রাজ্য

অভিনব ও সফল অস্ত্রোপ্রচার সিউড়ি সদর হাসপাতালে, বন্ধ্যাত্বকরনের পরেও ফের গর্ভে ভ্রুন!


রণদীপ মিত্র: চিন্তন নিউজ:১২ই এপ্রিল:- সাঁইথিয়া থানার নিজুরি গ্রামের গৃহবধূ মনি মুর্মুর প্রথম বিয়ে হয় ২০১৫ সালে। নানান কারনে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায় গৃহবধূর। ততদিনে বন্ধ্যাত্বকরন অর্থ্যাৎ লাইগেশন করিয়ে ফেলেছেন গৃহবধূ। এরপর ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে গৃহবধূ দ্বিতীয় বিবাহ হয় নিজুরির শান্তি মুর্মুর সাথে। দম্পতি ফের সন্তান গ্রহনের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু বাঁধ সাধে গৃহবধূর লাইগেশন। শুরু করেন খোঁজখবর নেওয়া। জানতে পারেন, ফের গৃহবধু সন্তান ধারন করতে পারবেন জটিল অস্ত্রোপ্রচারের (রিক্যানালাইজেশন) মধ্য দিয়ে।

সাহস সঞ্চয় করে গৃহবধূ দ্বারস্থ হন সিউড়ি সদর হাসপাতালে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ বিশ্বরূপ তা-র নিকটে। ডিসেম্বর মাসে হয় অস্ত্রোপ্রচার। তিন মাস বাদে শনিবার ইউএসজি করে নিশ্চিত হয়েছে গৃহবধূ গর্ভবতী। সফল অস্ত্রোপ্রচারের মধ্য দিয়ে। বন্ধ্যাত্বকরনেরও পরেও ফের গর্ভে এল ভ্রুন! বীরভূমের জেলা হাসপাতালে এমন অস্ত্রোপ্রচার প্রথম। অন্যান্য জেলার ক্ষেত্রেও এমন নজির আছে কি না মনে করতে পারছেন না কেউ।

চিকিৎসক বিশ্বরূপ তা-র কথায়, ‘‘খুবই সূক্ষ্ণ এই অস্ত্রোপ্রচার। যে পরিকাঠামো লাগে তা জেলা হাসপাতালে সবসময় পাওয়া যায় না। চক্ষু অস্ত্রোপ্রচারের নানা ইন্স্ট্রুমেন্ট, বিশেষ সূতো ব্যবহার করে ২ ঘন্টা অস্ত্রোপ্রচারের মধ্য দিয়ে সফলতা মিলেছে। জেলা হাসপাতালের ক্ষেত্রে এটা প্রথম। সবচেয়ে চিন্তার, এই অস্ত্রোপ্রচারে সফলতার হার কম, ৪০ শতাংশ। এদিন ইউএসজি করে নিশ্চিত হওয়া গৃহবধূ ফের মা হতে চলেছেন। দম্পতির পরিণত আচরন ও সহযোগিতা ছাড়া এটা সম্ভব ছিল না।’’ গৃহবধূ মনি মুর্মু জানিয়েছেন, ‘‘খুবই আনন্দ হচ্ছে ফের মা হব জানতে পেরে। ডাক্তারবাবুকে ধন্যবাদ জানানোর ভাষা নেই।’’


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।