সুপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:৫ই নভেম্বর:- আগামী বুধবার থেকে শহরতলীর লোকাল ট্রেন চলাচল শুরু হবে রাজ্য ও রেলের আজ বৃহস্পতিবার এর বৈঠকে ঠিক হয়েছে। ঠিক হয়েছে হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকে মোট ১৮১ জোড়া ট্রেন চলাচল করবে। সময়সূচী পরিবর্তন করে ছোট স্টেশন গুলোতে লোকাল ট্রেন থামবে না শুধু মাত্র বড়ো স্টেশন গুলো তেই ট্রেন থামবে বলে খবরে প্রকাশ।
এখন এই অতিমারী পরিস্থিতিতে লোকাল ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে । প্রায় সাত মাস বন্ধ করতে হয়েছিল লোকাল ট্রেন। রেলের বার্তা প্রতিটি লোকাল ট্রেন এ ৬০০ এর বেশী যাত্রী নেওয়া যাবে না । কিন্তু যাত্রী যেখানে হাজার হাজার সেখানে ৬০০ যাত্রী নিয়ে কিভাবে লোকাল ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ভাবে করা যাবে সেটাই প্রশ্ন। এই প্রশ্নের উত্তর নেই রেলকর্তা দের কাছে। শহরতলীর যে সব স্টেশনে যাত্রীর সংখ্যা খুব বেশি সেখানে সেখানে কিভাবে জনস্রোত ঠেকানো যাবে সেই প্রশ্নের উত্তর নেই কারুর কাছে। লোকাল ট্রেন চলাচল শুরুর আগে বিভিন্ন স্টেশনে যে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে তাতে রেল ও রাজ্য দুপক্ষই চিন্তিত।
তরে খবরে প্রকাশ যাতে প্রত্যেক যাত্রী সুযোগ পান সেটা রেল ও রাজ্য দুপক্ষই দেখবে। বিভিন্ন স্টেশনে যেরকম ভীড় হয় তাতে সুরক্ষাবিধি কতটা মানা সম্ভব সেটাও একটা বড় প্রশ্ন।রেল সুত্রের খবর এখন অল্প ট্রেন চালু করা হলেও ধাপে ধাপে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে। কিছু স্টেশন বাদ দিয়ে সেখানে গ্যালপিং ট্রেন চালানোর কথা ভাবা হচ্ছে। স্টেশনগুলো হকার মুক্ত রাখার পরিকল্পনা আছে। বৈধ টিকিট ছাড়া কাউকে স্টেশনে ঢুকতে দেওয়া হবে না এবং টিকিট নিয়ে প্রচন্ড কড়াকড়ি হবে। যাত্রীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামুলক। ব্যস্ত সময়ে ট্রেন চালানোর কথা ভাবা হচ্ছে। এখন প্রশ্ন, ভিড় এড়াতে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। সে টা না করে কম সংখ্যায় ট্রেন চালানো এবং সব স্টেশনে না দাঁড়ানো এটা কতটা জনহিতকর। প্রকৃতপক্ষে নিত্যযাত্রীদের কথা ভাবা হল?