রাজ্য

কারখানার বদলে কলাবাগান!!


সূপর্ণা রায়:চিন্তন নিউজ:৩রা ডিসেম্বর:-শালবনী ব্লকের কাশিজোড়া এবং বাকিবাধ এই দুই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ২৮ টি মৌজার ১২০০ পরিবারের প্রায় ৬৫ হাজার মানুষের স্বপ্ন আজ ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে।। যে জমিতে এশিয়া র বৃহত্তম ইস্পাত কারখানা তৈরির কথা সেখানে এখন কলাচাষ হচ্ছে।। রাজ্যের মানুষ পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির শিল্প নীতির নিদারুণ অবস্থা দেখছেন। সিঙ্গুর এর একটি তৈরি কারখানা ডিনামাইট দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে চুরমার করে মুখ্যমন্ত্রী নিজে হাতে সরষের বীজ ছড়িয়েছিলেন আর এবার উনার অনুপ্রেরণা তে জিন্দাল গোষ্ঠী প্রকল্পের জমি তে কলা চাষ শুরু হয়েছে।। জিন্দাল গোষ্ঠীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট থেকে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ডিগ্রি নিয়ে এলাকার যুবকরা বসে বসে কলা চাষ দেখছে।।২০১৪ সালে সিমেন্ট কারখানা তৈরি করে মাত্র ৭৪ টি পরিবার কে কাজ দিয়েছিল জিন্দাল গোষ্ঠী তারপর থেকে তাঁরা হাত গুটিয়ে বসে আছে।।

ঠিকাদারদের অধীনে ১২০০ জমি দাতা পরিবারের ১২০ টি পরিবার কে কাজ দেওয়া হয়েছে আর বাইরে থেকে ২৫০০ হাজার শ্রমিক ওই ঠিকাদারদের অধীনে কাজ করে আর চরমতম বঞ্চনার শিকার হয়ে গেলেন জমিদাতারা।। তাদের দিন কাটছে অনাহারে অর্ধাহারে।। সিমেন্ট কারখানা বাদ দিয়ে পড়ে রয়েছে প্রায় ৯০ ভাগ জমি। সেই জমিতে শুরু হয়েছে কলা চাষ।। এই চাষে শ্রম কম লাগে আর সেখানে মাত্র ২৮ জন কে কাজ দেওয়া হয়েছে দৈনিক মজুরি তে । রোজ কার কাজ নয়তিন চার মাস অন্তর ৮/১০ দিন কাজ জোটে।।

খেতমজুররা হন্যে হয়ে কাজ খুঁজে বেড়াচ্ছে।।জমিদাতা ১২০০ পরিবার কে ২০১৪ সালে সিমেন্ট কারখানা উদ্বোধন করতে এসে ধৈর্য্য ধরতে বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।। বলেছিলেন “””চিন্তা নেই , কাজ হবে। আমরা বামফ্রন্ট সরকার না, কথা দিলে কথা রাখি”””……….. তারপর ছয় বছর কেটে গেছে ।।।২৭০ জন পাট্টাদার জমি হারিয়ে এখনও কাজ পাননি।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।