জেলা রাজ্য

কি বিচিত্র দেশ!!ভবঘুরে পকেট উজাড় করে দান দেয়, শাসক নিশ্চুপ



মিঠুুুন ভট্টাচার্য্য: চিন্তন নিউজ: ২৪শে মে:- প্রোপাগণ্ডা কাকে বলে জানেন ?
আচ্ছা বাদ দিন বিজ্ঞাপন কাকে বলে নিশ্চয়ই জানেন? আচ্ছা একটু খোলাসা করেই বলছি , হোয়াটসঅ্যাপ ফেসবুক থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকম সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা মোড়ের মাথায় চায়ের ঠেক অথবা প্রথাগত সংবাদমাধ্যম যে দিকেই নজর দেবেন শুধু জানবেন আজকের দিনে বামপন্থীরা অপ্রাসঙ্গিক , তাদেরকে এখন আর কেউ মনে রাখেনা , ওরা তো মাত্র ৭% , ইত্যাদি ইত্যাদি ঠিক সেই ভাবে বিজ্ঞাপন পরিবেশিত হয় যেভাবে আপনি জানতে শেখেন আপনার দেশের এক নম্বর গায়ে মাখার সাবান যেটা ছাড়া আপনার চলতেই পারে না সেটা বাইরের বহু দেশে কুকুরকে স্নান করানোর কাজে লাগে , কিংবা পৃথিবী বিখ্যাত যে তেল সাবান ছাড়া আপনি আপনার বাচ্চাকে অন্য কোন কোম্পানির তেল সাবান ব্যবহার করেন না সেটা পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশেই নিষিদ্ধ , কিন্তু বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন আপনাকে সেটাই জানতে বুঝতে শিখতে শেখায় , কিন্তু আমরা আমরা আপনাকে প্রদীপের নিচের যেই অন্ধকারে বাসা বেঁধে কেউ ঘর করার স্বপ্ন দেখে সেই ছবিটা দেখানোর চেষ্টা করি ।

শিলিগুড়ির বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক পার্থ সারথি দাস মহাশয় এর মুখ থেকে এই গল্প টা শুনুন , দেখবেন আপনার একবারও মনে হবে না বামপন্থীরা আজকের দিনে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গিয়েছে।

” আজ আপনাদের এক দূর্লভ অভিজ্ঞতার কাহিনী শোনাবো। ছবিতে যাঁকে দেখছেন তাঁর নাম, ‘পরিমল ঘোষ’।

সিপিআই(এম) ২নং এরিয়া কমিটির কমিউনিটি কিচেনে বসে অপেক্ষায় আছি রান্না শেষের। এমন সময় মানুষটি এগিয়ে এলেন। কাঁধে ঝোলানো একটি একতারা। রাস্তায় ঘুরে ঘুরে গানই তার আয়ের উৎস। সবাই ভাবছে উনিও নিশ্চয় একটু খাবারের জন্য লাইনে দাঁড়াতে এসেছেন। এরপরেই চমকের শুরু। দেখা গেল ভদ্রলোক নিজের সব পকেট হাতড়ে সারাদিনের সংগ্রহটুকু তুলে দিলেন নেতৃত্বের হাতে। বললেন,’আমার তো আজ এখানে খাওয়া হয়েই যাচ্ছে, এটা অন্যের কাজে লাগুক।’ মনের মধ্যে রবীন্দ্রনাথের কবিতার কয়েকটা লাইন গুনগুনিয়ে উঠলো
‘অপূর্ব এক স্বপ্ন-সম
লাগতেছিল চক্ষে মম–
কি বিচিত্র শোভা তোমার,
কি বিচিত্র সাজ।
আমি মনে ভাবতেছিলাম
এ কোন মহারাজ।’

‘মহারাজা তোমারে সেলাম’ “


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।