সুপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:১১/০১/২০২৩:- উন্নয়ন উন্নয়ন নিয়ে যখন সর্বত্র আলোচনা তখন সেই উন্নয়ন ই হলো যোশীমঠের ধংসের কারণ এমন ই অভিমত বিশেষজ্ঞ মহলের । একটা ছোট্ট জনপদ ছিল এই যোশীমঠ তারপর সেখানে বেহিসাবি বড়ো বড়ো বহুতল , বিলাসবহুল হোটেল ইত্যাদি তৈরি করতে করতে এই এলাকা নিজস্বতা নষ্ঠ করা হয়েছে দিনের পর দিন। এই অঞ্চলের মাটি আস্তে আস্তে আলগা হয়ে যাচ্ছে । পাথর সরে যাচ্ছে । যোশীমঠ যাওয়ার গেট ওয়ে বদ্রীনাথ ,হেমকুন্ড সাহিব ,ভ্যালি অফ ফ্লাওরস ধ্বসে গেছে । আরেক বিশেষজ্ঞ মহলের মতে যোশীমঠ ধ্বসে পড়ার কারন রয়েছে মাটির নিচে একটি সুরঙ্গ । আজ থেকে প্রায় চুরাশি বছর আগে ১৯৩৯ সালে প্রথম যোশীমঠের স্থায়িত্ব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল
কিন্তু বিপদ এসেছিল ২০০৯ সালে । ২০০৯ সালে পাহাড় কাটার কাজ চলছিল তখন আচমকা পাহাড়ের ফেটে আটকে যায় সুড়ঙ্গ খোঁড়ার যন্ত্র, কারণ সামনে গ্যালন গ্যালন জল । বড়ো বড়ো ইঞ্জিনিয়ার রা এসেও কিছু করতে পারেন নি। জলের স্রোত ক’মার কোন লক্ষন ই দেখা যায় নি । পরে আবিষ্কার হলো মানব তৈরি যন্ত্র প্রকৃতির তৈরী করা এক বিশাল জলের ভাণ্ডার ফুঁটো করে দিয়েছে । দীর্ঘ সময় ধরে প্রতিদিন গ্যালন গ্যালন জল ঐ জায়গা থেকে বেরিয়ে যেতে থাকে । তারপর একদিন ঐ জলভান্ডারের জল শেষ হয় কিন্তু এলাকার মাটি হয়ে যায় ঝুড়ঝুড়ে ।
টি বি এম দিয়ে সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কারণ হচ্ছে যোশীমঠের কাছেই তৈরী করা হচ্ছে ” বিষ্ণুগড় হাইড্রো ইলেকট্রিক প্রজেক্ট”– এন টি পি সি র এই প্রজেক্টে বাঁধ দিয়ে ব্যারেজ নির্মাণ না করে সুড়ঙ্গ এর মধ্যে দিয়ে নদীর জল নিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা আর তার জন্ম ই সুড়ঙ্গ খোঁড়া আর তাতেই বিপদ ঘনিয়ে এলো । ইতিমধ্যেই যোশীমঠের পঞ্চাশ থেকে একশো টি বাড়ী ধসে গেছে । বাসিন্দাদের এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে । বিশেষজ্ঞ মহলের অভিমত যোশীমঠ ধ্বংস হয়ে যাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা।