নিজস্ব প্রতিবেদন: দেবু রায়:চিন্তন নিউজ:১৪/০২/২০২২- গতমাসে কোলকাতায় হয়ে যাওয়া কর্পোরেশন এর নির্বাচনের কলকাতার একটি ওয়ার্ড ১০৯নংএর একটা পরিসংখ্যান দিলাম!এটা কিন্তু ব্যতিক্রম কিছু নয় , এই একই চিত্র দেখা গেছে অনেক ওয়ার্ডেই, আবার ১২ ফেব্রুয়ারি আমরা দেখেছি, যেখানে -যেখানে নির্বাচন ছিল সেখানে ভৈরব বাহিনীর তাণ্ডব সর্বত্র। , কোথাও মধ্যমগ্রাম থেকে মহিলা আসেন ভোট দিতে, কিন্তু তিনি তাঁর বাড়ির ঠিকানা জানেন না! পাশের বাড়ির লোককে তিনি চেনেন না, আবার কোথাও বাথরুমে লুকিয়ে থাকে ভোটার!
এবারে দেখুন ১০৯নং ওয়ার্ডের পরিসংখ্যান !
1)পঞ্চসায়র অঞ্চল মোট চারটে বুথ :-
টিএমসি পেয়েছে ১৯২৪, বিজেপি -১১৯, সিপিআইএম -396, অর্থাৎ ব্যবধান ১৬২৮।
চকবেড়িয়া -নয়াবাদ অঞ্চল যতগুলো বুথ ছিলো -: টিএমসি ভোট৪০৪৮, বিজেপি ভোট ৩৫৫, cpim ভোট ৬৫৮অর্থাৎ ব্যবধান ৩৩৬৫
শহীদ স্মৃতি অঞ্চল যত গুলো বুথ ছিলো টিএমসি ভোট ৪০৪২, বিজেপি ভোট ১৪, সিপিআইএম, ভোট ৪ অর্থাৎ ব্যবধান ৫২০৫,
ডি -ব্লক অঞ্চল যতগুলো বুথ ছিলো -টিএমসি
ভোট ৩১৬৬, বিজেপি ভোট ২৩২, সিপিআইএম ভোট ২৫২, অর্থাৎ ব্যবধান ২৯১৪,
বুধের -হাট অঞ্চল যত গুলো বুথ ছিলো টিএমসি ভোট ২৫৫০ বিজেপি ভোট ৬৬, সিপিআইএম ভোট ৮৭অর্থাৎ ব্যবধান ২৪৬৩ ,
অজয় নগর অঞ্চল যত গুলো বুথ ছিলো টিএমসি ভোট ২১৬১, বিজেপি ১৮১, সিপিআইএম ২০৬, অর্থাৎ ব্যবধান ১৯৫৫ ,
সার্ভে পার্ক অঞ্চল যতগুলো বুথ ছিলো
টিএমসি ভোট ৩০৬৪, বিজেপি ভোট ১৯৪, সিপিআইএম২২২ অর্থাৎ ব্যবধান২৮৪২,
দাসপাড়া -নয়াবাদ অঞ্চল যতগুলো বুথ ছিলো -টিএমসি ভোট ৪৫৮৯, বিজেপি ভোট২৪৯, সিপিআইএম ভোট ২৩০, অর্থাৎ ব্যবধান ৪৩৫৯।
মুকুন্দপুর উত্তর অঞ্চল যত গুলো বুথ ছিলো টিএমসি ভোট ২৯৯৬, বিজেপি ভোট১২৫, সিপিআইএম ভোট ১১২
মুকুন্দ পুর দক্ষিণ যত ভোট পড়েছে টিএমসি ভোট ২৩২৪, বিজেপি ভোট ১১৫, সিপিআইএম ভোট১১৯ অর্থাৎ ব্যবধান ২২০৫,
কালিকাপুর পূর্ব অঞ্চল যত গুলো বুথ ছিলো টিএমসি ভোট ৫৯৩৪,, বিজেপি ভোট ৩১২, সিপিআইএম ভোট ৩৭০, অর্থাৎ ব্যবধান৫৫৬৪
কালিকা পুর অঞ্চল যত গুলো বুথ ছিলো টিএমসি ভোট ৩৬১২, বিজেপি ভোট ২৩৩, সিপিআইএম ভোট ১৬৮ অর্থাৎ ব্যবধান ৩৪৭৬
তাহলে হিসাব এলো টিএমসি ভোট ৪০৪৫৮,
বিজেপি ভোট ২২৬৮, সিপিআইএম ভোট ২৮৩৫, অর্থাৎ ব্যবধান ৩৭৬২৩,
এবারে আমরা কতগুলো প্রশ্ন করতে চাই
1)আমরা সকলেই জানি যেকোনো ওয়ার্ডে মোট ভোটার এর ৪-৫% ডেড ভোটার থাকে, তাঁরসাথে লেফট ভোটার এর সংখ্যা ধরলে প্রায় ১১-১২%হয় (আমি একটা গড় ধরেছি )কিন্তু এইখানে দেখা যাচ্ছে উপর থেকে মৃত মানুষগুলো শুধু নিজেদের ভোট দেয় নি সাথে যারা বাহিরে থাকে তাঁদের ভোট ও দিয়ে গেছে , অথচ কি আশ্চর্য যারা ভোট দিলো তাঁদের পরিবারের লোক জানতেও পারলো না,অথচ আটমাস আগে বিধানসভায় ওই ওয়ার্ডে (109)টিএমসি র জয়ের ব্যবধান ছিলো ৫৫৭৬ আর মাত্র আট মাসের ব্যবধানে এতো উন্নয়ন হলো যে ব্যবধান হলো৩৭৬২৩, জানি না কোন ভুতের রাজার বরে এটা হয় ?.
হ্যাঁ এটাই এখন গণতন্ত্র জানি না এটা সত্যি কি গণতন্ত্র না গণতন্ত্রের ধর্ষণ ?.
সবচেয়ে দুঃখজনক হলো, এক শ্রেণীর মানুষ টিভিতে বসে সাফাই গান বিরোধীদের লোক নেই বলে , আচ্ছা যদি লোক নাই থাকে তাহলে তাঁদের বিরোধী এজেন্টদের মারধোর করা হয় কেন ?. সংবিধানের কোথায় লেখা আছে বিরোধী দলের লোক মানেই তাদের বদলে অতএব স্বর্গ থেকে লোক এসে ভোট দিয়ে যাবে?.
এর পরে ২৭/০২ যে একশোর উপরে পৌর সভার ভোট হবে সেইখানেও আমরা একই দৃশ্য দেখবো , এর একই ভাষণ শুনবো শাসক দলের থেকে , তাহলে মানুষ যদি ভোট নাই দিয়ে পারে, তাহলে আমার আপনার ট্যাক্স এর পয়সা নষ্ট করার কি যৌক্তিকতা আছে?. ভোটের নামে এই প্রহসন কবে বন্ধ হবে ?. তাই আজ মনে হয় বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে!.