জেলা রাজ্য

ক্ষমতায় না থাক দল,মানুষের পাশে সর্বদা বাম ছাত্র – যুব


সঞ্জিত দে: চিন্তন নিউজ:- ২০শে এপ্রিলঃঃ- কেন্দ্রের মতই রাজ্য সরকারও পরিকল্পনা বিহীন ভাবে লকডাউন করে রেখেছে। মানুষের এই চরম বিপদে অনেক পরিবার নিরন্ন ভুখা থাকছে। এ রাজ্যের সর্বত্র একমাত্র বামপন্থী ছাত্র যুব সংগঠন এগিয়ে এসেছে এই সব ভুখা মানুষের মুখে কিছু খাবার তুলে দিতে। মানুষের বিপদে মানুষের পাশে বাম ছাত্র-যুবর দল, শূন্যই হোক আর ৭% তাতে কি, মানবিক চেতনা তো আছে।

স্বাস্থ্য বিধি মেনে লক ডাউনের বিধিনিষেধ মেনে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে নিজেদের সুরক্ষিত করে সাধ্য মত ত্রান নিয়ে গ্রামে গঞ্জে চা বাগানে শ্রমিক মহল্লায় ছুটে গিয়ে কিছু খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিচ্ছেন।শুধু তাই নয় গৃহ বন্দী মানুষের অনান্য প্রয়োজনীয় সমস্যা সমাধানে সহায়তা করছে ছাত্র যুবরা। এই লক ডাউনের সময়েই মানুষ বুঝে গেছেন শূন্যই হোক আর ৭% পাওয়াই হোক মানুষের বিপদে এই ছাত্র যুবরা না দাঁড়ালে অবস্থা বেগতিক হতো। মানুষ যখন ভরসা ভালোবাসায় ছাত্র যুবদের ডেকে নিচ্ছেন সে সময় কিন্তু কেন্দ্র রাজ্য দুই শাসকের না কোনো জনপ্রতিনিধি না তাদের বাহিনী।

রাজ্য সরকার পরিচালনাকারী দল বুঝে গেছে ক্রমেই বামপন্থীরা মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে তাই এবার পুলিশ লাগিয়ে মামলার ভয় দেখানো শুরু করেছে। মানুষের দাবি নিয়ে নীতি নিয়ম মেনে আন্দোলন করার অপরাধে রাজ্য বামফ্রন্ট শীর্ষ নেতাদের টেনে হিঁচড়ে গ্রেপ্তার করা হলো শনিবার আর পর দিন রবিবার জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি থানার পুলিশ এস এফ আই ডি ওয়াই এফ আই নেতাদের জানিয়ে দিল এভাবে ত্রান বিলি করা যাবে না যারা করেছে ও করবে তাদের বিরুদ্ধে ডিজাস্টার আইন অনুযায়ী মামলা করা হবে।

এ রাজ্য দেখল ক’দিন আগে পুলিশ দিয়ে রক্তদান শিবির বন্ধ করে রক্তদাতাদের গ্রেপ্তারের ঘটনা এবার মানুষের মুখে খাবার তুলে দিয়ে শাষকের রোষানলে বাম ছাত্র যুবরা। লক ডাউন চালু হবার দুদিন বাদেই ছাত্র যুবরা বুঝে যান মানুষ চরম বিপদে পরেছে বিশেষ করে দিন আনি দিন খাই বিভিন্ন পেশার শ্রমিক দিন মজুর খেত মজুর মানুষ। চটজলদি সিদ্ধান্ত নিয়ে বন্ধু পরিজনদের কাছে,হাত পেতে যা যোগাড় হচ্ছে তাই নিয়েই মানুষের দরজায় হাজির। ধূপগুড়িতেও ছাত্র যুবরা দল ভাগ করে শহর এবং গ্রামীণ এলাকায় গিয়ে এপর্যন্ত তিন শতাধিক মানুষের হাতে চাল ডাল তেল নুন শব্জি সাবান তুলে দিয়েছে।

রবিবার বারোঘরিয়া গ্রামে ৪০ টি পরিবারের জন্য খাদ্য সামগ্রীবিলি হচ্ছিল। সে সময় পুলিশের এক ডি আই বি কনস্টেবল জানায় এভাবে বিলি করা যাবে না।থানায় যোগাযোগ করতে হবে । এই সংবাদ পাওয়া মাত্র ডি ওয়াইএফআই জেলা সভাপতি নূর আলম ধূপগুড়ি থানার আই সি সুবীর কর্মকার কে ফোন করে বিষয়টি জানতে চাইলে আই সি জানান এ ভাবে কিছু বিলি করা যাবে না।থানায় তালিকা দিলে পুলিশ তাদের খাবার দিয়ে আসবে।যারা বিলি করছেন তাদের নামে ডিজাস্টার আইনে মামলা করা হবে। নূরআলম জানান মানুষের এই বিপদের দিনে আমরা কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য প্রচার করছি না খাদ্য সামগ্রী নিয়ে বিপদ গ্রস্ত কর্মহীন ভুখা মানুষের কাছে যাচ্ছি এবং হাত ধোয়া সহ স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার কথা বলছি। এখানে সরকার বিরোধী বা অসামাজিক কাজ হচ্ছে না। রাজ্য সরকার যদি পুলিশের মাধ্যমে খাদ্য সামগ্রী বিলি করে তাহলে ভালো কথা।এত দিনেও সে পরিকল্পনা নেই কেনো? ছাত্র যুবরা জেলার সর্বত্র এই কাজে যুক্ত আছে, করে যাবে মানুষের জন্য এই কাজ। এতে পুলিশ যত খুশি মামলা দায়ের করতে,পারে। ধূপগুড়ি ব্লকের আরেক থানা বানারহাটেও শনিবার সি পি আইএম অফিস থেকে চা শ্রমিকদের খাদ্য সামগ্রী বিলির সময় পুলিশ এসে বাধা দেয় এবং
নেতৃত্বদের থানায় গিয়ে দেখা করতে বলে।

বানার হাট চা বাগানের বাসিন্দা ডি ওয়াইএফআই রাজ্য কমিটির সদস্য অজয় মাহালির নেতৃত্বে রবিবার দিনও চা বাগানের শ্রমিকদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিলি করা হয়।অন্য দিকে কলোনী এলাকায় অর্ধেব্দু রাহা প্রদিপ সরকার সঞ্জয় দাস খাদ্য সামগ্রী বিলি করেন এবং অপর একটি দক ঘুরে জীবানু নাশক স্প্রে করে। অজয় মাহালি বলেন মানুষের এই বিপদে যদি মুখে খাবার তুলে দিতে না পারি কবে,দেব? এজন্য যদি মামলা হয় তো হবে। ধূপগুড়ি সদর লোকাল কমিটি পৌরসভা এলাকায় এবং মাগুর মারি এলাকায় খাদ্য সামগ্রী বিলি করছেন জেলা যুব নেতা কৌশিক দাম লোকাল সম্পাদক নির্মাল্য ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে। যুব নেতারা বলেন তৃনমুল পরিচালিত পৌরসভার কাছে লিখিত ভাবে আবেদন করে সাথে পুলিশের ছাড় পত্র নিয়েই আমরা সেবা মুলক কাজ করছি এর পরেও যদি আমাদের নামে মামলা হয় তো হবে এজন্য আমরা গর্বিত হবো। নূরআলম জানান জলপাইগুড়ি সদর রাজগঞ্জ মালবাজার চালসা মেটেলি সর্বত্র যুবরা এই মহান কাজে ব্রতী আছে।
পায় না।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।