ, নির্লজ্জ ও বেপরোয়া হতে পারে চন্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীর দল দেখিয়ে দিল। ক্ষমতা দখলের প্রথম কৌশল : ধর্মের বিভাজনকে কাজে লাগানোর চেষ্টা। আর তাতেও যদি প্রত্যাশা পূরণ না হয় তবে দ্বিতীয় কৌশল : বিপুল অঙ্কের অর্থ দিয়ে কিনে নেওয়া। সেটাও এক্ষেত্রে সম্ভব হলো না।

শেষ কৌশল:
জোচ্চুরি করে হলেও ক্ষমতা দখল।
চন্ডীগড় কর্পোরেশনে মোট কাউন্সিলর ৩৫ জন।
এদের মধ্যে বিজেপির ১৪ জন,আকালি দলের ১ জন। কংগ্রেস ও আপের ২০ জন। আর পদাধিকার বলে স্থানীয় সাংসদের ভোট ও বিজেপির পক্ষে পড়ার কথা। প্রার্থী হিসেবে কংগ্রেস -আপ জোট করে আপের প্রার্থী দাঁড় করিয়েছিল।

অঙ্কের হিসেবেই বিজেপির পরিষ্কার ভাবে হারার কথা। কিন্তু জিতিয়ে দেওয়া হলো বিজেপির প্রার্থী এক মদের ব্যবসায়ী কে। মোট ৩৬ ভোটের মধ্যে বিজেপি প্রার্থী পেয়েছে ১৬ টা ভোট। কংগ্রেস-আপ জোট পেয়েছে ২০ টা ভোট। একতরফা ভাবে বিরোধীদের ৮ টা ভোট বাতিল করা হল।

কোন জাদুবলে এটা সম্ভব হল?
আসলে বিজেপি’কে জেতানোর পরিকল্পনা শুরু হয় অনেক আগে থেকেই। প্রথমে প্রিসাইডিং অফিসার করা হলো বিজেপির এক নেতাকে। ভোট শেষ হবার পর তিনি জানান বিরোধী এজেন্ট ছাড়াই তিনি একা ব্যালট পেপার গুণবেন। সেইমত তিনি একাই ব্যালট গুণলেন এবং কংগ্রেস-আপের ৮ টা ব্যালট দুবার টিক দেওয়া বলে বাতিল করলেন। কীভাবে বাতিল হল ৮ টা ব্যালট? গণনাকেন্দ্রে থাকা সি সি টিভি ক্যামেরায় দেখা যাচ্ছে তিনি একটা একটা করে ব্যালট পেপার বেছে নিয়ে নিজের কলম দিয়ে ব্যালটের উপরে কিছু লিখছেন। হিসেবে পরিষ্কার হল। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বিজেপি নেতাকে প্রিসাইডিং অফিসার করে বলে দেওয়া হয়েছে তাকে ঠিক কি কি করতে হবে। তিনি অক্ষরে অক্ষরে সেই নির্দেশ পালন করেছেন। বিরোধীদের ৮ টা ব্যালটে দ্বিতীয় টিক মেরে বাতিল করে দিয়েছেন। আর মোদীর প্রার্থীকে জয়ী করে দিয়েছেন। মুখে ন্যায়- নীতি, সততা- মূল্যবোধের কথা বলে , আসলে সেগুলো বিসর্জন দিয়ে ভারতবর্ষের গণতন্ত্রের ইতিহাসে যেন তেন প্রকারেণ ক্ষমতা দখল করে এক নির্লজ্জ দৃষ্টান্ত স্থাপন করল বিজেপি।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।