গোটা পরিবার মিলে আত্বীয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন উপনয়নের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। সকলেই ছিলেন খুশির মেজাজে। কিন্তু মুহুর্তের ঘটনা ছাড়খার করে দিল সব। আনন্দ নিমেষে বদলে গেল বিষাদে। গোট পরিবার পড়লেন দূর্ঘটনার কবলে। শেষ একই পরিবারের ছয় সদস্য সহ গাড়ির চালক। শুক্রবার বিকেলে বীরভূমের মহম্মদবাজার থানার কালিতলা মোড়ে ৬০ নং জাতীয় সড়কের উপর হওয়া এমন মর্মান্তিক দূর্ঘটনা ফের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল যান নিয়ন্ত্রনে নজরদারির অভাব কতটা। বিশেষ করে বীরভূমে। যেখানে নাগাড়ে ঘটে চলেছে দূর্ঘটনা। চলছে মৃত্যু মিছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, রামপুরহাট থেকে সিউড়িগামী বেসরকারি বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় রামপুরহাটের দিকে যাওয়া একটি বোলেরো গাড়ির। ঘটনাস্থলে এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে মৃত্যু হয়েছে মোট সাত জনের। তার মধ্যে ছয়জনই একই পরিবারের এবং অপরজন গাড়ির চালক। মৃতদের বাড়ি মহম্মদবাজারের কেওটপাড়ায়। গভীর শোকের ছায়া মহম্মদবাজারজুড়ে। কান্নার রোল গোটা এলাকায়।
জানা গেছে, দূর্ঘটনায় প্রান গেছে কামারপুরকুর রামকৃষ্ণ মিশনের শিক্ষক সঞ্জয় ভট্টাচার্য(৫১), তাঁর মেয়ে ছাত্রী তিতলি ভট্টাচার্যের (২২)। মৃত্যু হয়েছে সঞ্জয় ভট্টাচার্যের ভাই বেসরকারি শিক্ষক সন্দীপ ভট্টাচার্য (৪৫), তাঁর স্ত্রী সুমিত্রা ভট্টাচার্য (৪১) ও পুত্র শমিক ভট্টাচার্যের (১৩)। এছাড়াও প্রাণ গেছে গাড়িতে থাকা মৃতদের অপর ভাই রাহুলদেব ভট্টাচার্যের মেয়ে মিষ্টু ভট্টাচার্যের (৬)। মারা গেছেন বোলেরো গাড়ির চালক রাউতাড়া গ্রামের বাসিন্দা মিঠুন সেখও (২৮)। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাহুলদেব ভট্টচার্য ও তাঁর স্ত্রী রিমি ভট্টাচার্য।
![](https://chintannews.com/wp-content/uploads/2019/04/IMG-20190412-WA0008.jpg)