চৈতালি নন্দী: চিন্তন নিউজ:৬ই নভেম্বর:- এবছর ভারতের সবচেয়ে সুশাসিত রাজ্যের তকমা পেলো কেরালা। দীর্ঘদিন ধরেই বাম শাসনের অধীনে কেরালা। সম্প্রতি বেঙ্গালুরুর সংস্থা পাবলিক এ্যাফেয়ার্স সেন্টারের (পিএসসি) সমীক্ষা অনুযায়ী ১৩০ কোটির উপরে জনসংখ্যার দেশ ভারতের ২৯ টি রাজ্য ও ৭টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনের সব ক্ষেত্রের উপর সমীক্ষায় কেরালা প্রথম স্থান অর্জন করেছে। ২০১৬ সাল থেকে করা এই সমীক্ষায় কেরালা এই নিয়ে তৃতীয় বার শীর্ষস্থান অধিকার করলো।
ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার ভূতপূর্ব পদাধিকারী পিএসসির চেয়ারম্যান কস্তুরীরঙ্গন জানান, সমীক্ষায় জনসংখ্যার উপর ভিত্তি করে দেশের রাজ্যগুলিকে ছোট ও বড় দু’ভাগে ভাগ করা হয়। দুকোটির বেশি জনসংখ্যার রাজ্যগলিকে বড় ও তার থেকে কম গুলিকে ছোট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এই সমীক্ষায় দেখা গেছে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের নিরিখে সুশাসনে এগিয়ে রয়েছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের চার রাজ্য , যথাক্রমে কেরালা, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ ও কর্ণাটক। ছোট রাজ্যের তালিকায় প্রথম নামটি হিমাচল প্রদেশ।
এ প্রসঙ্গে এক কাশ্মিরী ছাত্রের প্রশ্নের উত্তরে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরেন কেরালার রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। দেশজুড়ে যে ঘৃণার ও বিদ্বেষমূলক রাজনীতির প্রচার চলছে ,তার থেকে নিজেদের রাজ্যটিকে দূরে সরিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা । তিনি বলেন কেরালায় উত্তর ভারতের রাজ্যগুলির মতো খাদ্য, ভাষা, পোষাককে হিন্দু মুসলিম এই দুটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে ভাগ করা হয়না। এই ধর্মীয় বিভাজনের প্রবণতাই এই রাজগুলিকে পিছিয়ে দিয়েছে কেরালার থেকে। তিনি বলেন এরাজ্যে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের গড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সবধর্মের শিক্ষার্থীদের রয়েছে অবাধ প্রবেশাধিকার। ধর্মীয় বিভাজন নয়, একাত্মতা ও ঐক্যই গড়ে দিয়েছে দেশের অন্য রাজ্যগুলির সঙ্গে প্রভেদ, যা বামপন্থী আদর্শ ও প্রগতিশীল রাজনীতি অনুসরণ করে চলারই ইতিবাচক দিক।