রাজ্য

বিনামূল্যে রেশন দেবে,ঘোষণা সরকারের, তাও মিলছেনা চাল , আটা


সঞ্জিত দে: চিন্তন নিউজ:১২ই এপ্রিল:- রেশন কার্ড আছে তাও মিলছেনা চাল , আটা সহ অন্যান্য সামগ্রী,এমনি ভুরি ভুরি অভিযোগ ধূপগুড়ি শহরে এবং গ্রামীন এলাকা গুলিতে ।শুধুমাত্র শহর এলাকা নয় শহর ছাপিয়ে ব্লকের সব গ্রামেইএকই অভিযোগ রেশন ডিলারদের বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে প্রতিনিয়ত একের পর এক অভিযোগ আসছে ধুপগুড়ি পৌরসভার কাউন্সিলর ও গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যদের কাছে।এরপরই শুরু হয়ে যাচ্ছে ঠেলাঠেলি,কেউ বলছে এখানে হবে ওখানে যান,সেই স্থানে গেলে সেখান থেকেও অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

রেশনের খাদ্য সামগ্রী তো দূর অস্ত ভর পেট হতাশা নিয়ে ফিরে আসতে হচ্ছে তাদের। লকডাউন চলাকালীন সময়ে,দরিদ্রসীমার নীচে বসবাস কারী মানুষদের দুবেলা দুমুঠো খাবার জোগাড় করা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার সেইসব মানুষের কথা মাথায় রেখে আগামী তিন মাসের রেশন বিনা মূল্যে দেওয়ার ঘোষণা করেন। ধূপগুড়ি থেকে সাংবাদিকরা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে ফোন করলে তিনি জানান সব মানুষের জন্য খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে রেশনের মাধ্যমে। । এরপরেও ভোগান্তি শেষ হয়নি হতদরিদ্র মানুষ গুলির। শুধু শহর নয় গ্রামাঞ্চলের রেশন দোকান গুলিতেও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে মানুষকে।দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে শেষ পর্যন্ত শুনতে হচ্ছে তাদের কার্ডে কিছু বরাদ্দ নেই আপাতত।

যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ ধূপগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধক্ষ্য তৃনমুল নেত্রী। তিনি বলেন,এমন কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে নেই। যদি কোনো উপভোক্তা এই বিষয়ে অভিযোগ করেন তবে সেই বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

যদিও ধূপগুড়ি শহরের এক রেশন ডিলার রতন সরকার , এই অভিযোগ ঘুরিয়ে স্বীকার করে বলেন এর দায় ফুড সাপ্লাই বিভাগ এর । সেই ডিলারের মতে” অনেকে কিছুদিন আগে পোস্ট অফিসের মারফত রেশন কার্ড পেয়েছেন।এইসব নতুন কার্ড হোল্ডারদের কার্ড আসলেও তাদের বরাদ্দ খাদ্য সামগ্রী আসেনি। এই কারণেই এখনোও অনেকে রেশন পাচ্ছেন না।এদের নথি দপ্তরের পোর্টালে এখনো আপলোড হয়নি।যেটা নাকি তাদের কাজ না।ডিলারদের আর‌ও বক্তব্য দপ্তর থেকে তাদের কাছে নির্দেশ আসলেই সবাইকে রেশন দেওয়া হবে।

গ্রাহক অলিয়ার রহমান , মহাহাবুল আলম ও গ্রাহক রানুবালা চক্রবর্তী বলেন , রেশন দোকানে গেলে কাউন্সিলর এর কাছে পাঠায় আর কাউন্সিলর রেশন দোকান । এই ভাবেই হয়রানি হ’তে হচ্ছে সবাইকে। সরকারের ঘোষণা ও তা কার্যকর করার ক্ষেত্রে বিস্তর ফারাক থেকে যাচ্ছে। তারজন্য ভোগান্তি দরিদ্র মানুষের।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।