নিউজ ডেস্ক: চিন্তন নিউজ:১৮ই নভেম্বর:–একটি শব্দ ‘ওষুধ’ যেমন জীবন বাঁচাতে পারে,তেমনই পারে জীবন কেড়ে নিতে।সঠিক ওষুধ সঠিক অসুখের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হয়।কিন্তু মানুষ কি ওষুধের মান নির্ণয়ে সজাগ থাকে?এর কোনো সঠিক উত্তর কারও কাছে নেই।
সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গেছে মানুষ তার নিজের জীবন নিজেই দুর্বিসহ করে তুলছে ।আশ্চর্যের বিষয় ভারতের বাজারে মোট বিক্রিত ওষুধের প্রায় ২৫ শতাংশই জাল! এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা বারংবার সাবধান করলেও সেই ব্যাপারে বিশেষ আমল দেয় না কেউ। এমনকি হু’এর রিপোর্ট অনুযায়ী চিকিৎসার সরঞ্জামের প্রায় ৪ শতাংশ জাল।
এতদসত্ত্বেও সচেতনতা এতটুকুও বাড়েনি জনমানসে। যতদিন যাচ্ছে তত এই সমস্যা বেড়ে চলেছে।এবং ভবিষ্যতে আরও সমস্যা বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে রিপোর্ট দি অ্যাসোসিয়েটেড চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডিয়া।তথ্যে বলা হয়েছে ভারতের বাজারে মোট বিক্রিত ওষুধের প্রায়২৫শতাংশই জাল! এই জাল ওষুধ গুলির মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক,ম্যালেরিয়ার ওষুধ, ব্যথা কমানোর ওষুধ, ইত্যাদি।
সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে, শুধু লভ্যাংশের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য ওষুধ তৈরি করা থেকে শুরু করে ব্যবহার করা পর্যন্ত কোনো পদ্ধতিতে যথাযথ শর্ত মানা হয় না। আবার অনেক রাজ্যে সরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগীদের সঠিক গুনমানের ওষুধ পর্যন্ত দেওয়া হয় না।এর কারণেই বাড়ছে রোগের পরিমাণ।
বিশ্বব্যাপী জাল ওষুধের কারবার বন্ধ করতে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল আন্তর্জাতিক সংস্থা গুলো। আন্তর্জাতিক সংস্থা গুলো ভারতেও সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছে একাধিক হাসপাতালের চিকিৎসার সরঞ্জাম ও পদ্ধতিতে গুনমান সঠিক নয়। তাই প্রায়শই দেশের বা এই রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ ওঠে। এই ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে সচেতনতা শিবির করে মানুষকে সজাগ করা ,এবং কড়া আইনপ্রনয়ণ করে এই জাল ব্যবসা বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া উচিৎ বলে মনে করে বিশিষ্ট মহল।