অর্থনৈতিক দেশ রাজনৈতিক

মুখ্যমন্ত্রীকেও বয়কট করার ডাক দিল হরিয়ানার গ্রাম


কল্পনা গুপ্ত, চিন্তন নিউজ, ৩০শে ডিসেম্বর: কেন্দ্রের নতুন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ও কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মানুষ তাদের পাশে আছেন। এই রাজ্যে বাম-কংগ্রেসের সমাবেশ ও বিক্ষোভ প্রদর্শন হয় রাণী রাসমণি রোডে। সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক সূর্য কান্ত মিশ্র মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, “রাস্তায় মিছিল মিটিং করতে পারছেন অথচ বিধানসভায় অধিবেশন ডাকতে পারছেন না কেন? এরাজ্যের বিধাবসভাতেও কৃষি স্বার্থ রক্ষায় বিল পাশ করান।”

কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন কৃষি আইন প্রত্যাহার, বিদ্যুৎ বিল প্রত্যাহার, অত্যাবশকীয় পণ্য আইন সংশোধন এবং অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি রোধের দাবিতে বামপন্থী সংগঠনগুলি প্রতিদিন সোচ্চার হচ্ছে। গত ২৫ দিনে প্রধানমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের কথা থেকে সরকারের মনোভাব পরিবর্তনের কোন ইঙ্গিত মেলেনি। বরং কৃষক আন্দোলনের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত প্রচার ও আক্রমণে নেমেছে সরকার। পাটনায় রাজভবন অভিযানে কৃষকদের উপর বর্বরোচিত লাঠিচার্জ করে পুলিশ।

হরিয়ানার করনালে কাদরাবাদ গ্রামের মানুষজন এককাট্টা হয়ে সোমবার ঘোষণা করেন যে, আগামী দিনে বিজেপি ও তার শরিক জননায়ক জনতা পার্টির ( জেজেপি) কোনও নেতা, এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর বা উপ মুখ্যমন্ত্রী দুষ্যন্ত চৌটালা তাদের গ্রামে এলেই ফুলের মালার বদলে জুতোর মালা পরানো হবে। রীতিমতো পঞ্চায়েত ডেকে বিজেপি ও তাদের শরিকদের বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে। কাদরাবাদ গ্রামের প্রবেশমুখে বড়ো ব্যানার ঝুলছে। “বিজেপি এবং জেজেপি নেতাদের কাদরাবাদ গ্রামে ঢোকা কঠোর ভাবে বারণ। কৃষকদের পাশে যাঁরা দাঁড়াবেন শুধু তারাই আসতে পারেন।”

গ্রামের নেতা গুরলাল সিং বলেন, “অন্নদাতাদের কখনও বলা হচ্ছে সন্ত্রাসবাদী, কখনও বলা হচ্ছে খালিস্তানি। ২৬শে নভেম্বর থেকে আন্দোলনরত কৃষকদের আন্দোলন ভাঙ্গতে বিজেপি ও তার সরকার যে রকম অপপ্রচার চালাচ্ছে, কৃষকদের মধ্যে যেভাবে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে তাতে আমরা রীতিমতো ক্রুদ্ধ।” কুলদীপ জানালেন, অন্য সব গ্রামকেও তাঁরা বিজেপি ও জেজেপি নেতাদের বয়কট করার জন্য আবেদন জানাচ্ছেন যাতে আগামীদিন কৃষকদের অপমান করার সাহস না হয়।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।