সূপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:২৬শে জুন:- আমফান ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে পশ্চিমবঙ্গের বেশীরভাগ অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।। তারপর করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে গোটা বিশ্বের সাথে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থাও দূর্বিষহ।। রাজ্যে ক্ষতিপূরণের টাকা আসলেও সেই টাকা যাদের প্রয়োজন নেই সেই তৃনমুল কংগ্রেস এর পক্ষ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে।। এই অরাজকতার কথা জানতে পেরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি তাঁর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে মাঠে নেমেছেন। । চৌদ্দ তলার ঠান্ডা ঘরে বসে তাঁর ঘোষণা কেউ ক্ষতিপূরণ এর টাকা পাওয়ার থেকে বঞ্চিত হবেন না। নিয়মনীতি মেনে আবেদন করলেই মিলবে ক্ষতিপূরণ এর টাকা।।
কিন্তু মানুষের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এতটাই প্রয়োজন তারা এতদিন ধরে আর ধৈর্য ধরে রাখতে পারছেন না।। তারপর টাকা আসলেও সেই টাকা তৃনমুলের নেতারা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিয়ে নিচ্ছে।। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোন ভরসার কথা না শুনে বিভিন্ন জায়গায় গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।। জামা,জুতো নিয়ে জনগন বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে বনগাঁর বিভিন্ন স্থানে।।অসহ্য গ্রামের মানুষ তৃণমূল কংগ্রেস এর পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ী ঘেরাও করে ত্রানের দাবীতে।। পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে অভ্যাস বশত তাদের হুমকি দিতে গিয়েছিলেন।। ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা তাকে কিল,চড় ,ঘুষি এবং জুতো ও ঝাটা দিয়ে পিটিয়ে বাড়ীতে ঢুকিয়ে দেন।। গ্রামের মহিলাদের এই রুদ্র রূপ দেখে ভয়ে সিটিয়ে গেছে তৃনমূল এর তাবড় তাবড় নেতারা এমনকি বিজেপিও কোন কথা বলতে সাহস করেনি।
দূর্নীতি আর বঞ্চনার বিরুদ্ধে আন্দোলনের সামনের সারিতে অনেক জায়গায় মহিলারা নেতৃত্ব দিয়েছেন। উঃ ২৪ পরগনার বনগাঁ ব্লকের ধর্মপুকুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত।। ক্ষুব্ধ মানুষ জানিয়েছেন যে এই অঞ্চলে কমবেশি ৫০ জন ক্ষতিপূরণ এর টাকা পেয়েছে কিন্তু তার মধ্যে এমন ১৫ জন টাকা হাতিয়ে নিয়েছে যাদের ক্ষতিপূরণ এর টাকার কোন প্রয়োজনই নেই।এই ১৫ জনের মধ্যে সবাই তৃণমূল কংগ্রেস এর নেতা কর্মী।। একজনের অভিযোগ ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তা দেখে গ্রামের মানুষদের ক্ষোভ আছড়ে পড়ে।।