চৈতালী নন্দী: চিন্তন নিউজ:২৭শে এপ্রিল:- মানবতার আর এক নাম প্রেম। আজ এক অদৃশ্য শত্রুর আক্রমণে বিদ্ধ্বস্ত পৃথিবী। দুই লক্ষাধিকের মৃত্যু। ভারতের মতো উন্নয়নশীল দরিদ্র দেশ এর বাইরে নয়। এখানে খাদ্যের অভাব নেই, অভাব আছে সঠিক পরিকাঠামো ও সুষম বন্টনের। এই পরিস্থিতিতে কিছু না পাওয়া, কাজ হারানো মানুষের পাশে এসে দাঁড়ালেন এক বাম মননে ঋদ্ধ শিক্ষিকা কল্পনা গুপ্ত। তাঁর অকাল প্রয়াত স্বামী কমঃ সোমনাথ গুপ্তের জন্মদিনে।
আদ্যন্ত বামপন্থী পরিবার থেকে উঠে আসা স্কুল শিক্ষক কমঃ সোমনাথ গুপ্ত ছিলেন পূর্ব বর্ধমানের সিপিআইএম সদস্য ও শিক্ষক সংগঠনের (এ বি টি এ)কেন্দ্রীয় নেতা। তিনি ছিলেন ছাত্র যুব সংগঠনের এক নিরলস সংগঠক। যুব মানসে ছিল তাঁর উজ্জ্বল প্রভাব।
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্বের সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোর সাফল্য আজ আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।আমাদের দেশের বামরাজ্য কেরল আজ দেশের কাছে রোলমডেল। সরকারি সাহায্য বা দলীয় সাহায্য যা আসছে তা দলমত নিরপেক্ষ নয়। ফলে কিছু পরিবার সম্পূর্ণভাবে বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে। এরাজ্যে আজ পূর্ব বর্ধমানের নতুন গঞ্জ এলাকা কাজ হারানো অর্ধাহারে অনাহারে থাকা মানুষগুলির দিকে সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন বর্ধমানের আঝাপুর হাইস্কুলের এই শিক্ষিকা। একাধারে স্বামী ও কমরেড সোমনাথ গুপ্ত র জন্মদিন টিকে অর্থবহ করে তুলতে ,তিনি এই দূর্দশাগ্রস্থ পরিবারগুলির হাতে তুলে দিলেন যথেষ্ট পরিমাণে চাল ,ডাল আলু ,তেল সহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী। এই কাজকে সম্মান দিতে তাঁর পাশে সর্বক্ষণ ছিলেন পার্টির কর্মী সমর্থকরা, যারা যে কোনো বিপদে মানুষের পাশে থাকার জন্যে অঙ্গীকারবদ্ধ। সোমনাথবাবুর জন্মদিনটিতে এই অসংখ্য গুণমুগ্ধ ছাত্রযুবদের কাছ থেকে এটাই ছিল তাঁর প্রতি অনন্য শ্রদ্ধার্ঘ্য।