রাজ্য

বোমা গুলি তে উত্তপ্ত পাড়ুই।


সুপর্ণা রায়, চিন্তন নিউজ, ২৩ সেপ্টেম্বর: বন্দুক উঁচিয়ে ছুটছে পুলিশ আর থেকে থেকে গুলি করছে। আবার অপরপ্রান্ত থেকে ছুটে আসছে বোমা, আসছে মাস্কেটের আওয়াজ। এই সেই পাড়ুই। সাত্তোর গ্রাম পঞ্চায়েতের শিমুলিয়া, বেলোটি, পলসা, ভেড়ামারি ফের অগ্নিগর্ভ।

গ্রাম দখলের লড়াই – আর তার ফলেই সাত সকালে গ্রামের মানুষের ঘুম ভেঙেছ বোমা, গুলি, মাস্কেটের আওয়াজে। এবার এই দুষ্কৃতিদের দল দুটি ভাগে বিভক্ত – তৃনমূল আর বিজেপি। এই দুই দলের মধ্যে লড়াই চলছে শুধুমাত্র এলাকা দখল নিয়ে। স্বাভাবিক জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে পাড়ুই এর। ভয়ে সিটিয়ে সাধারণ মানুষ।

লোকসভা ভোটের ফল বেরনোর পর থেকেই দফায় দফায় গণ্ডগোল। এমন একটা সময় এসেছিল যখন বিজেপির লোকজন তৃনমূলীদের গ্রাম ছাড়া করে দিয়েছিল। পুলিশের সাহায্য নিয়ে তারা আবার গ্রামে ফিরেছে। কিন্তু অশান্তির রেশ রয়েই গেছে। শিমুলিয়া গ্রামের মিলন শেখের উপর হামলা চালায় বিজেপি। আবার বিজেপি কর্মীর অভিযোগ তাদের কর্মী সবুর শেখের বাড়ী পুড়িয়ে দিয়েছে তৃনমূলের দুষ্কৃতিরা। এই নিয়ে বিবাদ আর তার জেরে চলে বোমা, গুলি, মাস্কেটের লড়াই।

চারিদিকের গ্রামগুলিতে এই বিবাদের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ গ্রামে ঢোকার চেষ্টা করলে তুমুল বাধার মুখে পড়ে। সবাই অবাক হয়ে দেখে পুলিশের সামনেই ফাটতে থাকে একের পর এক বোমা। পুলিশ থমকে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। কিছুটা সময় নিয়ে তারপর পুলিশও গুলি চালাতে শুরু করে। পুলিশ তাড়া করে দুষ্কৃতিদের। এরপর একটা ফাকা মাঠ দেখে দুষ্কৃতিরা অদৃশ্য হয়ে যায়। গা ঢাকা দেয় তারা, কিন্তু বোম ছুড়তেই থাকে। পুলিশ ঢোকার পর গ্রাম কার্যত পুরুষশূন্য হয়ে যায়। বিজেপি দলের এক সমর্থক জমিনা বিবি জানান যে তারা বিজেপি করে তাই তৃনমূল এমন হামলা চালিয়েছে। আবার তৃনমূলের এক সমর্থক রজিমা বিবি বলেন বিজেপি লোকজন জড়ো করে আগুন লাগিয়েছে, বাড়িতে চড়াও হয়ে প্রানে মারার হুমকি দিয়েছে।

কিন্তু কথা হচ্ছে বিবাদ যে দলই করুক ভুগছে সাধারণ মানুষ। এলাকার মানুষ বলছে, “এদের এই অসভ্যতা আবার শুরু হল। কবে থামবে কে জানে। দু’ একদিন পুলিশ আসবে, সংবাদমাধ্যম খবরাখবর করবে। তারপর আর কেউ খবর নেবে না। কিন্তু অশান্তি চলতেই থাকবে। কখন কোথায় কে বোমা মারবে কোনঠিক নেই।” আতঙ্কের মধ্যে দিনের পর দিন কাটাচ্ছে পাড়ুই।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।