রাজনৈতিক রাজ্য

পুলিশ কি নেহি, আপনে জমির কি বাত শুনো – আবেদন বাম ছাত্র- যুবর।


চিন্তন নিউজ, কল্পনা গুপ্ত, ২০ ফেব্রুয়ারি – দু’দিন আগেই কাকদ্বীপে অমিত শাহের সভাকে কেন্দ্র করে এস এফ আইয়ের ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে রাজ্য পুলিশ। কি ছিলো সেই ফেস্টুনে? দু’কোটি বেকারের চাকরি হলো কই- এই প্রশ্ন ছিলো তাতে। ছিঁড়ে ফেলা হলো সেই দাবীর কথা। পৈলানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রোগা না মোটা, ফানুসের না বেলুনের মত এই সব রুচিহীন, ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছিলেন। ছাত্রছাত্রীরা কিন্তু সেই রুচিহীন পথে হাটেননি। তারা শুধু জবাব চেয়েছেন প্রতিশ্রুতি রক্ষা হলো কই? বেঁচে থাকার জন্য মানুষের রুজি রোজগারের প্রশ্ন। সেই ফেস্টুন রাজ্য পুলিশ ছিঁড়লো কেন? তাহলে রসায়নটা কি?

কাঁথি ও তমলুকে দু’টি সভায় সি পি আই(এম) রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করাই বামপন্থীদের প্রধান ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিকল্প। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ক্রমাগত কর্মসংস্থানকে নিয়ে মিথ্যাচার করে চলেছে, যুব সম্প্রদায়ের আশা ভরসার ওপর আঘাত হানছে। কলকাতার রাজপথে সকলের জন্য শিক্ষা ও সকলের কাজের দাবিতে ছাত্র যুবরা মিছিলে হাঁটলে তাদের ওপর নৃশংস আক্রমণ নামিয়ে এনেছে রাজ্য পুলিশ। এই অত্যাচারে শহীদ হলেন কমরেড মইদুল ইসলাম মিদ্যা। নিখোঁজ আরো এক যুব কর্মী। গত ১০ বছরে নিহত হন ২২৫ জন বামপন্থী কর্মী। পুলিশের বর্বরোচিত লাঠিচার্জকে আড়াল করতে তদন্তের নাটক সাজানো হচ্ছে। তাকে সাজিয়ে তুলতেই জানবাজার থেকে ধর্মতলা অবধি দোকানদারদের থানায় ডেকে মিথ্যা বয়ান শেখানো হচ্ছে যে, ছাত্র যুবরা ব্যাগে করে ইট পাথর নিয়ে এসেছিলো পুলিশকে মারতে।

তাই পাল্টা ছাত্র যুবরা আবেদন জানাচ্ছে এই এলাকার সব দোকানদারদের- ‘ পুলিশ কি নেহি, আপনে জমির কি বাত শুনো’, পুলিশের নয় নিজের বিবেকের ডাক শোনো। হিন্দি ও উর্দুতে ছাপানো হয়েছে এই লিফলেট। পুলিশ ভয় পেয়েছে। তাই দোকানদারদের শিখিয়ে রাখছে মিথ্যা সাক্ষী দেবার জন্য। কিন্তু ছাত্র- যুবরা আবেদন রাখছেন, ” আপনারা নিজের চোখে যা দেখেছেন সেই সত্যকে স্বীকার করুন, সত্যের পক্ষে দাঁড়ান। কারণ আমাদের দাবি সকল সাধারণ নাগরিকের বেঁচে থাকার জন্য মৌলিক দাবি।”


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।