নিউজডেস্ক, চিন্তন নিউজ, কলকাতা, ১ এপ্রিল: নির্বাচন কমিশন ভোটের দিন ঘোষণা করার সাথে সাথেই রাজনৈতিক দল গুলির মধ্যে শুরু হয়েছে তৎপরতা। প্রার্থী বাছাই, প্রার্থী তালিকা ঘোষণা, নির্বাচনী কৌশল, প্রচার কৌশল ঠিক করা – এই সব মিলিয়ে তাদের ব্যস্ততা তুঙ্গে।
রাজ্যের প্রধান দলগুলির প্রার্থী তালিকা মোটামুটি প্রকাশিত। তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় এবারের চমক দুই টলিউড অভিনেত্রী। বিজেপি ভরসা রেখেছে তৃণমূল থেকে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতাদের ওপর। বিজেপি এখনো এই রাজ্যে সব আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি। তবে উল্লেখযোগ্যভাবে তাদের প্রার্থী তালিকায় রয়েছে নারী পাচারে অভিযুক্ত নিশীথ পরামানিক। তুলনামূলকভাবে বামফ্রন্টের প্রার্থীতালিকা অনেক নির্ভরযোগ্য, রয়েছে নবীন-প্রবীনের মিশেল, সাথে মহিলা ব্রিগেড।
এখন অবধি প্রচারে উল্লেখযোগ্যভাবে অন্য সব দলের থেকে কয়েক যোজন এগিয়ে রয়েছে বামেরা। বামফ্রন্টের প্রচারের বিশেষ দিক হলো তারা চিরাচরিত প্রচার পদ্ধতির সাথে সাথে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারে ঝড় তুলেছে। এক্ষেত্রে বিজেপির আই টি সেলও তাদের ধারেকাছে নেই। অতি পরিচিত এক বিজ্ঞাপনের সুরে এক বামকর্মীর মন্তব্য, “সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া, পুরোটাই আমরা”। বামেদের প্রচারে উঠে আসছে শাসকদলের প্রতি বেশ কিছু প্রশ্ন, যেমন সারদা নারদার তদন্তের কি হলো, বা বছরে ২ কোটি বেকারের চাকরি কোথায় গেল? এছাড়াও বেশ কিছু জনস্বার্থবাহী ইস্যু যেমন সবার জন্য ন্যূনতম ১৮০০০ টাকা মাসিক বেতন, ন্যূনতম ৬০০০ টাকা মাসিক পেনশন, কৃষকদের ফসলের ন্যায্য দাম, কৃষকের ঋণমকুব, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা রক্ষা করা, জাতের নামে বজ্জাতি বন্ধ করা, সকলের জন্য অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান – এসব নিয়ে তারা ভোটের ময়দানে।
২৩শে মে বোঝা যাবে বাংলার মানুষ কোন পথে ভরসা রাখছেন, দক্ষিণপন্থায় না বামপন্থায়।
এটা ভাবী কালের একটা দলিল হয়ে রইলো