চিন্তন নিউজ:২৩শে ডিসেম্বর:– শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়:- শ্রীরামপুর:-শিবানীদির স্মরণ সভা শ্রীরামপুরে l সি পি আই একজন নেত্রীকে হারালো আর মানুষ হারালো আরও অনেক কিছু l দেবাশীষবাবু হারালেন একদিকে স্ত্রী ও বন্ধুকে আর অন্য দিকে সংগ্রামের সাথীকে l সৌরভ হারালো অনেক কিছু l কত মানুষ এসেছেন l কেউ গান গাইছেন , কেউ কবিতা পাঠ করছেন ,কেউবা কথা বলে স্মরণ করছেন l
সিদ্ধার্থ গুহ:- ডানকুনি:- দীর্ঘদিন হয়ে গেল রাজ্যের পৌরসভার মেয়াদ শেষ হয়েছে।।ডানকুনি পৌরসভা নির্বাচনের দাবী নিয়ে পৌরসভার সামনে ডানকুনি সিপিআই এম এরিয়া কমিটির উদ্দ্যোগে বিক্ষোভ কর্মসূচি। এছাড়া, আরও উন্নত পরিষেবার দাবীতে অবস্থান বিক্ষোভ করা হয়েছে।।
জয়দেব ঘোষ-:-জাঙ্গীপাড়া থানার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রবীণ নেতৃত্ব ও জাঙ্গীপাড়া থানার কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম পুরোধা নেতৃত্ব কমরেড অজিত মিত্র আজ সকাল ৯টায় আঁটপুরে নিজ বাসভবনে প্রয়াত হন৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো প্রায় ৯৮বছর৷ বিপত্নীক কমরেড মিত্রর তিন পুত্র- পুত্রবধূ ও দুই কন্যা-জামাতা সহ নাতি- নাতনিরা বর্তমান৷ স্বাধীনতা আন্দোলন পর্বে তিনি বলশেভিক পার্টির সাথে যুক্ত ছিলেন৷ পরবর্তী সময়ে এলাকার গরীব কৃষকের সমস্যা, জমির আন্দোলনের মধ্য দিয়ে কমিউনিস্ট পার্টির সংস্পর্শে আসেন৷ ১৯৫২সালে অভিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ লাভ করেন৷ পার্টি ভাগ হলে সি.পি.আই.(এম.) পার্টিতে যোগ দেন এবং আমৃত্যু পার্টি সদস্য ছিলেন৷ জাঙ্গীপাড়া থানা কৃষক সমিতির সভাপতি, জেলা কাউন্সিল সদস্য ছিলেন৷ দীর্ঘদিন পার্টির জাঙ্গীপাড়া পশ্চিম লোকাল কমিটির সম্পাদক ও জোনাল কমিটির সদস্য ছিলেন৷ প্রথম ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে হুগলী জেলা পরিষদের সদস্য ছিলেন৷ দীর্ঘ রাজনৈতীক জীবনে একাধিকবার কারাবাস করেছেন৷ কংগ্রেস সরকার তাঁকে ‘মিশা আইনে’ আটক করে জেলে পাঠায়৷ ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক৷ সাংস্কৃতিক আন্দোলনে তাঁর সুদূর প্রসারী ভূমিকা ছিলো৷ তিনি জাঙ্গীপাড়ায় গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সংঘ গড়ে তুলেছিলেন৷ জেলা কমিটির অন্যতম নেতৃত্বে ছিলেন ৷ রূপসী ধরিত্রী পত্রিকা নিয়মিত প্রকাশিত হতো তাঁর উদ্যোগে৷ অসংখ্য কাব্যগ্রন্থের স্রষ্টা তিনি৷ অনেক পত্রিকায় তাঁর লেখা ও সুচিন্তিত মতামত পাঠকের মনে ঊৎসাহ সৃষ্টি করতো৷ মার্কসীয় দর্শনে যেমন ছিলো অগাধ আস্হা, তেমন ছিলেন পন্ডিত ও সুবক্তা৷ দন্ধমূলক বস্তুবাদের উপর তাঁর অনেক লেখা সমাজের চিন্তাশীল মানুষের মননে আলোড়ন তুলেছিলো৷ কমরেড অজিত মিত্রর মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পর জাঙ্গীপাড়া কেন্দ্রীয় পার্টি কার্য্যালয় সহ প্রতিটি অঞ্চলের পার্টি অফিস গুলিতে পার্টি পতাকা অর্দ্ধনমিত করা হয়৷ কমরেড অজিত মিত্রর বাসভবনে উপস্থিত হয়ে তাঁর মরদেহে রক্ত পতাকা ও মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান পার্টির জেলা কমিটির সদস্য কমরেড হরপ্রসাদ সিংহরায়, ১নং এরিয়া কমিটির সম্পাদক কমরেড সুদীপ্ত সরকার, ২নং এরিয়া কমিটির সম্পাদক কমরেড শ্যামল পালধি, এরিয়া কমিটি সদস্য কমরেড বিরাজ সিংহরায়, পরেশ দলুই, সুদীপ্ত ঘোষ, মনোরঞ্জন মালিক, দিপালী বসু, যজ্ঞেশ্বর নন্দী, জাঙ্গীপাড়া থানা কৃষক সমিতির সম্পাদক কমরেড পবিত্র সিংহরায়, ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের সম্পাদক কমরেড কাশীনাথ হাজরা, যুব সংগঠনের সভাপতি কমরেড নারায়ন কোলে, ছাত্র ফেডারেশনের সম্পাদক কমরেড শিউলি রায়, পার্টির প্রবীন নেতা কমরেড মনীন্দ্র নাথ জানা, মধুসূদন দাস, মৃণাল ঘোষ, গোবর্দ্ধন ব্যানার্জী, মায়া জানা সহ এলাকার অন্যান্ন পার্টি কর্মী ও নেতৃত্বগণ৷ পার্টির জেলা কমিটির সম্পাদক ও রাজ্য কমিটির সদস্য কমরেড দেবব্রত ঘোষ, রাজ্য কমিটির সদস্য কমরেড সুদর্শন রায়চৌধুরী, জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য কমরেড জয়দেব চ্যাটির্জী ও জেলা কমিটির সদস্য কমরেড অলোক সিংহরায়ের পক্ষ থেকে কমরেড মিত্রর মরদেহে মালা প্রদান করা হয়৷ শেষকৃত্যের জন্য আঁটপুর থেকে মরদেহ নিয়ে তাঁর আত্মীয় স্বজন উত্তরপাড়া বৈদ্যীতিক চুল্লীর পথে রওনা হন৷ কমরেড অজিত মিত্রর মৃত্যুর পর তাঁর বাস ভবনে পার্টির লোকজন ছাড়াও অসংখ্য অনুরাগী, প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রী ভীড় জমাতে শুরু করেন৷ কমরেড নিত্রর মৃত্যু মার্ক্সীয় সাহিত্য চর্চার ক্ষেত্রে এক অপূরনীয় ক্ষতি৷ কমরেড অজিত মিত্র লাল সেলাম৷।
জয়দেব ঘোষ-:-নিখিল বঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির হুগলি জেলার শ্রীরামপুর চক্রের নিজস্ব ভবন উদ্বোধন ।উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক মোহনদাস পন্ডিত , রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মানসী চক্রবর্তী , সম্পাদক কমল মল্লিক ,সভাপতি মানস রঞ্জন ভঞ্জ সহ নেতৃত্ব। ভবনটির উদ্বোধন করেন হুগলি জেলা বিদ্যালয় সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান দুলাল ভৌমিক। মঞ্চে হুগলি জেলা সাংস্কৃতিক টিম তূর্যর উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় ।