স্বাতী শীল:চিন্তন নিউজ:৩রা জুন:-অনেক টালবাহানার পর অবশেষে গত মাস থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন ভিন রাজ্যে কাজের সন্ধানে যাওয়া অভিবাসী শ্রমিকরা। দলে দলে এসে পৌঁছচ্ছেন এই রাজ্যে। কিন্তু শুধু পৌঁছালেই তো হবে না, বাইরে থেকে আসার জন্য তাদেরকে থাকতে হবে কোয়ারেন্টাইনে। কিন্তু তারা থাকবেন কোথায়? কিছুদিন পূর্বেই রাজ্য সরকার ঘটা করে হোম কোয়ারেন্টাইন এ থাকার কথা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু যে সকল দুঃস্থ পরিবারকে একটি মাত্র ঘরে একত্রে বাস করতে হয়, তাদের কাছে হোম কোয়ারেন্টাইন শব্দটি প্রহসন ছাড়া আর কি?
যদিও কোন কোন ক্ষেত্রে তাদের জন্য ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টাইন এর ব্যবস্থা করা হলেও বাস্তবে এখানে কোনো পরিকাঠামোই নেই। অপরিচ্ছন্নতা, পর্যাপ্ত আলো বাতাসের অভাব, শৌচাগার, খাদ্য ও পানীয় জলের অভাবের পাশাপাশি নাগরিকদের বক্রদৃষ্টি, সবমিলিয়ে দুর্বিষহ অবস্থা।
বিগত কিছুদিন ধরে চাঁদপাড়া ঢাকুরিয়া হাইস্কুল কোয়ারেন্টাইন সেন্টার বেশ কিছু বহিরাগত মানুষদের বর্তমান বাসস্থান। আপাতদৃষ্টিতে তারা কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে অক্ষত অবস্থায় আছেন এমনটা মনে হলেও বাস্তবে চিত্রটি ভিন্ন। এক কথায় ভাষায় প্রকাশের অযোগ্য। আলো বাতাসহীণ অন্ধকার কুঠুরি। শৌচাগার থাকলেও তা ব্যবহারের অযোগ্য।তার উপর মাসের পর মাস ধরে চলা লক ডাউনের কারণে কাজ হারানো মানুষগুলির হাতে পর্যাপ্ত টাকা পয়সাও নেই,অথচ কোয়ারেন্টাইনে থাকা এই মানুষগুলোর জন্য কর্তৃপক্ষ কোন ধরনের খাবারের ব্যবস্থা পর্যন্ত করেনি। এই পরিস্থিতিতে এদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ।
পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার সভাপতির নেতৃত্বে গত চারদিন ধরে এই অসহায় মানুষগুলির খাবারের যোগান দিয়ে চলেছে বিজ্ঞান মঞ্চ। আজ গাইঘাটার বিডিও বিব্রত বিশ্বাসের কাছে বিজ্ঞান মঞ্চের পক্ষ থেকে এই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের সার্বিক বিবরণ এবং কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করে একটি ডেপুটেশন দেওয়া হয় যার নেতৃত্বে ছিলেন রত্না রায়, দেবাশীষ রায় প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির অন্যতম কর্মধ্যক্ষা ও শিক্ষিকা রাজশ্রী গুহ।