অমলেন্দু মহাপাত্র: চিন্তন নিউজ:৫ই মে:– তৃণমূলের সমর্থক সমাজবিরোধীদের নিয়ে এলাকার স্থানীয় নেতৃত্বগন অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। সংযুক্ত মোর্চা তৃতীয় স্থানে থাকলেও তাদের নেতৃত্ব, সমর্থক, কর্মীদের ঘরবাড়ি, দোকানপাট লুঠ, মারধর, হুমকি, জরিমানা সবটাই চালিয়ে যাচ্ছে। তাই অত্যাচারিত মানুষের কাছে এবং ঘটনাস্থল গুলিতে খেজুরির সংযুক্ত মুক্তার মোর্চার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও সিপিআইএমের রাজ্য কমিটির সদস্য হিমাংশু দাস গিয়ে কর্মী-সমর্থকদের সমবেদনা জানিয়ে, কাছে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আবার প্রতিবাদ, প্রতিরোধে জোট বাঁধার আহ্বান জানান।
রাজ্যে তৃণমূলের পক্ষে ফলাফল ঘোষণার সাথে সাথে, শুরু হয়ে যায় সেই পূর্বের মত আক্রমণ।একই পরিবারের কেউ বিজেপি, আবার কেউ সিপিএম করেছে, তাই সেখানেই জোটবদ্ধ হয়ে মারধোর করা, হুমকি দেওয়া, জরিমানা করা, ঘর, বাড়ি, দোকানপাট লুঠ করা। কামারদা বাড়দেউলপোতাগ্রামে গতকাল থেকে চলছে চরম উত্তেজনা। রাস্তার ধারে ছোট্ট গুমটি করে সেলুন দোকান চালাচ্ছিল স্বদেশ বারিকের বড়ছেলে, তার অপরাধ তার পরিবারের এক ভাই, সে বিজেপি করেছে, যদিও সে আলাদা, তাই দাদার দোকান সহ বাকি দোকান গুলো ভেঙে দেওয়া হল। শুধু তাই নয়, দুর্বৃত্তের দল পাশাপাশি প্রতিটি ঘরের মানুষজনকে হুমকি দিয়ে গেল, পরবর্তী সময় দেখে নেবে এই হুমকি দিয়ে এবং রাস্তার ধারে লাল ঝান্ডা গুলো খুলে ফেলে দিয়ে গেল। বেশিরভাগ গরীব, ফেরিওয়ালা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের ভুল বুঝিয়ে এলাকার দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল নেতৃত্বরা সুযোগটা ব্যবহার করে চড়াও হচ্ছেন মানুষের উপর। যে একটা সময়, এলাকায়, এলাকায় দুর্নীতির জন্য তৃণমূলের পঞ্চায়েতসহ নেতাকর্মীদের ক্ষমা চাইতে হয়েছে, ভয়ে গুটিয়ে ঘরে ঢুকে যেতে হয়েছে, বর্তমানে রাজ্যের বিরাট সাফল্য পাওয়ায়, আবার স্বমহিমায় রূপ ধারণ করেছে।
তাই এইসব মানুষের কাছে গিয়ে হিমাংশু বাবু সান্তনা দিয়ে,সাহস জুগিয়ে বলেছেন আগামী দিনে এইরকম ঘটনা ঘটলে, সম্মিলিত প্রতিরোধ হবে। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, জীবন- জীবিকা এবং সরকারী টাকা, পয়সা যারা দশটি বছরে শেষ করেছে , তারা যদি ভেবে নেয়, তারা আবার পাঁচ বছরে এরকম চালিয়ে যাবে, তাহলে তারা ভুল করবে।
ঘটনা হল,মানুষজন দেশের বড় রাক্ষসের হাত থেকে বাঁচার জন্য, ছোট রাক্ষসের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। তার মানে এই নয় দিদির উন্নয়নের সাফল্যে, মানুষ গদগদ হয়ে তৃণমূলকে ভোট দিয়েছে ,এই ভ্রান্ত ধারণা যারা এখনো বুঝতে পারছে না, তাদের বেশি দিন লাগবে না, আগামী২০২৪ শে বড় রাক্ষসের পতন হবে । সাথে সাথে বড় রক্ষসের যে প্রাণ ভোমরা ছোট রাক্ষস বয়ে বেড়াচ্ছেন, তাও শেষ হবে। মানুষ শেষ কথা বলবে, বামপন্থীরা ছিল, আছে, থাকবে। মানুষের সাথে।মানুষই আবার পশ্চিমবাংলায় ইতিহাস গড়বে। তিনি কামারদা বাড় দেউলপোতা, বাঁশগোড়া, পূর্ব চড়া, হেঁড়িয়া, খেজুরি প্রভৃতি এলাকায় যেখানে সংযুক্ত মোর্চা কর্মীদের উপর সন্ত্রাসের খবর পাচ্ছেন, সেখানেই দৌড়াচ্ছেন।