সমীর দাস: চিন্তন নিউজ:১৪ আগস্ট: — আজ (১৪/০৮/২০২০)বুধবার এবিপিটিএ কালনা জোনাল কমিটির উদ্যোগে এবিটিএ, এসএফআই, ডিওয়াইএফআই’র সহয়োগিতায় কালনা শহরের ৩ টি জনবহুল জায়গায় নয়া জনবিরোধী শিক্ষাবিলের বিরুদ্ধে মিছিল সহকারে শহরের ৩ টি জায়গায় পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।বক্তব্য রাখেন এবিপিটিএ’ র পক্ষে সুজয় সাহা, রাধেশ্যাম দাস,ডিওয়াইএফআই র পক্ষে শতদ্রু ব্যানার্জী, এসএফআই’ র পক্ষে প্রবীর ভৌমিক,এবিটিএ’র পক্ষে প্রদীপ ভট্টাচার্য,অভিজিত ব্যানার্জী প্রমুখ নেতৃত্ব।
নতুন শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে শুক্রবার গর্জে উঠলেন কালনা শহরের ছাত্র-যুব, শিক্ষক ও শিক্ষানুরাগীরা। কালনার নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতি, ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন ও ভারতের ছাত্র ফেডারেশনের যৌথ উদ্যোগে এদিন পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে জমায়েতের পর মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি সারা কালনা শহর পরিক্রমা করার মাঝে মাঝে ষ্টেডিয়ামের সামনে, শাহু সরকার মোড় ও ষ্টেট ব্যাংকের সামনে গলায় প্লাকেড ঝুলিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। তিনটি স্থানে বক্তব্য রাখেন–শিক্ষকনেতা রাধেশ্যম দাস, প্রদীপ ভট্টাচার্য, অভিজিৎ ব্যানার্জি, সুজয়প্রসাদ সাহা, প্রবীর ভৌমিক, শতদ্রু ব্যানার্জি, সুরজিৎ পাল প্রমুখ। বক্তারা বলেন– নতুন শিক্ষা নীতির মধ্য দিয়ে শিক্ষাক্ষেত্রে মেরুকরণের ঘৃণ্য রাজনৈতিক আবহ তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছে। যাতে শিক্ষা ব্যবস্থার মুক্তচিন্তাকে অবরুদ্ধ করে দিয়ে সাম্প্রদায়িকতার বাতাবরণ ছড়িয়ে নিজেদের রাজনৈতিক লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়। এই সরকারের নয়া শিক্ষানীতি কার্যকর করার মধ্য দিয়ে আদতে সকলের জন্য শিক্ষার স্লোগানকে দূরমুস করেছে। এর একটাই উদ্দেশ্য শিক্ষার কেন্দ্রীকরণ, বেসরকারিকরণের পথে শিক্ষা ব্যবস্থাকে নিয়ে যাওয়া। পুঁজিবাদের জিম্মায় শিক্ষা ব্যবস্থাকে তুলে দেওয়া এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণ মূল লক্ষ্য । কেন্দ্রীয় সরকার আরএসএসের ভাবনাচিন্তাকে সূক্ষ্মভাবে শিক্ষাব্যবস্থায় ঢুকিয়ে দেবার চেষ্টা করছে। ইউজিসি, এআসিটিই-র মত উচ্চশিক্ষার কেন্দ্রীয় নিয়ামক সংস্থাগুলি তুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ভারতবাসীর আত্মহত্যার পথ, এই পথে গমন আমাদের রুখতেই হবে। তাই সমাজের সর্ব স্তরের মানুষকে সংঘটিত করে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
১৪ই আগস্ট গলসী১ এর চাঁকতেঁতুল এআইকেএসএর নেতৃত্বে আজ ১৪/৮/২০২০ তারিখে কাজ ও খাদ্যের দাবিতে এবং পঞ্চায়েতে দূর্নীতির প্রতিবাদে চাকতেঁতু্ল গ্রামপঞ্চায়েত দপ্তরে ডেপুটেশন। প্রধান বাধ্য হলেন কৃষকের দাবি মেনে নিতে। আজকের ডেপুটেশনের কয়েকটি মূল দাবী হলোঃ–গ্রামে ফিরে আসা সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজ দিতে হবে ও ফুড কুপন দিতে হবে। আয়করের সীমারেখার বাইরে থাকা সকল পরিবারকে মাসিক ৭৫০০ টাকা ও মাথা পিছু ১০ কেজি খাদ্য দ্রব্য ও সমস্ত গরীব মানুষকে আবাস যোজনার মাধ্যমে বাড়ি দিতে হবে। রেগায় ২০০ দিন কাজ ও দৈনিক ৬০০ টাকা মজুরী,ও বিধবা বৃদ্ধদের ভাতা দিতে হবে ।
আজ সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি, কাটোয়া শহর আঞ্চলিক কমিটির উদ্যোগে কাটোয়া শহরের মাধবীতলা এলাকায় স্যানিটাইজেশান কর্মসূচি হ’ল।