চৈতালী নন্দী:-চিন্তন নিউজ:-১৮ই আগস্ট:- সম্প্রতি বেলারুশে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবার জয়লাভ করেছেন গত ২৫ বছর ধরে ক্ষমতাসীন আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো। এই বিজয়বার্তা ঘোষণার পরই নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি ও জালিয়াতির অভিযোগে দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়।
বিপুল ব্যবধানে জয়ের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে লক্ষ লক্ষ প্রতিবাদী মহিলা পুরুষ নির্বিশেষে রাস্তায় নেমে আসেন । তারা শপথ নিচ্ছেন যতদিন না লুকাশেঙ্কো পদত্যাগ করছেন ততদিন বন্ধ রাখা হবে সমস্ত কলকারখানা। এই প্রতিবাদীদের উপর নেমে এসেছে নির্মম দমনপীড়ন নীতি। বেলারুশে এর আগেও ২০০৬ ও ২০১০ সালে মানুষের আন্দোলন এভাবেই দমন করা হয়েছে ,কিন্তু দমননীতির এই নির্মমতা এবার নজিরবিহীন। প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সভেৎলানা তিখানোভস্কায়াকেও ছাড়তে হয়েছে দেশ। বিবিসি নিউজ অনুসারে বিক্ষোভ দমনে গণহারে আটক করা হয় ৩০০০ জনকে। যদিও তীব্র বিক্ষোভের মুখে তাদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় সরকার। পুনরায় ভোট গণনার দাবি করছে তারা।
নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী ৮০.২৩% ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে ক্ষমতাসীন লুকাশেঙ্কো। বিরোধী সভেৎলানা পেয়েছেন মাত্র ৯.৯% ভোট। এই ব্যাপক কারচুপি ও রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বেলারুশের স্বৈরাচারী সরকারের উপর জারি করতে চলেছে নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু রাশিয়ার পুতিনের সমর্থন পেয়েছেন লুকাশেঙ্কো। বিদেশীদের দ্বারা বিরোধীরা নিয়ন্ত্রিত হবার অভিযোগ এনে তিনি এই আন্দোলনকে রুখে দেবার আহ্বান জানান দেশবাসীর কাছে। অপরদিকে পুনরায় ভোটগণনার দাবিতে লুকাশেঙ্কো বিরোধী এই বিক্ষোভ ক্রমেই গণআন্দোলনের চেহারা নিচ্ছে।