রাজ্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য

হাতে শাঁখা-পলা পরার অপরাধে টেট দেওয়ার অনুমতি মিললো না



সুপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:১৩/১২/২০২২:- দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আবার প্রাথমিক টেট পরীক্ষা নেওয়া হলো এই রাজ্যে। আর সেই পরীক্ষায় অদ্ভুত সমস্যায় পড়ে পরীক্ষাটাই দেওয়া হলোনা জলপাইগুড়ি র সোনাগ্রামের বাসিন্দা মৌমিতা চক্রবর্তী র ।
পর্ষদের অদ্ভুত নিয়মের বেড়াজালে আটকে গেলেন মৌমিতা চক্রবর্তী। মৌমিতা চক্রবর্তী র পরীক্ষাকেন্দ্র জলপাইগুড়ি র দেবনগরের সতীশ লাহিড়ী উচ্চ বিদ্যালয় । নির্দিষ্ট সময় এই মৌমিতা চক্রবর্তী পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছেছিলেন যথাযথ কাগজপত্র নিয়ে ।

পর্ষদের নিয়মানুযায়ী গায়ে কোন সোনা ,রুপো বা ইমিটেশনের গয়না পরা যাবে না । মৌমিতা চক্রবর্তী ও সমস্ত নিয়ম মেনে গায়ের সমস্ত গয়না বাড়ীতে ই খুলে রেখে গিয়েছিলেন । তবুও তিনি পরীক্ষাকেন্দ্র এ ঢুকতে পারলেন না তাঁর হাতে শাঁখা- পলা ছিল তাই তাকে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হলো না। মৌমিতা চক্রবর্তী কে হাতের শাঁখা পলা খুলে ফেলতে বলা হ’লেও তিনি রাজী হননি। পরীক্ষাকেন্দ্রে র আধিকারিক কে মৌমিতা জানান যে শাঁখা পলা পরা তাঁদের পারিবারিক ঐতিহ্য — এ তিনি কোনমতেই খুলবেন না— তখন ঐ আধিকারিক তাঁকে পরীক্ষা দিতে না দিয়ে বাড়ী পাঠিয়ে দেন।

মৌমিতা র স্বামী জিৎ বিশ্বাস জানান যে তাঁরা ভাবতেই পারেননি যে পর্ষদ শাঁখা পলাকে অলঙ্কার বলে ভাববে পর্ষদ।এটা জেনে জিৎ বিশ্বাস মৌমিতা চক্রবর্তীকে শাঁখা পলা খুলে ফেলতে বলেছেন কিন্তু অন্যায় নিয়ম মেনে নেননি । একের পর এক অদ্ভুত সমস্যার সৃষ্টি করছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ।

প্রসঙ্গত ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে কিন্তু এখনো তার নিয়োগ পত্র পাওয়া হয়নি পরীক্ষা উত্তীর্ণদের আর তার ই জেরে দীর্ঘ দিন ধরে চলছে ধর্না , মিছিল ।২০১৭ সালের পরীক্ষার্থীদের ও এক‌ই অবস্থা। আর এবার এক অদ্ভুত সমস্যায় এক গৃহবধূ পরীক্ষায় দিতে পারলেন না।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।